আবিষ্কার করলাম মেয়েটা তার পা একটা যন্ত্রের উপর নির্ভর করে আছে। তাতে অবশ্য মেয়েটার আনন্দে কোনো কমতি নেই। উচ্ছ্বাসে কোনো কমতি নেই। বরং সে ব্রিজের এই সৌন্দর্য উপভোগ করছে নিজের মত করেই। ছবি তোলা শেষে হেঁটে যাচ্ছে আমার চেয়েও দ্রুত গতিতে। ভালোভাবে খেয়াল না করলে বোঝার কারো সাধ্য নেই তার পায়ের অবস্থা।
আমরাও কিছু ছবি তুললাম। আমার সঙ্গে ছিল ভাগিনা রিয়াদ। ওর স্ত্রী জিনিয়া আর আমার মেয়ে আফসানা। রিয়াদকে বললাম, আমার ছবি তুলে দিতে। রিয়াদ আমাকে বলে, কী ছবি তুলবো তোমার? যে মোটা হচ্ছো দিন দিন ক্যামেরার ফ্রেমে তো দুদিন পর আর জায়গা হবেনা।
রিয়াদের সঙ্গে আমার মেয়েও যোগ দিয়ে বলে, ভাইয়া ঠিকই বলেছে মম, তোমার এক্সারসাইজ দরকার। ঐ আমেরিকান মেয়েটি যেভাবে হাঁটছে তুমি তো তাও পারছ না। তোমার কারণে ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েনি এটাই তো অনেক।
সেকি হাসি তাদের। আমি ধমকের সুরে বললাম, চুপ থাক, বান্দরের দল। আমার ধমক খেয়ে ওরা আরো হাসছে। মনে মনে বললাম, ওরা আসলে ঠিকই বলেছে ,আমার এক্সাসাইজ দরকার।