মিসরে সংবিধান অনুমোদন আর বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের দমন

মাহমুদ সাঈদ
Published : 24 Dec 2012, 03:47 AM
Updated : 24 Dec 2012, 03:47 AM

সংগঠনটির বয়স ৮৪ বসর। এ ৮৪ বছর দুধে ভাতে কাটেনি। কেটেছে বাংলাদেশের মত, জামাল আব্দুল নাসের, আনোয়ার সাদাত, হুসনী মুবারকের হাতে জেল জুলুম গুম অপহরন সন্মানহানী, দেশত্যাগ আরও কত কিছুর মাঝে। অত্যাচার অনাচার আর অন্যায়ের পরিমান ও পরিধি যত বেড়েছে, আল্লাহর মদদ ও তত তরান্বিত হয়েছে। জনতার ভালোবাসা ও তাতে মজবুত হয়েছে। ৮৪ বছর পর জনতা মুরসির ব্রাদারহুডকে তাঁদের শাসক হিসেবে নির্বাচন করেছে। মুসলিম জাহানে একটি ঠাণ্ডা বাতাস ছড়াচ্ছে। অনেক দেশেই সে বাতাস পাল তুলছে। বাংলাদেশেও লাগবে কিছুটা। আমার তো মনেহয় দেশের বড় দুই দলের যাতাকল থেকে মানুষ বের হতে চান। রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে মিসরের গনরায়ের মধ্যে দিয়ে যা হল, তাতে আমরা হয়তবা কিছুটা আশান্বিত হতে পারি।

আমার মিসরী বন্ধু মুহসিন বিলতাযী এবং ডঃ নাজলা'র মতে মিসরের নির্বাচনের এ রায়ের চেয়েও জনগণের ভালবাসা ও প্রত্যাশা এবং চমক অনেক বেশী। তাঁরা ব্রাদারহুডকে ভাল বাসেন। তাঁদেরকে বিগত ৮৪ বসর অনেক জেল যুলুম, নির্যাতন, ফাঁসি, গুম সইতে হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট হয়েছে ৮৪ বছর পরে। জয়নব আল গাযালী, হাসান আল বান্না, সাইয়েদ কুতবসহ আরও কত জনকে ফাঁসী দেয়া হয়েছে তাঁর তালিকা হয়তবা কোনোদিন প্রকাশ পাবে না। তবে বিজয়ের মাধ্যমে এ যাবতকালের সকল অন্যায়ের জবাব দেয়া হয়েছে।

অ্যামেরিকার একটি ইউনিভারসিটির প্রফেসর ডঃ মুরসী, ব্রিটেনের নামকরা সমাজবিদ ডঃ কামাল হিলবাবী, কাতার ইউনিভারসিটির ডঃ কারযাবীদের মনীষায়- গবেষণায় মিসরে বিজয়, আর ডঃ ঘানুসির তিউনিসিয়ায় বিজয়ের মত
বাংলাদেশের মত মুসলিম রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেবার মত অনেক বিজ্ঞজন সারা দুনিয়ায় অপেক্ষমান। সময় হলেই তাঁরা এগিয়ে যাবেন।