সারা দুনিয়ায় মুসলিম অপরাধীর সংখ্যা অনেক কম

মাহমুদ সাঈদ
Published : 12 May 2012, 10:21 AM
Updated : 12 May 2012, 10:21 AM

আজ সকালে এক ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কথা বলছিলাম। আলোচনার মাঝে তিনি বলেই ফেললেনঃ আমার মনে হয় ইসলামই মানবতার জন্য একমাত্র সমাধান। ইসলামকে কালার করা হচ্ছে অনেক অন্যায় ভাবে। তিনি আরো বললেনঃ গত ৬ বছরে আমি একজন মুসলিমকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধী হিসেবে পাইনি। জেনে বোঝে কেউ ইসলাম প্রাকটিস করলে সে অপরাধ করতে পারেনা। তখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষক বললেনঃ ২০০৫ সালে তার বিভাগের এক গবেষণায় নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে অভ্যস্ত কোন কয়েদীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাওয়া যায় নি।
বরিশালের যে গ্রামে আমার জন্ম সেখানে ছোট বেলার অনেক ঘটনার কথা আজও মনে পড়ে। অভাবের তাড়নায় যারা চুরি করত ওরা সকলেই নামে মুসলিম ছিল। কামে নয়। অনেক বাড়ীঘর চুরি হত, যখন লোকেরা মসজিদে নামাজে থাকত। জামাতে নামায পড়ে জুতার তাকে মুসল্লি সাহেব জুতা খুজে পান না। তাঁর জুতা কখন চুরি হল? ১৯৯৩ সালে 'উমরা করার সময় আমার জুতা চোরকে গুড প্রাক্টিসিং মুসলিম মনে হয় নি। ১৯৯৮ সালের এপ্রীল মাসের কথা। সূর্য সেন হল মসজিদে ইশার নামাযান্তে দেখি আমার রুমের (১১৭) জানালা, গ্রীল, কাঁচ ভেংগে দামী যা যা ছিল সব অন্যের মালিকানায় চলে গেছে। সময় লেগেছে মেক্সিমাম ১০-১৫ মিনিট। মানে এশার জামাত চলাকালীন সময়ে সব শেষ। তাহলে চোর অন্তত নামায পড়ে নি। আমার প্রিয় বন্ধু নেসার (বর্তমানে পাঞ্জেরী ইসলামী পাবলিকেশন্স এর মালিক) বলেছিল, তার জসিম উদ্দীন হলের ৫/৬ জন ছাত্র আলু ভাজী আর ভাত রান্না করে যোহর নামায পড়তে যায়। নামায শেষ করে রুমে ঢুকে দেখতে পেল ভাতও নেই, আলুও নেই। নিঃসন্দেহ তাদের ভাত বেনামাযীর পেটে ঢুকেছে। ওরা আর যাইহোক নামায পড়ে নি।