মজলুমের গলা যখন চেপে ধরা হয়

মাহমুদ সাঈদ
Published : 3 June 2012, 03:52 AM
Updated : 3 June 2012, 03:52 AM

যখন বাদশাহ আব্রাহা কাবা ঘর ধ্বংস করতে আসে, তখন কাবার মুতাওল্লী ছিলেন নবীজীর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। তিনি তার একটি উট হারিয়ে ছিলেন। একজন এসে তাকে আব্রাহার হস্তি বাহিনীর কাবা ধ্বংস করতে আসার কথা জানালেন। তিনি বললেন- আমি উটের মালিক, তাকে খুঁজে বের করা আমার দায়িত্ব। কাবার মালিক কাবা রক্ষা করবেন। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি মুখে ধারণ করা বুটের দানার আঘাতে আব্রাহার টোটাল সোলজারকে ভস্মীভূত করে দেয়। এগুলো আল্লাহর ক্ষমতার সামান্য এক্সাম্পল। আমাদের দেশে যা হচ্ছে, তা দমনে আবাবীল পাখি দরকার নাও হতে পারে।
নিজেদের পাওয়ার রক্ষা করার জন্য যা যা করা হচ্ছে তার ভেতরে জেল জুলুম হল অন্যতম। আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) মজলুমের আর্তনাদকে ভয় পেতে বলছেন। কারণ মজলুম আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড গত ৬০ বসর যাবৎ যুলুমের স্বীকার হয়েছে। সবরের পরীক্ষায় তারা শুধু উত্তীর্ণ হন নি, তারা ফিরাউনের উত্তরসুরীদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম কে বিজয়ী করা যায়। সাম্প্রতিককালে হুসনী মুবারকের যাবতজীবন কারাদণ্ডাদেশ যুলুমের জবাবের একাংশ।
৯০% মুসলিম নাগরিকদের দেশ বাংলাদেশকে যে ভাবে ধর্মহীন করার পাঁয়তারা চালানো হোচ্ছে তার পরিণতির ভয়াবহতার কথা চিন্তা করা টাফ।