আজ ১৬ই জুন, ২০২৫ । আজকে তার উনিশতম জন্মবার্ষিকী । এখন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দ্বিতীয় বৎসরের ছাত্র । অস্বাভাবিক বুদ্ধি ও মেধা থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার এর কোন ইচ্ছা তার নেয় । এক অস্থিরতা ও বিষণ্ন্নতার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে তার জীবন। কেমন অগোছাল চুল। গা এর রং ধুসর । কেও না জানলেও এটা সত্য যে নেশাগ্রস্তদের তালিকায়ও তার নাম আছে। অনেকেই তাকে বখাটে ছেলের নাম দিয়েছে। কিন্তু যে ছেলের মাত্র ছয় বৎসর বয়স থাকা সময় ,তার চোখের সামনে তার বাবা-মা কে একসাথে খুন করা হয় নির্মমভাবে, সে কিভাবে স্বাভাবিক অবশ্যই থাকতে পারে?
একবার এটা ভেবে নেয়া সম্ভব যে ছয় বৎসর বয়সকেও তার বাবা-মার খুব প্রত্যক্ষ করতে পারে কিন্তু যদি তার তের বৎসর পরও তার বাবা-মার খুনি ধরা নাই যাই তবে নিঃসন্দেহে তার এমন অবস্থা স্বাভাবিক । কিন্তু যে আকাশে প্রকৃতপক্ষে সে এখন তার বাবা-মার পরিচয় প্রকাশে লজ্জাবোধ করে । এর কারণ হচ্ছে এই দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ মানুষকে তার বাবা-মা সম্পর্কে " পরকীয়া " ব্যাপারে একটা ভুল কিন্তু দৃঢ় ধারনা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে । অর্থাৎ তার কাছ থেকে শুধু তার বাবা-মা ছিনে নেয়া হয় নি । ছিনে নেয়া হয়েছে তার নিজের সত্তা তার নিজের আবেগ । আকাশের চন্দ্র-সূর্য এর মতই ছিল তার বাবা-মা তার কাছে এবং সে ঐ আকাশে শুকতারা হয়ে গড়ে উঠতে চেয়েছিল । কিন্তু যে আকাশে চন্দ্র-সূর্যই তার স্থান ধরে রাখতে পারে না তাতে আবার শুকতারা কি পারবে প্রশ্ন হল তাই ।
ও ভুলেই তো গেলাম বলতে যে ছেলেটার নাম "মাহিন সরওয়ার মেঘ"
**** আমার সম্পূর্ণ লেখা আসলে একটা ধারনার উপর ভিত্তি করেই বলছি , যা হওয়া সম্ভব । আমরা সাগর -রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভাবছি তবে ভাবছি না তাদের সন্তানকে নিয়ে । যে সন্তান এর দায়িত্ব নেয়ার কথা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি হয়ত তার সবই ভুলে গিয়েছেন । ****