দেশ নিয়ে ভাবতে গেলে শিউরে উঠি! দেশ আজ চালাচ্ছে কে? এরা কি দেশপ্রেমিক নাকি বৃটিশ বেনিয়াদের দল? এরা কি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত না কি ফেরাউনের আদর্শে অনুপ্রাণিত? দেশের ৯০ ভাগ লোক মুসলমান, এদের আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (স.) নাকি ইহুদী-খৃীষ্টান? দেশ যারা চালাচ্ছে তারা না মুজিবের আওয়ামীলীগ, না জিয়ার সেনা, না মুসলমাদের আদর্শে উজ্জীবিত? দেশ যারা চালাচ্ছে তারা পুরো দস্তুর ব্যবসায়ী। তারা মানুষের দু:খ দুদর্শা দেখেন না। তারা অন্ধ। তারা দেশের মানুষের দু:খ কষ্টের কথা শুনে না। তারা বধির। তারা পায়ে হেঁটে গ্রামে খলিফাদের মত বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সমস্যা খুঁজে দেখে না। তারা পঙ্গু। তারা টিভিতেও মানুষের কথা শুনে না। তারা গোঁয়াড়।
যারা দেশ চালাচ্ছে তারা মনে হয় না আমার সোনার বাংলাদেশকে ভালবাসেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে না, সম্মান করে, মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ কাহিনী তাদের চোখে জল আনে না। আনলে তারা তো তাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেষ্টা করতেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তার চারপাশের পাচাটদের দুরে ঠেলে দিয়ে সঠিকভাবে দেশটা চালাতে পারেন না? সাধারণ জনগণ তো দেশপ্রেমিক। দোহাই প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু শক্ত হাতে হাল ধরুন। আপনার দেশটার আসল অবস্থাটা আজ অনুধাবন করুন। দেশের সকল সাধারণ মানুষেই কিন্তু দেশপ্রেমিক। তারা কিন্তু দেশকে ভালবেসেই দেশদ্রোহী হয়ে উঠতে চায়। তাদের দ্রোহ আপনার মন্ত্রী, আমলা, বিচারপতি, বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে।
দেখুন দেশে কোন রাস্তা হচ্ছে না, ট্রাফিক জ্যাম কমছে না, ঘুষ ছাড়া কিছুই হচ্ছে না, লাশ নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হতে শুরু করে আপনার উপদেষ্টা পর্যন্ত সবাই আজ দুর্নীতিগ্রন্থ। এদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আজ বিদ্রোহ। এরা যেহেতু দেশ চালাচ্ছে বলতে পারেন এটা এই দেশেরই বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহীরা আরেকটা যুদ্ধ চায়। কিন্তু কার বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করবে বলতে পারবেন? দেশ দেশের বাইরের কেউ চালাচেছ না। কাজেই হাল ধরুন। শক্ত হাতে হাল ধরুন। নইলে দেশের মানুষই দেশদ্রোহী হয়ে উঠবে। তখন কতজনকে দেশদ্রোহীর মামলায় জড়াতে পারবেন? এখনো সময় আছে বিজয় দিবসের এই দিনে নতুন করে সবকিছু শুরু করুন। সাধারণ মানুষ থাকবে আপনার পেছনে যেমন ছিল আপনার বাবার পেছনে। নইলে ঠিকই মানুষ আবার একটা যুদ্ধ শুরু করবে। আবার দেশে থেকেই দেশদ্রোহী হয়ে উঠবে।