পি এস সি পরীক্ষা এবং কেউয়ের আশায় তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় থাকা…
গত দুই বছর কাশিল ইউনিয়নের পাঁচটি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে মাত্র একটা কিন্ডারগার্টেন হতে পি এস সি পরীক্ষায় ছয়জন এ প্লাস পেয়েছিল সেখানে এই ইউনিয়নের ছয়টি কিন্ডারগার্টেন হতে এবার প্রায় পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছিল গতবার যে বিদ্যালয় হতে তিনটি এ প্লাস পেয়েছিল সেখানে এবার সেই স্কুল হতে ২০ জন এ প্লাস পেয়েছে যে বিদ্যালয় হতে গতবার দুইটি এ প্লাস পেয়েছিল সেখানে এবার ২২ জন এ প্লাস পেয়েছে এটা কি আমাদের সরকারের সাফল্য না প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফলাফল ইংরেজীতে নিজের ঠিকানা লিখতে পারে না অথচ এ প্লাস পেয়েছে বাংলা রিডিং পড়তে পারে না অথচ এ প্লাস পেয়েছে এই রকম শিক্ষিত হওয়ার কোন মানে হয় না এরা না পারবে কায়িক পরিশ্রম করতে না পারবে দাপ্তরিক কোন কাজ করতে এদের অবস্থা হবে এরকম সৈয়দ বাড়ির পোলা রিক্সা চালাতে পারবে না কিন্তু চুরি করতে পারবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে চোর বানানোর চক্রান্ত চলছে ইউরোপ আমেরিকা আর আরব দেশের মেথর, ঝাড়ুদার কুলি, মজুর বানানোর জন্য আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে তৈরী করা হচ্ছে অত্যন্ত কৌশলে আমরা কি এটা বুজতে পারছি না, না কি বুঝতে চাচ্ছি না, না কি বুঝেও না বুঝার ভান করছি এতে তো আমলা আমলা শ্রেণি, মন্ত্রী-এমপি, ধনীক শ্রেণি , বুদ্ধিজীবী এবং বিজনেস ম্যাগনেটদেরই লাভ তাই তো এটা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই টক শোতেও এইসব বলার লোক নেই আশা করি, কেউ না কেউ টক শো এসব কথা বলবে কেউ না কেউ পত্রিকায় এসব কথা লিখবে কেউ না কেউ এসব নিয়ে সিনেমা-নাটক লিখবে সেই কেউ না কেউয়ের আশায় তীর্থের কাকের মত অপেক্ষায় রইলাম