পৃথিবীর কোন ভাষাই যথেষ্ট নয়,এ বেদনা বর্ণনা করার মতো-পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ।বিন্দুমাত্র মানবিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষও বেদনাহত হবেন জুবায়েরের পিতার অঝোর কান্নার দৃশ্য দেখে।কিন্তু কষ্টের তীব্রতা আরও প্রবল হয়,সহ্য ক্ষমতা বাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম হয়,যখন দেখি আমার পিতৃতুল্য ভিসি স্যার হত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গাইছেন।(পাঠক একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, এখন কিন্তু মহব্বত আলির একদিন টাইপ উপন্যাস আর লেখা হয় না কিংবা ভিসি মহোদয়কে কটাক্ষ করে লেখাও ছাপা হয় না।)সাংবাদিক কলামিস্টরা দিস্তা দিস্তা কাগজ কলম খরচ করেছেন ছাত্ররাজনীতির কুফল বর্ননায়।কিন্তু ফলাফল শুন্য।
ভয়ঙ্কর সেই মৃত্যু যন্ত্রণা।গায়ের লোম দাঁড়াতে বাধ্য।রড এবং চাপাতি দিয়ে ঘণ্টাখানেক সময় ধরে আঘাত করা হয়েছে তার শরীরে।চামড়ার উপর থেকে আঘাত পৌঁছে গেছে ফুসফুস অবধি।এর চাইতেও জঘন্য ভাবে খুন করা হয়েছিল আবিদ,ফারুকদের।কিন্তু আবিদ ,যুবায়ের,আবুবক্কর সিদ্দিক,ফারুকদের মৃত্যুতে কার কি যায় আসে?যাদের আসা যাওয়ার কথা ছিল তাদের সন্তানরা এদেশের কুৎসিত রাজনীতিযুক্ত ,সেশনজট সমৃদ্ধ ক্যাম্পাসে পড়েন না,এদেশে পড়ালেখা করেন না।তবে আশার কথা হচ্ছে,যে পঁচন মাথা থেকে শুরু হয়েছে তা একটা সময় সারা শরীরে একসময় ছড়াবেই,কেউ বাঁচতে পারবে না।এটা আমার কথা না।ইতিহাস সাক্ষী।সব বিচারপতির বিচারক একজন তো আছেন যিনি আমার আপনার সবার আদ্যোপান্ত জানেন।শেষ মারের লাঠিটা কিন্তু তাঁর হাতেই।সেদিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমাদের মজলুমদের আর কোন উপায় নেই।
তবে আমাদের বিচারের ও একটা দিন আমাদেরও আসে পাঁচ বছর পরপর।এবার আর কোন চিন্তা ভাবনা নয়-কোন ভণিতা নয়।আমি ঠিক করেছি যে দল তাদের প্রধান ইস্তেহারের একটি হিসেবে ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধকরন ও র্যাাগিং নামের মানসিক নির্যাতন বন্ধের কার্যকর প্রতিশ্রুতি দিবেন,আমার ভোট তাঁর ব্যালটেই পরবে।শপথ করে বলছি ,আপনার অতীত নিয়ে আমি দ্বিতীয়বার ভাববো না,কোনো কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলব না।শুধু যুক্ত করবেন আর চোখ বন্ধ করে আপনার দলকেই ভোট দিব-জবান দিলাম।
পুনশ্চঃ কেউ কেউ আমাকে পাগল বা স্বপ্নবিলাসী ঠাওরাতে পারেন।কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চয় একমত হবেন যে,আমরা যদি একত্রিত হয়ে যুদ্ধপরাধীদের বিচার করতে পারি তবে আমার ভাই-বোনকে বাঁচাতে এই দাবির সাথে একমত হতে পারবোনা কেন?
সংযুক্তিঃ ইত্তেফাক হতে ঃ