সংসদের বাহির থেকে বলছি

মুকতাদির মির
Published : 25 March 2012, 04:01 AM
Updated : 25 March 2012, 04:01 AM

বাংলা ডেইলি পড়ে কান গরম হওয়া কিংবা ইয়া খাড়া হওয়া আমার জীবনে এটাই প্রথম!ভুল বুঝার কোন অবকাশ নাই,ইয়া মানে গায়ের লোম আরকি!আমার ভাবতে অবাক লাগে বাংলাদেশের মতো একটা গরিব দেশের সরকার লুই আই কানকে দিয়ে এতো সুন্দর একটা স্থাপনা বানিয়েছে শুধু মাত্র কুৎসিত ভাষাচর্চার জন্য!তবে সংসদের এহেন হালে সবচাইতে খুশি সম্ভবত এরশাদ চাচা।কারণ উনার রেখে যাওয়া ত্রিশ সেট অলঙ্কারের শোকেস এখন রেস্লিং স্টেজে রূপান্তরিত হয়েছে।ভাগ্য ভাল থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আমরা হয়তো দুএকজন লায়লা আলি পেলেও পেতে পারি।নারী সাংসদদের এমন পরিস্থিতি যদি এরশাদ সাহেবের খুশির কারণ হয়,তবে তা সাকা চৌধুরীর কপাল চাপড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়াবে।হয়তো এই ধরনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর আবির্ভাবে তাঁর স্থান দখল হয়ে যাবে।আওয়ামী লীগ তো বটেই তাঁর নিজের নিজের দলে এমন সব মারদাঙ্গা সাংসদ থাকার পরে তাঁর প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশেই ফুরিয়ে আসবে।লেখার কলেবর বাড়িয়ে লাভ নেই।তারচে বরং একটা প্রস্তাব আর জিজ্ঞাসা দিয়ে লেখাটা শেষ করি।জিজ্ঞাসাটা হচ্ছে এই নারী সাংসদদের স্বামীদেরকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে চিনেন কিনা?একজন পুরুষ হিসেবে স্বভাবতই তাঁদের জন্য করুণাবোধ করছি।আর প্রস্তাবটা হচ্ছে সংসদে সাংসদের উপস্থিতির উপর রেটিং করা হোক।ধরুন আজ মারদাঙ্গা নারী সাংসদগন আসবেন তাহলে আজকের পত্রিকায় রেড নোটিশ জারি করা হবে যাতে বাচ্চারা টিভির সামনে না বসে।অথবা সংসদের কার্যক্রম রাত এগারটার পরে শুরু করা যেতে পারে।শত হোক নিজের ভাইবোন-সন্তান-ভাতিজা-ভাগ্নিদের মুখের ভাষা কিংবা দৈহিক আচরণ তো শালীন করতে হবে!