অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা ‘দুর্মুজ কমিটি’ গঠন করুন

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল
Published : 23 May 2012, 06:04 PM
Updated : 23 May 2012, 06:04 PM

ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পরিহার করে, মানবতার কল্যানে, ন্যায়ের পক্ষে মজলুম মানুষকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে যারা বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাদেরকে দুর্মুজ কমিটি গঠন করে যেখানে অন্যায় সেখানে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের সংগ্রামে, নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কবির । তিনি বলেন, এই "দুর্মুজ কমিটি"ই হবে প্রকৃত মানবাধিকার নিশ্চিত করার কমিটি, দেশের সকল নাগরিক এ কমিটিকে সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশাবাদী। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে রা করতে হলে এখনই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। অন্যথায় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখোমুখি দাঁড়াবে। বারবার ওয়ান ইলেভেনের মত সরকার এসে দেশের বারোটা বাজাবে।

আজ এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির আরও বলেন, স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশের মানুষ ন্যায্য অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। দু'মুঠো ভাত খেয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে, জুলুম-নির্যাতন হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে, এমন প্রত্যাশা নিয়ে ৭১ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ ল শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানরা এদেশকে পাকিস্তানিদের হাত থেকে মুক্ত করেছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সে আশা ভরসা আজ অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে। স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশে সাধারণ নিরীহ মানুষ আজ পরাধীনতার শৃংখলে বন্দি। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কায়েমী স্বার্থবাদ, মজুদদার, মোনাফা খোর, নানা প্রকারের সিন্ডিকেট, ক্ষমতাসীনদের অবৈধ ক্ষমতার দাপট, অবৈধ ও কালো টাকার কাছে সকলেই যেন জিম্মি।

তিনি বলেন, যাদের কাছে অবৈধ অর্থ রয়েছে, ক্ষমতাসীনদের আর্শীবাদ অথবা মতার কাছাকাছি কোন রকমের আত্মীয় স্বজন রয়েছে তারাই কেবল এদেশে কোন রকমের নাগরিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারছে। এর বাইরে যাদের অর্থ কিংবা মতার দাপট দেখানোর কোন সুযোগ নেই তারা অহরহ লাঞ্চিত, বঞ্চিত, অপমানিত এবং অধিকার হারা হচ্ছে। অফিস-আদালত, পরিবহন, জনপ্রতিনিধি, হসপিটাল, থানা-পুলিশ কোন স্থানেই তাদের সমস্যার কথা শোনাবার সুযোগ নেই। স্বাধীন-স্বার্বভৌম নিজ মাতৃভূমিতে তারা আজ অবৈধ অর্থ ও অবৈধ মতার দাপট না থাকার কারনে পরাধীন। এর পরে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি তো রয়েছেই। সাধারন অবস্থা দেখে মনে হয় সুযোগ ও সামর্থ থাকলে তারা অন্য কোন দেশে বসবাসের চেষ্ঠা করত।

দেশের জনগন আবার পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে নতুন করে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কায়েমী স্বার্থবাদ, অবৈধ মতা ও কালো টাকার মালিকদের নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়।