ছোট মুখে বড় কথা

মোকতেল হোসেন মুক্তি
Published : 20 Oct 2011, 05:09 AM
Updated : 20 Oct 2011, 05:09 AM

আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ আর ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সারা জীবনের স্বপ্ন সাধনার ফসল সোনার বাংলা" একদিন স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হলো। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় পি আই এস আই'র হীন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট ক্ষমতা দখল করে নিলো কতোগুলো বিপথগামী কুলাঙ্গার সেনা সদস্য যার পরোক্ষ নেত্রীত্বে ছিলো মেজর জিয়াউর রহমান এবং জিয়া কর্তৃক আইন বহির্ভূতভাবে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে হত্যা করা কর্নেল তাহের ।

এর পর থেকেই শুরু হলো বাংলাদেশে পুণঃরায় পাকিস্তানের আধিপত্যবাদ বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা । সে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিয়া সুকৌশলে পাকিস্তানের দালালদের পর্যায়ক্রমে বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করলো। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বিরোধী উচ্চ শিক্ষিত পাকি দালাল শাহ আজিজ হল প্রধানমন্ত্রী। আনোয়ার জাহিদ হলো জিয়ার উপদেষ্টা। কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল আলীম হল জিয়ার মন্ত্রী পরিষদের সদস্য। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের গুরু আল্লামা মউদুদীর শিষ্য পাকিস্তানের নাগরিক গোলাম আযমকে দেয়া হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। পাকিস্তান লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ট্রেনিংপ্রাপ্ত পাকিস্তান আই এস আই'র সামরিক গুপ্তচর সমরাস্ত্র নিয়ে গেড়ে বসলো বাংলার মসনদে । অন্যান্য সব পাকি যুদ্ধাপরাধী দালাল, আল বদর, আল শামস আর রাজাকার বাহিনী সামরিক ও বেসামরিক উচ্চ পদগুলো দখল করে নিলো। চেষ্টা করা হলো বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর ।এই হল স্বাধীনতাত্তোর বিগত ৪১ বছরের রক্তাক্ত ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। যে ইতিহাসের শেষ পংতি এখনো লেখা হয়নি। এখনো সেই ৭১ এর ঘৃণ্য নরপশু নরঘাতক দেশে বিদেশে লুকিয়ে আছে। যেদিন এই হায়েনা পশুদের অপকর্ম অপকীর্তির যথার্থ বিচারের আওতায় না আনা হবে, ততোদিন "বাংলার ইতিহাস, বাঙ্গালীর ইতিহাস, এ দেশের মানুষের রক্তে রঞ্জিত করার ইতিহাস" এর শেষ অধ্যায়ের শেষ লাইনটি হয়তো হুমায়ূন আহমেদ এর রম্য রচনার মতো করেই লেখা হবে।" তুই রাজাকার, থুহ রাজাকার, নিপাত যাহ, বাংলা ছাড়" যার চরিত্র বিশ্লেষণে এখনো নায়ক আর খলনায়কদের চিনহিত করে যথার্থ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।

ওরা এখনো গোটা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে গঞ্জে আস্তানা গেড়ে আছে ধর্মের নামে, ইসলামের নামে, ক্বোর'আন ও ধর্মীয় শিক্ষার নামে এবং ওদেরকে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক পরিচালনা/নির্দেশনা দিচ্ছে, তাদের কেউ না কেউ, কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের ভিতরেও প্রবেশ করতে পেরেছে। গা'ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে আছে। এদের খুজে বেড় করা একান্ত প্রয়োজন । এখনি সঠিক সময় ।