কারা শহীদ, মুক্তিযোদ্ধারা নাকি রাজাকাররা?

খান ইখতিয়ার
Published : 13 May 2016, 07:26 AM
Updated : 13 May 2016, 07:26 AM

১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর কুলাঙ্গার রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামের নরঘাতকরা এদেশের স্বাধীনতাকামী আপামর জনতার রক্তের নেশায় মেতে উঠেছিলো। তাদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ন্যায়ের পথে তারা দেশমাতৃকার প্রেমে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাই আমরা তাদের পরম ভক্তিভরে "শহীদ" বলি। শহীদ একটি ইসলামী পরিভাষা। ধর্মের জন্য কিংবা সত্য ও ন্যায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারীকেই শহীদ বলে।
১৯৭১ এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষ ছিলো একটি,বঞ্চিত এ জাতির স্বাধীকার আন্দোলনের সৈনিকেরা। বিপরীত মেরুতে থাকা পাক হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা অন্যায়, জুলুম ও পাপাচারের প্রতিভূ। তাই এসব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর তাদের শহীদ আখ্যায়িত করা সরাসরি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ও অস্বীকার করা। এটা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রদ্রোহ।
একেকটি কুখ্যাত রাজাকারের ফাঁসির দিনক্ষণ আসে আর ফেসবুকে দেখি ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই তারা কথিত শহীদ বলে পেজ তৈরী হয়ে যায়। পরশু তো দেখলাম, ফাঁসি কার্যকরের ৩৫ মিনিট আগেই বদর কমান্ডার নিজামীকে শহীদ করে দিয়ে একজন ইন্নালিল্লাহ পড়ে ফেলেছেন, যথারীতি পেজও খোলা হয়ে গেছে ফাঁসি কার্যকরের আগেই।
হায়রে দেশের ধর্মব্যবসায়ীরা, একাত্তরে রক্তনদী বইয়ে দিয়েও এরা শহীদ, নির্যাতিতা নারীটির আর্তনাদ একটু স্মরণ কর্‌রে উন্মাদের দল। ইসলামকে আর কত ডুবাবি তোরা?