সারাদেশে জমাত-শিবিরের আরজকতা ও চোরাগুপ্তা হামলায় সাধারন মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে ওঠছে। রাস্তায় পুলিশের সাথে জমাত-শিবিরের সংঘর্ষের কারন ভিত পরিস্থিতিতে সাধারন জনগনের নিরাপদে চলাচল এবং স্বাভাবিক কাজকর্মে ঘরের বাহির হতেও ভয় করছে। যে কোন মুহুর্তে হঠাৎ করে মিছিল এবং সাথে সাথে আইনশৃংখলা বাহীনির সাথে রক্তক্ষয়ী মড়নপন সংঘর্ষের সংবাদ গুলি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার কল্যানে ঘরের বৌ-ঝিয়েরা জানতে পারেন এবং যে কোন মুহূর্তে স্বামী,সন্তান,ভাই হারানোর আশংকায় আতংক গ্রস্থ দিনাতিপাত করছে। আর এই কারনে সাধারন জনগনের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
একটি পত্রিকার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে,জমাত-শিবিরের ৫০০ আত্মঘাতি কর্মী নিয়ে বড় ধরনের একটি জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আর এই সংবাদটি যদি সত্য হয় এবং তা ঘটে তবে এর ক্ষয়-ক্ষতির পরিনাম কতটা তা ভাবলে আৎকে ওঠা ছাড়া আমাদের মত সাধারন জনগনের আর কিছুই করার নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতি তৈরি করে জমাত-শিবির জনগনের কতটা আস্থাহীনতায় পড়ছে তা বুঝতে না পারার মত বোকা তারা নয়। তবে এর প্রভাবে জমাত-শিবিরের পক্ষে সাফাই গাওয়া আমাদের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির ওয়ান এলিভেন পরবর্তী বিপর্যস্ত দলটি জনগনের যতটা আস্থা অর্জন করেছিল তাতে নিম্নগতির প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে ওঠেছে।
খোদ বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের সাধারণ নেতা-কর্মীরা জমাত-শিবিরের এহেন কর্মকাণ্ডে হতাশাগ্রস্ত হয়ে ওঠেছে। বিএনপির ঘারে ভর করে ৭১'র মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের হোতা এবং যুদ্ধাপরাধের দায় মাথায় নিয়ে এতদিন বহাল তবিয়তে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করে এখন তারা বিশাল একটি দলের ক্ষমতার বেকআপ গ্রহন করে সেই দলটিকে সাধারন জনগনের কাছে প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলাকে দলের নেতা কর্মীরা এত সহজে মেনে নিতে পারছে না।
আর এই পরিস্থিতি অব্যাহত ভাবে অর্থাৎ জমাত-শিবিরের এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে দেশের পরিস্থিতি যে কোন দিকেই মোড় নিতে পারে। তবে এই সব কর্মসুচি দিয়ে জমাত-শিবির কতটা লাভবান হবে তা সময়ই বলে দেবে,কিন্তু বিএনপিকে এর মাশুল গুনতে হবে খুব চড়া দাম দিয়েই এটা এক প্রকার নিশ্চিত।