মোস্তাকিম সাহেব বাজারে যান একটু সকাল সকাল। কারণ তরতাজা সবজি আর মাছ পাওয়া যাবে। আজ তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে বাজারের ব্যাগ নিতে ভুলে গেলেন। বাজারে গিয়ে সে কথা খেয়াল হলো। যা হোক, বাজার করার সময় দোকানিরা পলিব্যাগে ভরে সদাই দেবেন; আজ না হয় সমস্যা হবে না।
সদাই কেনা শেষে তিনি দেখতে পেলেন মোটামুটি সাতটা পলিব্যাগে জিনিসগুলো রাখা আছে। হঠাৎ পাশের একটি দোকানে চোখ পড়ল একটি পাটের ব্যাগ ঝুলছে। দেখে মনে হল অনেক দিন ধরে এভাবে রয়েছে।
দোকানদারকে বললেন, ব্যাগের দাম কত?
দোকানি বললেন, ৫০ টাকা।
মোস্তাকিম সাহেব চিন্তা করে দেখলেন, উনার কাছে সাতটা পলিব্যাগে বাজার রাখা আছে। ধরা যাক, একজন গড়ে পাঁচটা পলিব্যাগ বাজার করার জন ব্যবহার করেন। যদি এক হাজার ক্রেতা প্রতিদিন বাজার করেন তাহলে প্রতিদিন পাঁচ হাজার ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে।
বাড়িতে বাজার নেওয়ার পর ব্যাগগুলো সাধারণত ময়লার বালতিতে ফেলে দেওয়া হয়। তাহলে ৩০ দিনে এই বাজার থেকেই দেড় লাখ ব্যাগ পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠছে। এরকম একশটি বাজার থেকে এক মাসে দেড় কোটি পলিব্যাগ পরিবেশে ছড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে ৫০ টাকার একটি পাটের ব্যাগ কম করে হলেও যদি ৩০ দিন ব্যবহার করা যায় তাহলে এই হিসাবটা কেমন হবে? অবশ্যই ফেলা দেওয়া অজস্র পলিব্যাগ পরিবেশ দূষণ করতে পারবে না। শতভাগ পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ ব্যবহারের পর মাটিতে ফেলে রাখলে তা পচে গিয়ে উর্বরতা বৃদ্ধি করে। অর্থ্যাৎ পাটের ব্যাগের ব্যবহার যেমন খরচ বাঁচায় তেমনি পরিবেশকেও দূষণমুক্ত করতে ভূমিকা রাখে।