নাটোরে দু’ মাসের টুকরো স্মৃতি

নাজমুল ইসলাম
Published : 13 June 2015, 07:16 AM
Updated : 13 June 2015, 07:16 AM

বাংলাদেশ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেসন ট্রেনিং সেন্টার (বিপিএটিসি) হতে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এর অংশ হিসেবে আমরা নাটোরে গিয়েছিলাম। আমরা দশ জন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডার অফিসার দুই মাসের মাঠ সংযুক্তিতে নাটোরে ছিলাম। এই দীর্ঘ সময়ে আমরা পরিদর্শন করেছি নানা সরকারি- বেসরকারি দপ্তর। মিশেছি নাটোর জেলার নানা শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে। ঘুরে বেড়িয়েছি সবগুলো উপজেলায়। তারই কিছু টুকরো স্মৃতি আপনাদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করছি।

১৭ এপ্রিল, ২০১৫
নাটোর সদর উপজেলা

শৈশবে নাটোর বলতে দুটো বিষয়ের স্মৃতি আমার ছিল।  কাচাঁ গোল্লা ও বনলতা সেন। আমার শৈশবে পিতা তার কর্মস্থল থেকে সফরে গিয়েছিলেন নাটোরে। মাঝরাতে ফিরে এসে আমাদের ভাই- বোনদের তুলে অদ্ভুত জিনিস খেতে দিলেন। ঘুমঘুম চোখে আমরা খেলাম নাটোরের বিখ্যাত কাচাঁগোল্লা। স্বাদ বহু আগেই ভুলেছিলাম, কেবল মনে ছিল স্মৃতি। কোন এক ক্লাসে প্রথম হওয়ার জন্য পেয়েছিলাম একখানা কবিতার বই। তার প্রথম কবিতার শেষ লাইন, " মুখোমুখি বসিবার, নাটোরের বনলতা সেন" ছিল আমার আশৈশব নাটোর সম্পর্কে দ্বিতীয় স্মৃতি। পরবর্তী জীবনে স্মৃতির সংখ্যা বেড়েছে বটে, কিন্তু সে ভিন্ন কথা।

গত একমাস নাটোর শহরের নানা গলিতে ঘুড়ে বেড়িয়েছি। ছোট্ট কিন্তু ছিমছাম শহর নাটোর। রাস্তার ধারে, গলিতে এখনো দাড়িয়ে আছে পুরাতন জমিদার আমলের বিল্ডিং, পোঁড়ো বাড়ি, রাজবাড়ি, রাজপ্রসাদ। এক কথায় বলতে গেলে নাটোর যেন ইতিহাসের বই থেকে উঠে আসা 'ঝরে পড়া প্রাসাদের শহর'।

এ পর্যন্তই কাব্যিক, রোমান্টিক। বাকি অংশ আটপোরে, গতানুগতিক। আর যে কোন ঐতিহ্যের মতই এগুলো সংরক্ষণের বিশেষ কোন উদ্যোগ নেই। উদ্যোগে পরিকল্পনা নেই, পরিপক্কতা নেই।

এ শহরে নদী নেই। কেবল টিকে আছে নারদ নামক এক নদীর স্মৃতি, মৃতদেহ। কিন্তু রাজ-রানীর আমলের একাধিক দিঘী আছে, আছে সুবিশাল লাল দিঘী, কালী বাড়ির দীঘি। কিন্তু এ গুলোর অবস্থাও তথৈবচ। সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্ভবত এখনো অনুভূত হয়নি।
রাজবাড়ী, পুকুর- দিঘী, উত্তরা গণভবন সংরক্ষণ করার জন্য আরো বিস্তৃত পরিসরে চিন্তা করার সময় এসেছে। কেননা সভ্য জাতি মাত্রই তার ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেয়। নির্মহ ভঙ্গিতে খঁসে, ঝরে পড়তে দেয় না।

২০ এপ্রিল, ২০১৫
নলডাঙ্গা উপজেলা

আমাদের বহনকারী মাইক্রোবাস সবকিছু উড়িয়ে ছুটে চলে। পাটুল বিল পার হয়ে, আরো গভীরে।

নাটোরের এই অংশ এখন নবগঠিত নলডাঙ্গা উপজেলার অংশ।আমরা পৌছাই নাটোরের শেষ প্রান্তে নওগার আত্রাই উপজেলার সীমানায়। কৃষি বিভাগের ক্রপ-কাটিং দেখার জন্য। ক্রপ-কাটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কৃষি বিভাগ সারা দেশের বোরো উৎপাদনের হিসেব করছে।

এ এক বিচ্ছিন্ন জগৎ। পাটুল বৃহত্তর চলন বিলের অংশ। এর আরেক নাম হালতির বিল। দিগন্ত বিস্তৃত এই বিল। দুই দিকে কাচাঁ সোনার ঝিকিমিকি। বোরো মৌসুম উঠার পথে। যতদূর চোখ যায় কেবল ধান আর ধান। বিল চীরে চলে গেছে কংক্রীট রাস্তা। আমাদের গাড়ি এই রাস্তা ধরে ছুটে চলছে। বিলের মাঝে মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন গুচ্ছ গ্রাম, একটা গুচ্ছ থেকে আরেকটি অনেক দূরে। ভূমি থেকে অনেক উচুঁতে, বর্ষাকালে যাতে পানি না উঠে, তাই এমন ব্যবস্থা। বছরের পাঁচ মাস এ অঞ্চল বিচ্ছিন্ন থাকে। ডুবে যায় এই রাস্তা। তখন নৌকা হয় একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। বিল এখন শুকনো, ইঞ্জিন নৌকা গুলো পুকুরের পানিতে অলস ভীর করে রাখা।

আমরা যাই মৃত আত্রাই পাড়ের খাজুরা গ্রামে। সেখানে এক "বড় কৃষক" এর বাড়িতে আমাদের দুপুরের খাওয়ার দাওয়াত। গেরস্তবাড়ি। চার ভাইয়ের তিন ভাই মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী।বিদ্যুৎ আছে, আধুনিক জীবনধারা দৃশ্যমান। বিলের বিচ্ছন্নতা তাদের খুব বেশী বিচ্ছিন্ন করেনি। আমার মনে পড়ে এমন আরেক বিচ্ছিন্ন এলাকার কথা।কাপ্তাই লেক বিধৌত অঞ্চল। বিদ্যুৎ নেই, কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠে নি। পাহাড়ী তাই দূর্গম নয় শুধু, সত্যিকার বিচ্ছিন্ন। বাড়ির ভদ্রলোক আমাদের জন্য আয়োজনের ত্রুটি করেননি। পল্লী এলাকা আপনাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি বলে বারবার তিনি তার আন্তরিকতা প্রকাশ করেন। তার আন্তরিকতা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে। বলি, আমরা গ্রামেরই ছেলে। আপনি ব্যস্ত হবেন না। তবু তিনি ছুটোছুটি করতে থাকেন।

পড়ন্ত বিকেলে পাটুল বিল চিরে আমরা ফিরে আসতে থাকি।বিলের বিশালতা আর সোনালী স্বপ্ন আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয়।


২১ এপ্রিল,২০১৫

গুরুদাসপুর উপজেলা

প্রচন্ড রোদেরর মধ্যে আমরা তরমুজ ক্ষেতে দাঁড়াই। তরমুজগুলো যেন আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে! আমার কেবল শৈশবের সেই "বোকা লোক ও ঘোড়ার ডিম" গল্পের কথা মনে পড়ে। সেই যে সেই গল্প, যে গল্পে এক বোকা লোককে ঘোড়ার ডিম হিসেবে তরমুজ গছিয়ে দিয়েছিল এক চতুর ব্যক্তি। চলন বিলের এই গুরুদাসপুর উপজেলা অংশ সিংরা বা নলডাঙ্গা থেকে আলাদা। এই দিকে দেখলাম ধান নয়, বিল জুড়ে রয়েছে তরমুজ আর বাঙ্গি। ট্রাক ভরে এই ফল চলে যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। জায়গায় জায়গায় লোড হচ্ছে রাস্তার পাশে।

বিল জুড়ে কয়েকদিন আগেই ছিল রসুন। দ্বি-ফসলী। বিলের পানি কমে গেলেই বিনা চাষে কাঁদাতে রসুন পুতে দেয়, বাঙ্গি-তরমুজ ও। রসুন তুলে নেওয়া হয়েছে। রয়ে গেছে তরমুজ-বাঙ্গি। গুরুদাসপুরের রসুন আবাদের কথা না বললেই নয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, দেশের সর্বমোট রসুন উৎপাদনের এক- তৃতীয়াংশই নাকি এ উপজেলায় হয়। এ মৌসুমে প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করা হয়েছে।

এক গেরস্ত বাড়ি যাই রসুন সংরক্ষণ দেখতে। পুরো ঘর জুড়ে রসুন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এতে রসুন নষ্ট হয় না। "নবাব আলিবর্দ্দি খা'র আমলে মারাঠারা বাংলায় লুটতরাজ শুরু করে এবং উত্তর বঙ্গের কোন কোন জায়গা দখল করিয়া বসে। ইহারা বর্গী নামে পরিচিত। দুরন্ত শিশুকে ঘুম পাড়ানোর জন্য বাংলার মেয়েরা এখনো বর্গীর ভয় দেখাইয়া ছড়া বলিয়া থাকে:

ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেব কিসে?
ধান ফুরালো পান ফুরালো
খাজনার উপায় কি?
আর ক'টা দিন সবুর কর
রসুন বুনেছি।"
(চলন বিলের ইতিকথা, এম. এ. হামিদ, ১৯৬৭খ্রি:)

এত দিনে, গুরুদাসপুরে এসে, এ ছড়ার মানে বুঝলাম।

২৩ এপ্রিল, ২০১৫
বাগাতিপাড়া উপজেলা

১.
আমরা দশজন। নানা পথের, নানা মতের। নানান সার্ভিসের। দেড় মাস হওয়ার পথে আমরা একসাথে আছি। গল্পে মেতে উঠতে এখন আর বাধো- বাধো ঠেকে না। সময় পেলেই আমরা গাল-গল্পে জড়াই। বাগাতিপাড়ার পথে যেতে যেতে এক পাগল দেখি, রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে। আমাদের গাড়ি দেখে সে জোড়ছে চিৎকার করে, কিছু বলতে বলতে। তাকে অতিক্রম করতে করতে আমরা কেবল চিৎকার শুনি, কিছু বুঝে উঠতে পারি না।

পাগলের অসহায়ত্ব নিয়ে কথা উঠে। ঠিক পাগলের নয়, তার পরিবারের। পরিবারে কারো অসুখ হলে সবাই মমতা দিয়ে চেষ্টা করে, কিন্তু পাগলের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। তাকে যে ধরে রাখা যায় না। হয়ত বাবা মায়ের একমাত্র আদরের ছেলেটা ঘুরে বেড়ায় পথে পথে, তাকে ধরে রাখা যায় না। নানা পাগলের গল্প আমরা করি। হরেক কিসিমের। সেই এক পাগল ছিল, যে সারাক্ষণ ইংরেজিতে কথা বলে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান, প্রখর মেধাবী। পড়তে পড়তেই একদিন পাগল হয়ে গেল।

রোকেয়া হলের পাগলটার কথা হয়ত সবাই জানে। আজো সে হল গেইটে এসে দাড়ায় প্রেয়সীর প্রতিক্ষায়। তার প্রেয়সী হল থেকে বের হয়ে আসবে। বলবে, চারুকলার চিকেন ফ্রাই খাব, চলো। ফরিদপুরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে আইল্যান্ডে দাড়িয়ে এক পাগল বক্তৃতা করতেন। তিনি সিরিয়াস ভঙ্গিতে হাত নেড়ে বক্তৃতা করতেন, কিন্তু মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হতো না। নিঃশব্দ কথা বলা। পাগলের কাছে ও শিক্ষনীয় আছে, যদি আমরা বুঝি!
রাঙ্গামাটি শহরের কোন শোভাযাত্রা হলে, একজনকে দেখা যায় সবার আগে আগে হাঁটতে।

গম্ভীর ভঙ্গীতে তিনি হাঁটেন, গা খালি। পিঠে সাদা রঙ্গে বড় করে লেখা 'নতুন পাগল ভর্তি ফি দশ টাকা'। হয়ত কোন দুষ্টু ছেলের কাজ, কিন্তু তিনি তা গর্বীত ভঙ্গিতেই প্রদর্শন করেন। মাঝে মাঝে শোভাযাত্রার সামনে ট্রাফিক কন্ট্রোল করেন, ট্রাফিক পুলিশের সাথে সাথে।

মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে শোভাযাত্রা শেষে পৌর মিলনায়তনে আলোচনা সভা। ডিসি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এসপি উপস্থিত। চেয়ারম্যান বক্তৃতা করছেন। তিনি চাকমা সম্প্রদায়ের, কাজেই 'ছ' এবং 'স' এর উচ্চারণ বিশেষ পার্থক্য হয় না। তিনি যখন বললেন, আমরা চাই কাপ্তাই লেক একদিন মাছে মাছে ভরে যাবে। শ্রোতাগণ শুনলেন, কাপ্তাই লেক একদিন মাসে মাসে ভরে যাবে। অভ্যস্ত বিধায় কারো অসুবিধা হয় না। কিন্তু শ্রোতা সারি থেকে একজন দাড়িয়ে চিৎকার করে উঠেন। প্রথমে কিছু বোঝা যায় না। বক্তা দ্বিরুক্ত জানতে চান কেউ কিছু বলল কিনা। শ্রোতা দর্শক দ্বিতীয়বার চিৎকার করেন, 'তোকে বললাম না শুদ্ধ করে কথা বল'। এবার প্রতিবাদকারীর কথা বোঝা যায়, তাকে চেনাও যায়। তার গায়ে ভর্তি ফি ১০ টাকা চকচক করে। দর্শকদের মধ্য হাঁসির রোল উঠে, কেউ কেউ বিব্রত হন।

২.
বাগাতিপাড়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ইরিনা মৌসুমি আমাদের টিম মেম্বার। দশ জনের একজন। আমরা একটা নদী পাড় হতে থাকি, তিনি জানান এটি বড়াল নদী। গোড়ালি পানি, মৃত প্রায়। তবু একটু আছে। আমরা গলা ফাটাই নদীতে পানি নাই, মৎস কর্মকর্তা মাছ চাষ করে কোথায়? আমরা কাউ কাউ করে মাছ চাষের নানা পরামর্শ দেই তাকে। পানি ছাড়া মাছ চাষের বায়বীয় সব পদ্ধতি। বলি, মাঝে মাঝে পত্রিকায় দেখি অমুক জায়গায় মাছ- বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ থেকে ঝাকে ঝাকে কই মাছ পড়েছে। আমরা তাকে আকাশের মেঘে মাছ চাষের প্রজেক্ট নিতে বলি। তিনিও গম্ভীর ভঙ্গীতে বলেন, এ প্রজেক্টতো তিনি আগেই নিয়েছেন। গত ফেব্রয়ারীতে যে মাগুড়াতে মাছ বৃষ্টি হল সে তো তারই প্রজেক্টের মাছ! আমাদের ব্রেনের গ্লুকোজ সাপ্লাই বোধ হয় কমতে থাকে, আমরা গাড়িতে বসে আরো হাউকাউ করতে থাকি। লালপুর পাশের উপজেলা, কাছেই। কে না জানে সেটা বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তপ্ত অঞ্চল। আমাদের মাথা গরম হওয়া আর আশ্চর্য কি!

৩.
আমরা বাগাতিপাড়ায় দেখি আম আর লিচু বাগান। যে দিকে চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। বাগাতিপাড়ায় কোন অনাবাদি জমি নেই, সব জমি আবাদি। তাও আবার বেশির ভাগ জমি ত্রি- ফসলী। বছরে তিনটি ফসল হয়। পুরো উপজেলা জুড়ে আম লিচু বাগান, সেই সাথে বাগানে আছে আরেকটি সহ -ফসল, কোথাও মশুর, কোথাও আদা। আমরা ফেরার পথে মাল্টা বাগান দেখতে যাই, আমাদের দেশে নতুন চাষাবাদ। এ উপজেলায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। আমি পাহাড়ে মাল্টা বাগান দেখেছি। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় কয়েকশ একরের বাগান। সেখানেও ফলন ভাল। কিন্তু প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাহাড়ের বড় মাপের কৃষি উৎপাদনের প্রতিবন্ধক। সে আরেক গল্প।

৪.
নাটোরের প্রায় সবগুলো উপজেলায় গেলাম। এত বৈচিত্র্যময় কৃষি সম্ভার অবাক করার মত। আম, লিচু, মাল্টা, ড্রাগন ফল, ঘৃত কুমারী, ধান, রসুন, ভুট্টা নাটোরে প্রচুর উৎপাদিত হয়। সুযোগ রয়েছে আরো। দরকার কেবল সুষ্ঠু পরিকল্পনা আর কৃষির শিল্পায়ন।