যে নাম কিছুতেই মোছা যাবেনা: জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান

নাজনীন খলিল
Published : 15 August 2015, 03:29 AM
Updated : 15 August 2015, 03:29 AM

"মুজিব"   এমন  এক  অবিস্মরণীয়  ,  চির  ভাস্বর,  অলঙ্ঘ্য , অমোঘ,  মহিমান্বিত  নাম ;  যে  নাম ওতোপ্রোতভাবে  জড়িয়ে  আছে  বাংলাদেশের  স্বাধীনতার  ইতিহাসের  সাথে । মানচিত্রের  সাথে।অস্থিত্বের সাথে।  অক্ষয়।  অমর। হাজার  বছরের  শ্রেষ্ট  বাঙালি   খ্যাত  এই  মহামানবকে  গুটিকয়েক  দেশদ্রোহী-বিশ্বাসঘাতকের  কলংকিত-ন্যাক্কারজনক-পৈশাচিক  হত্যাকাণ্ড  দিয়ে  মুছে   ফেলা যায়নি।  যাবেনা।

ব্যক্তি  মুজিবের  নশ্বর  দেহকে  হত্যা  করা  যায়।  গিয়েছে। কিন্তু  তাঁর  নামকে  নয় । বাংলাদেশেরজন্ম-ইতিহাসের  সাথে,  মানচিত্রের  সাথে  অবিচ্ছেদ্য  সেই  নাম।বাংলাদেশের  স্বপ্নদ্রষ্টা ,  স্থপতি,  জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু  শেখ  মুজিবুর  রহমানকে  হত্যা করে  দেশদ্রোহী-বিশ্বাসঘাতকেরা  তাঁকে  মুছে  ফেলতে  চেয়েছে বাংলাদেশের  ইতিহাসের  পাতা  থেকেও। বছরের  পর  বছর  ধরে  চলেছে  সেই  হীন  চক্রান্ত  বাস্তবায়নের নিরলস  প্রচেষ্টা ।কিন্তু  ইতিহাস  কথা  বলে  তার  নিজস্ব  ভাষায়। নিজস্ব  ধারায়।  যা অমোঘ-অবিনশ্বর ,ঐতিহাসিক  সত্য তা  হাজার  চেষ্টা  করেও  বদলে দেওয়া যায়না ।

'৭৫  এর  ১৫  আগস্ট  সপরিবারে  নির্মম -নৃশংসভাবে  হত্যা  করা  হলো  বঙ্গবন্ধুকে।  একই  সাথে হত্যা  করা  হলো  পৃথক  পৃথক  জায়গায়  অবস্থানরত  তাঁর  আত্মীয়-পরিজন-শুভানুধ্যায়ীদের ।

সেদিনের  সেই  ঘৃণ্য   হত্যাকাণ্ডে  শুধু  বঙ্গবন্ধু  অথবা  বঙ্গবন্ধু  পরিবারকেই  হত্যা  করা  হয়নি, হত্যা  করা  হয়েছিল  সদ্য  স্বাধীনতালব্ধ  একটি  দেশের  অগ্রযাত্রার  সমস্ত  সম্ভাবনাকে।  যে শ্রেণী-বৈষম্যহীন , ধর্ম-বিভেদহীন,  প্রগতিশীল  চিন্তাধারার  বাস্তবায়নের  মন্ত্রে  উজ্জীবিত  হয়ে  বাংলাদেশেরস্বাধীনতার পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল, স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ; এইহত্যাকান্ড ছিল সেই স্বপ্নের মূলে এক প্রচন্ড, আকস্মিক , অনাকাঙ্ক্ষিতকুঠারাঘাত। স্বাধীনতার সুফল লাভের জন্য তখন মাত্র শুরু হয়েছে বিভিন্নবাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার  বাস্তবায়নের উদ্যোগ । যে  মহান নেতারসুযোগ্য নেতৃত্বে – নির্দেশে লক্ষ বাংগালী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল  পশ্চিমা  হানাদারের কবল থেকে  প্রিয় ভূমিকে রক্ষার জন্য ,প্রাণের মায়া ত্যাগ  করে  উদ্বুদ্ধ  হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে,হাসিমুখে  প্রাণ  দিয়ে  শহীদ  হয়েছিলেন  ৩০ লক্ষ  যোদ্ধা, তিনি ছিলেন বাংগালীর  প্রাণপ্রিয় অবিসংবাদিত  নেতা শেখমুজিব।তাঁরই নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত , বিশৃঙ্খল দেশটির আর্থ-সামাজিক পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া। কিন্তুশোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য-উন্নয়নের সেই প্রক্রিয়া সফল হবার আগেই তাচিরতরে রুদ্ধ করে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধু- হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। এবংবঙ্গবন্ধু-হত্যাকান্ডের অব্যবহিত পরেই দেশের সর্বময় কর্তৃত্ব চলে যায়সামরিক শাসকের আওতাধীন ।সুদীর্ঘ একটা সময় (৭৫ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত)এইসামরিক শাসকের কালোছায়ার নীচে পিষ্ট হতে থাকে এদেশের স্বাধীনতা প্রিয় জনগণ।অবস্থাদৃষ্টে  একথা স্পষ্ট হয়ে উঠে এই ব্যবস্থাও পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।যাতে বঙ্গবন্ধুর খুনীরা তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বাকী অংশটুকু সম্পূর্ণকরতে কোন বাধার সম্মুখীন না হয়।জাতির পিতা হত্যাকান্ডে বিক্ষুদ্ধ  জনগণযাতে প্রতিবাদ বা প্রতিকারের কোন সুযোগ না পায়। এমনকি সামরিক বাহিনীর যে সবকর্মকর্তা বা সদস্য এই হত্যাকান্ড সমর্থন করেনি তাদেরকেও হত্যা করা হয়েছেনির্মমভাবে। সামরিক শাসক জিয়া খুনীদের নিরাপদ করতে আইন করে এই হত্যাকান্ডেজড়িতদের বিচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ইমডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পাশবিক হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৩১অক্টোবর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের  বিচার কার্যক্রম বন্ধ করেদেওয়া হয় । অন্যদিকে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকারমোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশটিতে দুটি ভাগ আছে। প্রথম অংশেবলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টভোরে বলবৎ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টসহ কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়াযাবে না।

দ্বিতীয় অংশে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদেরপ্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কোনোআদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। '৭২ সালের ৪ নভেম্বর আইন প্রণয়ন করে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি রহিত করা হয়যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ করা হয় ' জামায়াতে ইসলাম'কে।১৫ডিসেম্বর জারি করাহয় নাগরিকত্ব আইন। এই আইনের বিধান অনুযায়ী গোলাম আজমসহ  ৪৩ জন দালালেরনাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এই সময়ে গোলাম আজমগং পালিয়ে গিয়ে অবস্থান করছিলপাকিস্তানে এবং  ওখান থেকেই তৎপর ছিল বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে।

'৭৫ এর ৩১ অক্টোবর জেনারেল জিয়া সামরিক অধ্যাদেশ জারি করে দালাল আইন বাতিলকরেন।দালাল  আইন  বাতিল  করার  পর  থেকে  সাজাপ্রাপ্ত  আসামিদের  কারাগার  থেকে  ছেড়ে  দেওয়া হয়।বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর  রহমান  সরকারের  জারি করা  আইনগুলোএকের পর  এক অধ্যাদেশ জারি করে বাতিল করা হয় । ১৯৭৬ সালে ধর্ম-ভিত্তিকরাজনীতি করার  সুযোগ  দেবার  লক্ষ্যে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের শর্তাবলি তুলেদেওয়া হয়।'৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারী  মন্ত্রণালয় থেকে ,নাগরিকত্ব  ফিরে  পাবার  জন্য  আবেদন   করতে  বলা  হয়  সব  থেকে  বেশী  আলোচিত-ঘৃণিত  যুদ্ধাপরাধী  গোলাম  আজমকে। মার্শাল  ল'র   আওতায়   এসব  অধ্যাদেশ  জারি করে  জেনারেল  জিয়ার  সরকার। এবং  এই  ঘৃণিত-পৈশাচিক  হত্যাকান্ডের  পরপরই  পুনর্বাসন  শুরু  হয়  স্বাধীনতাবিরোধী , দেশদ্রোহী দালালদের   যারা  সর্বান্তকরণে  পাকিস্তানী  হানাদারদের  প্রথম  থেকেই  সাহায্য  করে  গেছে  গণহত্যা,  ধর্ষণ  এবং  দেশের  সম্পদ  বিনষ্ট  করার  কাজে ।  স্বাধীন  বাংলাদেশের  জনগণ  কর্তৃক  প্রত্যাখ্যাত ,   সরকার   কর্তৃক   রাজনীতিতে   নিষিদ্ধ  স্বাধীনতাবিরোধীচক্রের  হৃত  রাজনৈতিক-  সামাজিক   মর্যাদা  পুনরায়  প্রতিষ্ঠিত  করতে ,  সুদৃঢ়  করতে — পরপর  দুই  সামরিক  রাষ্ট্রপতি  জিয়া  এবং  এরশাদ  অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা  পালন  করেন। এতে  করে  এই    দুজনেরই  দেশপ্রেম  নিয়ে   যথেষ্ট  সন্দেহের  অবকাশ  থেকে  যায়।  বিশেষ  করে   জিয়া , স্বাধীনতা যুদ্ধে  গুরুত্বপূর্ণ     অংশগ্রহণ  করে   যতোটা   নন্দিত  হয়েছিলেন  স্বাধীনতাবিরোধীদের  পুনর্বাসিত    করে  প্রকৃত   দেশপ্রেমিক  জনগণের  কাছে  ধিক্কৃত  হয়েছেন  তার  চেয়ে  কয়েকগুণ  বেশী ।  একজন  মুক্তিযোদ্ধা  হয়েও  জিয়ার  এই   স্বাধীনতাবিরোধী   প্রীতি , জিয়ার   মুক্তিযুদ্ধের  চেতনার   প্রতি   বিশ্বস্ততাকে   প্রশ্নবিদ্ধ   করে   নিশ্চিতরূপেই।  তাছাড়া  ' জয় বাংলা'   শ্লোগানটি ,  যা  ছিল   নয়  মাসের   মুক্তিযুদ্ধের   একমাত্র   অনুপ্রেরণা- মন্ত্র ,   সেই   শব্দটিকে   অলিখিত ,   অকথিতভাবে   মুছে   দিয়ে   উর্দ্দু 'জিন্দাবাদ'   শব্দের   আমদানী ,   প্রাক্তন   পাকিস্তানী   প্রভুদের   প্রতি  তখন  পর্যন্ত   জিয়ার   অন্তর্গত  আনুগত্য   প্রকাশের   ইঙ্গিত   দেয়।

'৭৫  এর  পরে  দেশের  সামগ্রিক  রাজনৈতিক  পটপরিবর্তিত  হয়ে  যায়  অবধারিতভাবেই। স্বাধীনতাবিরোধী  শক্তির  পুনরুত্থানের  সাথে  সাথেই  মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ  শক্তি , মুক্তিযোদ্ধা  এবং  মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের  সদস্যরা  ভীতসন্ত্রস্ত ,  হতাশ  এবং  দুর্বল  হয়ে  পড়েন। বিশেষ  করে  মুক্তিযুদ্ধে  শহীদদের  পরিবার -পরিজনের  কাছে ,  যুদ্ধে  ধর্ষিতা  নারীদের  এবং  তাদের  স্বজনদের  কাছে  এ এক  অসহনীয়  অবস্থা। আজো  এইঅসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি ঘটেনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগণের। দিনেদিনে স্বাধীনতাবিরোধীরা শক্তিশালী হয়েছে , আর দুর্বল- ভঙ্গুর  অবহেলিতক্ষমতাহীন জনগোষ্টিতে পরিণত  হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি।
'৭৫ এর পরে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করার সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধেরইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে ন্যাক্কারজনকভাবে।  দিনের পর দিন সুপরিকল্পিতষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মহান স্থপতিকে খলনায়করূপে  চিহ্নিত করে প্রকৃত খলনায়ককে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বীরেরমর্যাদায়। যাতে করে যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কপরিচিত হন একজন খলনায়ক হয়ে আর হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল এবংস্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্জন্ম দেওয়া ব্যক্তি পরিচিত হন মহানত্রাণকর্তারূপে। ক্ষমতার প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাধীনতাবিরোধীদের এবং তাদেরউত্তরসূরীদের সুকৌশলে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরধারা যাতে অব্যাহত থাকে , তা নিশ্চিত করা হয়েছে।খুব সাধারণ, দিনমজুরশ্রেনীর কিছু  কিছু চোর-বাটপার লোকজনও যারা হানাদারবাহিনীর আনুকূল্যেলুটপাটের  সুবিধা হবে  বলে  রাজাকারের খাতায় নাম লিখিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধেরসময় , তাদের অনেকেই আজ বড় বড় শিল্পপতি।পক্ষান্তরে , মুক্তিযোদ্ধারা , যারাপ্রাণের মায়া তুচ্ছ করে আমাদের জন্য ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতার লাল-সবুজপতাকা তাদের অনেকেই ভিক্ষা  করে দিনাতিপাত করেন। রাজাকারদের  হাতে লাঞ্চিতহন যখন তখন। নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় গোপন রাখেন ক্ষমতাশালী রাজাকারেরঅত্যাচারের ভয়ে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির কী নির্মম পরিহাস!

'৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাস; ক্রমাগত পিছনে হাঁটা এক জাতির ইতিহাস। স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনাকে বিভ্রান্ত করে  মুছে ফেলার  ষড়যন্ত্র এবং  দেশকে হানাদার  পাকিস্তানীদের চিন্তা-চেতনায় ফিরিয়ে নেবার  ইতিহাস। চক্রান্তকারীরা তাদের হীন প্রচেষ্টায়  সফল হয়েছে বললে ভুল হবেনা।প্রজন্মেরএকটা উল্লেখযোগ্য অংশকে তারা তাদের তাবেদারে পরিণত করতে সফল হয়েছে। এই তাবেদার বাহিনীর কাজ হলো  ছলে-বলে-কৌশলে দেশকে  প্রগতিশীল চিন্তাধারা এবংতার বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখা।  যাতে এদেশের মানুষ পশ্চাদপদকুসংস্কারাচ্ছন্ন জনগোষ্টিতে পরিণত হয়।এ  কাজে তাদের প্রধান অস্ত্র হলোধর্মকে ব্যবহার।ধর্ম অবমাননার অজুহাত দেখিয়ে  মুক্তচিন্তার, সমাজেরঅগ্রসরমান মানুষকে নির্দ্বিধায় হত্যা করতেও তারা পিছপা হয়না। ভিন্নধর্মেরমানুষ, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ তাদের  আক্রমণের প্রধানতম শিকার।

আজকের  এই সামাজিক অবক্ষয়ের সূচনা হয়েছিল১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। তাঁর শ্রেণী-ধর্ম-বৈষম্যহীন-প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে না দিলেআজ বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটি এমন অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যেতোনা। এতদিনেবিশ্বের দরবারে আমাদের একটি সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত হতো। এই তমসাচ্ছন্নসময়ে লক্ষ কন্ঠে বারবার  বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারিত হচ্ছে গভীর বেদনা এবং শ্রদ্ধার সাথে ।

চূড়ান্ত হতাশাগ্রস্থ এইক্রান্তিকালেও আশা ছাড়তে ইচ্ছা করেনা। স্বপ্ন দেখি আমাদের সচেতন তরুনপ্রজন্ম আবার একদিন ঘুরে দাঁড়াবে। নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করবে  বঙ্গবন্ধুরস্বপ্নের বাংলাদেশ ।