আন্তর্জাতিক অপরাধ সমূহে অভিযুক্ত হয়ে যে ৮ জনের বিচার এখন ট্রাইবুনাল ১ ও ২-এ চলছে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা চাই তাদের বিচার দ্রুত হোক। আমার ধারনা বেশীর ভাগ বাংলাদেশীই মনে করেন এদের নিয়ে আবার এত বিচার টিচার কি? গুলি করে মেরে ফেল্লেই হয়। আবার অনেকেই মনে করেন যে এইখানে আওয়ামী লীগ সরকারের একটা চাল রয়েছে। আওয়ামীলীগ এই বিচারকে ইচ্ছে করে দীর্ঘায়িত করে আমাদের সামনে মূলো ঝুলিয়ে রেখেছে এবং পরেরবারের সংসদ নির্বাচনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। এই দুইটি বিষয়ে এই টাইপ বক্তব্য যারা দেন তাদের ব্যাপারেই আমার আজকের এই লেখা।
প্রথমত, বিচার টিচার বাদ দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলাটার চিন্তা বাস্তব চিন্তা না এখনকার পরিস্থিতিতে। এটা এক ধরনের রোমান্টিসিজম এবং এইসব আজাইরা কথা এই সময়ে না বলাই ভালো। যেটা সরকার করতে পারবে না সেটা সরকারকে বারবার বলাটা এক ধরনের আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু না। এই জামাতীরা আর বি এন পির এক্টিভিস্টরা এই বিচার শুরু করবার অনেক আগে থেকেই পুরো পৃথিবীতে এই বিচার নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা সবখানেই জামাতী অর্থ বন্টিত হবার কারনে আন্তর্জাতিক ভাবে এই বিচার এখন সব দিক থেকেই খুবই সুক্ষ্ণভাবে পর্যালোচিত হচ্ছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রিকায় এই বিচারের বিরুদ্ধে লিখছে, বিভিন্ন টিভিতে এই বিচারের বিরুদ্ধে বলছে, বলাচ্ছে, অনেক জ্ঞান পাপীকে দিয়ে বই লিখাচ্ছে, এই আইনের বিরুদ্ধচারন করে আর্টিকেল লিখাচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বার কাউন্সিলকে অর্থের বিনিময়ে কনভিন্স করছে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ খরচ করে সুতরাং সরকারের এমন কিছু করবার সুযোগ নেই যেখানে আমাদের এই মানবতাবিরোধী বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা তৈরী হয়। সুতরাং ধরে গুলি করে মেরা ফেলা হচ্ছে না কেন? কিসের বিচার এদের এগুলো আমরা যতই ইনফর্মালি বলি না কেন তা বাস্তবতায় সম্ভব না। আজ থেকে ২০ বছর আগে হলেও একটা কথা ছিলো, এইসব হারামজাদাদের ধরে ধরে, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেল্লেই ল্যাটা চুকে যেত। যেহেতু এখন তারা আইনের কাঠগড়ায় সুতরাং অনেক কিছু চাইলেও তা আর সম্ভব না।
২য় কথা হচ্ছে বিচারের দীর্ঘসুত্রিতা নিয়ে। বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর এমন একটি দেশ যেই দেশ পৃথিবীর অনেক সভ্য দেশের থেকে অবকাঠামো কিংবা সুযোগ সুবিধার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থেকেও আজ থেকে প্রায় ৩৯ বছর আগে কৃত এইসব আন্তর্জাতিক অপরাধ বিচার করবার জন্য একটি আইন বানায় ১৯৭৩ সালেই। যা অনেক সভ্য দেশ সে সময় চিন্তাও করেনি। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হোলো, আইন করা হয়েছে অনেক আগে অথচ এই আইন যাদের বেলায় প্রযোজ্য, মানে যেই মানবতাবিরোধী অপরাধী, যুদ্ধাপরাধী, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধকারী, গণহত্যাকারী তাদের বিচারই আমরা আজ এত বছর করতে পারিনি। অবশ্য সুখের কথা হোলো এখন আমরা এইসব ঘৃন্য ব্যাক্তিদের বিচার শুরু করেছি এবং বিচার চলছে। আপনারা শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে, নুরেম্বার্গের মিলিটারী ট্রাইবুনাল বাদে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে এইসকল আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে ধৃত আটজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দেয়া হয়েছে এবং অধিকাংশের ক্ষেত্রে চার্য গঠন করা হয়েছে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে। সত্যকার অর্থে বলতে গেলে বলতে হয়,এই পর্যন্ত যতগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার হয়েছে পৃথিবীতে তাদের মধ্যে আমরা আসলে সত্যকার অর্থেই অনেক এগিয়ে রয়েছি সময়কালীন দ্রুততার দিক থেকে, প্রসিজিওরাল দিক থেকে এবং বিচারের মানের দিক থেকে। এবং এই সবগুলো দিক সুন্দরভাবে বজায় রেখে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম এগিয়ে চলছে সুচারু ভাবেই।
তারপরেও এই বিচার নাকি ইচ্ছে করেই দীর্ঘায়িত করা হয়েছে এবং এই বিচার নাকি পরেরবার নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী মূলো হিসেবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই ব্যাপারে উত্তর দিতে গেলে আসলে আপনাদের কিছু উদাহরন দিয়েই পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে হবে। বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থায় আওয়ামীকরন ও বি এন পি করনের ইতিহাস অনেক পুরোনো। যখন যেই সরকার ক্ষমতায় তখন সেই সরকার গন্ডায় গন্ডায় বিচারপতি নিয়োগ দেয় তাদের প্রাক্তন অনুসারীদের মুখ দেখে এই কথা সকলেই জানেন। এবারো আওয়ামীলীগ আমলে এই ব্যাপারটির ব্যাতিক্রম হয়নি তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ব্যাতিক্রম হয়েছে দুইটি যায়গায়। এক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আর দ্বিতীয়টি এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারের ক্ষেত্রে। অনেকেই ২০০১ সালে হাসিনা সরকার ক্ষমতা ছাড়ার সময় বলেছিলেন, হাসিনা ইচ্ছে করেই বঙ্গবন্ধুর হত্যামামলাকে দীর্ঘায়িত করেছেন এবং পরেরবার নির্বাচনের জন্য মুলো ঝুলিয়ে রেখেছেন। সেই পুরোনো কাসুন্দি ও পুরোনো অভিযোগ। যারা এগুলো বলেন তারা মূলত আইন কানুন না জেনেই বলেন এবং ঢালাও মন্তব্য করতে হবে বলেই চট করে বলে ফেলেন। আসলে তাদের খুব একটা দোষও যে দিব তাও বোধকরি দেয়া যায় না। কেননা, সবাই যখন বিচার বিভাগের নোংরা দলীয়করন দেখে দেখে অভ্যস্থ তখন হঠাৎ করে কয়েকটি সেক্টর বা অংশ সত্বী-সাধ্বী হয়ে গেলে মানুষ সেই সত্বী ব্যাপারকেও নষ্টামী বলেই বিবেচনা করে। মোট কথা মানুষের বিশ্বাসটা আর থাকে না। সে কারনেই যখন বলি বঙ্গবন্ধুর বিচার আর আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের নিউট্রালিটির কথা তখন বেশীর ভাগ মানুষই আমাকে আওয়ামীলীগের দালাল ভাবেন, আর যারা আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন তারা এক ধরনের কনফিউশনে পড়ে যান এবং পুরো ব্যাপারটি নিয়ে এক ধরনের সন্দেহের মধ্যে ভাসতে থাকেন।
কিন্তু ব্যাপারটা আসলেই সত্য যে, এই দুইটি বিচারই আসলে অত্যন্ত সচ্ছ ভাবে করতে চেয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। আমরা যারা এই বিচারের প্রতিটি দিকেরই খোঁজ খবর প্রায় প্রতিদিনই খুঁটিয়ে রাখছি এবং বিভিন্ন যায়গা থেকে সংবাদ সংগ্রহ করছি তারা সকলেই জানি যে এই বিচার আসলেই অত্যন্ত পক্ষপাতহীন ভাবেই সম্পাদিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামীলীগ পুরো ব্যাপারটাই ট্রাইবুনালের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন এবং আইনমন্ত্রীও কখনো এই ব্যাপারটিতে প্রভাব খাটান নি বলেই এই পর্যন্ত জানি। এই দুইটি বিচারের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ইতিমধ্যেই হয়েছে আর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বর্তমানে চলছে।
কেন এই দুইটি বিচার আওয়ামী লীগ সরকার স্বচ্ছ ভাবে করছে তার কার্যকরন আমি প্রথমে না বুঝলেও পরে এর কারন দুইটি আমার বোধগম্য হয়েছে খুব স্পষ্ট করেই। এর একটি প্রধান কারন হিসেবে বলা যেতে পারে আন্তর্জাতিক অব্জার্ভেশনের কথা। পৃথিবীর অনেক দেশই এই বিচার প্রক্রিয়া এবং বিচারের প্রতিটি দিক লক্ষ্য করছে। সুতরাং এই বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সঠিক হওয়াটা সে কারনেই বাংলাদেশের জন্য জরুরী। আর তাছাড়া সঠিক বিচারের মাধ্যমে এই ঘৃণ্য অপরাধীদের বিচার করতে পারলেই এই অপরাধী ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গ রা কখনোই এই বিচার নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না এবং এইসব ঘৃণ্য অপরাধীরা কখনোই আর মাথাচাড়া দিয়ে বাংলাদেশের বুকে দাঁড়াতে পারবে না।
সংক্ষেপে বলতে গেলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে বলতে হয়, শেখ হাসিনা কোনোভাবেই চাননি যে তার বাবার হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে এত বছর পরে তাকে কেউ আঙুল উঁচিয়ে বলুক “ বাপের বিচার অবৈধ ভাবে করেছে হাসিনা কিংবা প্রভাব খাটাচ্ছে হাসিনা” এবং এই বিচারের সাথে খুব স্বাভাবিক ভাবেই হাসিনার আবেগ জড়িত ছিলো। ইচ্ছে করলেই এই বিচার হাসিনা সরকার ১৯৯৬ সালেই একটা স্পেশাল ট্রাইবুনাল বানিয়ে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যে করে ফেলতে পারতেন। এইটাই সম্ভবত বেশীরভাগ মানুষের চাওয়া ছিলো। আত্নস্বীকৃত খুনীদের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষেরই ঘৃণা ছিলো আজন্ম। সুতরাং এই বিচার এক দিন কিংবা ৭ দিনে হচ্ছে এটা সম্ভবত কেউ মনেও রাখত না। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে এই বিচারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন আচরন করলো হাসিনার সরকার। যার প্রমাণ আমরা পাই এই বিচারের সব খুঁটি-নাটি তথ্য গুলো পর্যালোচনা করে। আপ্নারাও এই মামলার খুঁটিনাটি তথ্য গুলো জেনে নিতে পারেন নীচের উক্ত বইটি থেকে।
এই বইয়ে পুরো মামলার সব বিবরণ, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, জবানবন্দী, জেরা, পালটা জেরা, বিচারকের রায়, বক্তব্য সব কিছুই উল্লেখিত রয়েছে। আপনারা শুনলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে, বঙ্গবন্ধু যে আসলে খুন হয়েছিলো, এটা প্রমাণ করতে আদালতের লেগেছিলো প্রায় ২ বছর। তার উপর আমাদের দেশের সাধারন ফৌজদারি আদালত। বছরের পর বছর লেগে যায় একটি মামলা নিষ্পত্তি করতে। সেখানে আসামী পক্ষ টিভিতে তাদের খুনের কথা স্বীকার করলেও তাদের সরাসরি ফাঁসি দেয়া যায় না। এটাই হচ্ছে আইনের ধারা, তার গতি।
প্রসিজিউরাল/পদ্ধতিগত এইসব ব্যাপারের কারনেই একটি হত্যা মামলা এভাবে বছরের পর বছর চলে যায়। এটা আমাদের ফৌজদারী আদালতের এত বছরের চলে আসা অব্যাবস্থাপনা। অস্বীকার করার উপায় নেই যে এটি আসলে বিচার দীর্ঘায়িত করবারই আরেকটা প্রক্রিয়া। আইনের এই দীর্ঘায়িত হবার সুযোগ থাকার কারনেই বার বার আসামীরা এই সুযোগ নিচ্ছে এবং বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। তদন্ত, চার্জ শীট, সাক্ষী, পালটা সাক্ষী, জেরা, পালটা জেরা, আসামী পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের পিটিশান ইত্যাদি অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আর তার উপরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তো বাংলাদেশে মোটামুটি ২৪/৭ লেগেই আছে। আজকে হরতাল তো কালকে এই ছুটি, হ্যান ছুটি-ত্যান ছুটি, এই কারফিউ, তো এই বিক্ষোভ। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এই জাঁতাকলে পড়ে এবং হাসিনা ক্ষমতায় থাকার পরেও সম্ভব হয়নি তাদের ১৯৯৬-২০০১ এর শাষনামলে এই বিচার সম্পন্ন করবার।
এবার আসা যাক বর্তমানে শুরু হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক ট্রাইবুনাল ও তার অবস্থান সম্পর্কে। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলেও বিচার শুরু করতেই সময় লেগে যায় প্রায় ২০১০ সালের ২৫ শে মার্চ পর্যন্ত। এই বিচার কোথায় হবে, মানে কোন স্থানে হবে এটি নির্ণয় করতেই সরকারের অনেকটা সময় চলে যায়। তারপর এই স্থানের কাঠামোগত উন্নয়ন, সংষ্কার সব কিছুরই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এছাড়াও এই আইন চালু করবার আগে প্রয়োজন পড়ে গেজেট নোটিফিকেশিনের, তারপর অন্যান্য কার্যক্রম। এর মধ্যে পুরো বিচারিক কার্যক্রমের এডমিনিস্ট্রেশন ঠিক ঠাক করা, তদন্ত দল গঠন করা, নিয়োগ দেয়া, প্রসিকিউটর নিয়োগ, বিচারক নিয়োগ, রুলস এন্ড প্রসিউজিওর দাঁড় করানো সব কিছু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কেননা ধর তক্তা মার পেরেক জাতীয় ব্যাপারটা হলে অবস্থা যা দাঁড়াবে তা হচ্ছে বিচার তো ঠিক মতো হবেই না বরং এই ব্যাপারে জনমত ঘাতকদের পক্ষে চলে যাবে। যদিও ঘাতকরা ১৯৭১ সালে খুন-ধর্ষন করবার সময় কোনো মানবতার ধার ধারেনি এবং এখন তারা যেই আন্তর্জাতিক মান, আন্তর্জাতিক মান বলে ঘ্যান ঘ্যান করছে সেটিও তারা এই ঘৃণ্য অপরাধের সময় মনে রাখেনি। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছে, গুলি করে মেরেছে, ধর্ষন করে মেরেছে। তখন তাদের মানবতার কথা মনে আসেনি। আর এই ৪১বছর পর এসে আমাদের দেশেরই কিছু সন্তান(!) এদের বিচার যাতে “সুষ্ঠূ” হয় কিংবা “আন্তর্জাতিক” হয় সেই দাবী তুলেছে। হায় স্বদেশ!! হায় আমাদের স্মৃতি শক্তি!!!… কি আর করা। জনগনের জন্যই তো সরকার। আর অপরাধী যত বড় অপরাধই করুক না কেন, সরকার সে ধরনের অপরাধ অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে করতে পারেনা বলেই আজকে মানবতা-টানবতার বুলি আঊড়িয়ে বিচার চাচ্ছে ঘাতকের দল। সুতরাং সরকারও এই বিচার স্বচ্ছ করবার জন্য সব রকমের ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৪১ বছরে হয়ে যাওয়া এত বড় একটি অপরাধের বিচার সোজা কথা না। যারা অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলো তারা এই দেশের ক্ষমতার মসনদে জাঁকিয়ে বসেছে দল-বল খুলে। তাদের অর্থ-প্রতিপত্তি, শান-শওকত সবই হয়েছে। তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং সবচাইতে বড় কথা ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করাটা বাংলাদেশের মত একটা দেশে তাদের জন্য খুব সোজা হয়েছে এবং বি এন পি’র কাঁধে ভর দিয়ে দুই দুইবার তারা ক্ষমতার সাধ পেয়েছে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে তারা মন্ত্রীত্বের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে পথ চলেছে। সুতরাং বললেই তাদের গ্রেফতার কিংবা পরের দিনই তাদের বিচার শুরু করে দেয়া যায় না। ভয়াবহ রকমের আন্তর্জাতিক প্রেশার, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের পক্ষে তদবির, আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এইসব ঘৃন্য রাজাকারদের পক্ষে লেখালিখি, মিডিয়াতে তাদের বক্তব্য প্রচার, এসব সব কিছুই মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিলো। আর তার চাইতে সবচাইতে বড় ভয়ংকর ও ভয়াবহ ব্যাপারটি হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল বি এন পি এই মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের খোলা মাঠে, সকলের সামনে সমর্থন দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। খালেদা জিয়া তো চট্রগ্রামের লালদীঘির ভাষনে বলেই দিয়েছে যে ধৃত অভিযুক্তরা কোনোভাবেই যুদ্ধাপরাধী না। তাদের যাতে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর মধ্যে যেই আটজনকে ধরা হয়েছে আগেই বলেছি যে এই আটজনের ব্যাপারে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে, চার্জ গঠনের শুনানীর পরে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই চার্জ গঠিত হয়েছে এবং সাক্ষ্য গ্রহন চলছে, আপনারা জেনে থাকবেন যে এরই মধ্যে সাঈদী, সাকার বিচার শুরু হয়ে তাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণও চলছে। আর বাকীদের বিচার শুরু হবার তারিখ নির্দিষ্ট হয়েছে। এই জুন মাসের বিভিন্ন তারিখে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে জুলাইয়ের বিভিন্ন তারিখে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হবে। লক্ষ্য করুন, যেই আটজনের বিরুদ্ধে বিচার এই মুহূর্তে চলছে তাদের বিচার করার প্রক্রিয়া গুলো কি? আসুন নীচের ছবি দেখে এক নজরে জেনে নেই-

এই ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন কিংবা তদন্তকারী দল সাক্ষী আনতে পারবে কিংবা এই ব্যাপারে একটা লিস্ট করতে পারবে অথবা সাক্ষী সাজেস্ট করতে পারবে। এটা হতে পারে সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে। এই সাক্ষীর সংখ্যা যদি প্রতি অভিযুক্তের ক্ষেত্রে ৫০ জন করেও হয় তাহলে প্রসিকিউশনের আনীত মোট সাক্ষী দাঁড়াচ্ছে কয়জন? ৮ গুনন ৫০= ৪০০ জন। এখন এই চারশ জন সাক্ষীকে জেরা করবে আসামী পক্ষের আইনজীবি (প্রসিকিউশনের আনীত সাক্ষীকে যখন ডিফেন্সের আইনজীবি জেরা করে কিংবা ডিফেন্সের আনীত সাক্ষীকে যখন প্রসিকিউশনের আইনজীবিরা জেরা করে তখন এই জেরা করন প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রস এক্সামিনেশন), প্রতি সাক্ষীর ক্ষেত্রে যদি একদিন করেও সময় যায় জেরার কারনে তবে সময় লাগে ৪০০ দিন। এখন এই সময় কম বা বেশীও লাগতে পারে। আমি একটা আনুমানিক হিসাব দিয়েছি। যদিও বিচার আলাদা আলাদা নির্ধারিত দিনে ট্রাইবুনাল-১ ও ট্রাইবুনাল -২ এ সিমুল্টিউনিয়াসলি চলছে।
এদিকে ডিফেন্স গোলাম আজমের পক্ষে ২৯৩৯ জন সাক্ষীর একটি লিস্ট দিয়েছে এবং একই সাথে ১০টি সিডি, ছয় হাজার পৃষ্ঠার ১২ খণ্ডের নথিপত্র জমা দিয়েছে। সাক্ষীর তালিকায় ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল জ্যাক ডেভারেল, আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদের প্রফেসর উইলিয়াম এ সাবাজের নামও রয়েছে। এর আগে সাকার আইনজীবি সাকার পক্ষে প্রায় ১১০০ জন সাক্ষীর একটি লিস্ট দিয়েছিলো। পুরো ব্যাপারটি অবজার্ভেশন করে যা বুঝা যাচ্ছে তা হোলো ICTA-1973 এর সুযোগ নিয়ে এবং বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থার সুযোগ নিয়ে আসামী পক্ষ খুবই সুক্ষ্ণ ভাবে চাল চালছে। এর আগেও সাকা যে সাক্ষীর লিস্ট দিয়েছিলো তাদের মধ্যে অনেক সাক্ষীই প্রকাশ্যে বলেছিলো যে তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেনা। গোলামের ব্যাপারেও কি হবে তা ভবিষ্যত-ই বলে দিবে। কিন্তু আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এই ট্রাইবুনালকে টেনে যতদূর লম্বা করা যায়, এটাই ডিফেন্স আইনজীবিদের মূল উদ্দেশ্য।
সরকার এই বিচার ব্যাবস্থায় উদাসীন, কিংবা চাইলেই কালকেই রায় দিয়ে দিতে পারেন, ঝুলিয়ে দিতে পারেন, রাজনৈতিক ভাবে পরবর্তীতে সফল হবার জন্য সরকার মানুষের সামনে মুলো ঝুলিয়ে রাখছেন, এই জাতীয় অভিযোগ যারা এতদিন ধরে করছেন তাদের বিনীত ভাবে ডিফেন্সের এই নতুন চালের দিকে নজর দিতে বলি। গোলামের পক্ষে ২৯৩৯, সাকার পক্ষে ১১০০, সাঈদীর পক্ষে প্রায় ২০০ এর উপর সাক্ষী, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, আব্দুল আলীমের পক্ষে ধরেন গড়ে ১০০ জন করে সাক্ষী থাকলেও বাস্তবিক ভাবে আপ্নারাই হিসাব করেন কত সময় লাগে বিচার হতে? আগের হিসাবের মত করে এখানেও একটা আনুমানিক হিসাব করে ফেলুন। এই সাক্ষীদের আবার জেরা করবে প্রসিকিউশনের আইনজীবিরা। আবার প্রতি সাক্ষীকে কিছু সময়ের জন্য হলেও এক্সামিনেশন ইন চীফ করবে তাদের নিজ নিজ আইনজীবি। এখানেও সময় ব্যয় হবে। এর উপর আছে আসামীদের বিভিন্ন রকমের পিটিশান যেমন আজকে নিজামীর বাসা থেকে খাওয়া আনার পিটিশান তো কালকে গোলামের ঘর থেকে চাকর আনার পিটিশান, আজকে সাঈদীর জামিনের আবেদন তো কালকে কাদের মোল্লার লুঙ্গি আনার পিটিশান। এইসব পিটিশানের আবার ফর্মাল শুনানী হয়। সেখানে দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শোনা হয়। সেখানেও সময় লাগে।
এত হিসাবের পর আপনাদের মাথায় ঢুকে যেতে পারে এমন যে, ওরে বাবা!!! তাহলে বিচার হতে কয় বছর লাগবে? এইভাবে হতাশ না হয়ে আসেন নিজেরাই একটু ক্যালকুলেশন করে নেই। এইটা মনে রাখবেন যে, সবার বিচারই আলাদা আলাদা নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন না যে, নিজামীর বিচার শেষ হলে কাদের মোল্লা বা মুজাহিদের বিচার শুরু হবে। সাঈদীর টা শেষ হলে সাকারটা শুরু হবে। আমাদের দুইটা ট্রাইবুনালে (ট্রাইবুনাল-১ ও ২) বিভিন্ন তারিখে, ভিন্ন সময়ে বিচার চলছে। অধৈর্য্য হবার আগে দয়া করা বাস্তববাদী হোন। ফেসবুকে কিংবা পত্রিকার পাতায় সরকারকে কিংবা ট্রাইবুনালকে পিন্ডি চটকানো খুব সোজা। কিন্তু বাস্তব সেই প্রিজাম্পশন থেকে অনেক আলাদা। এদের এই সুক্ষ্ণ চাল আপনারা অনেকেই চোখে দেখেন না। ব্যাপারটা অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের। যেসব হাজার হাজার সাক্ষীদের নাম ডিফেন্স লইয়াররা জোরে-শোরে প্রকাশ করছেন এবং বলছেন, আমাদের উচিৎ সেদিকে অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের ট্রাইবুনাল এই ব্যাপারে খুব ভালো করেই ওয়াকিবহাল। বিচারকে বাঁধাগ্রস্থ করবার সামান্য চেষ্টাও যাতে বরদাশত করা না হয়, বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার এইটাই প্রত্যাশা ও অনুরোধ।
আমি খুব ভালো করে জানি সবার মনে একটাই আতংক যে, বি এন পি-জামাত ক্ষমতায় আসলে এই চলমান বিচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে যদি না আওয়ামীলীগ আমলেই এই বিচার শেষ না হয়। যারা এই জাতীয় কথা ভাবছেন তারা কি এটা ভেবে দেখেছেন যে এক সরকারের আমলেই এই বিচার শেষ করতে হবে এমন মাথার দিব্যি না দিয়ে, কোনো সরকারই যেন এই বিচার বন্ধ না করে এবং এই বিচার চালিয়ে যায় এই ব্যাপারে আমরা প্রতিরোধ এবং আমাদের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলি। আর যদি এই বিচার বন্ধ হবার সম্ভাবনা কোনো দলকে কেন্দ্র করে গড়েই ওঠে, তৈরী-ই হয় তবে সেই দলকে আমরা সবাই মিলে বর্জন করব এইটাই বরং আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। এই বিচার প্রক্রিয়া শুধু ট্রাইবুনাল চালাবে, সরকার মনিটর করবে, ব্যাপারটা তা না। এই বিচার পুরো বাংলাদেশী জনসাধারণের প্রাণের দাবী এবং আমরাও এই বিচারের মধ্য দিয়ে একটি প্রক্রিয়ার ভেতরে ঢুকে গেছি। কারন হত্যা করা হয়েছে আমাদের ৩০ লক্ষ স্বজনদের। আমাদেরই মা-বাবা-ভাই-বোনকে। আপনারা সবাই দয়া করে এই ট্রাইবুনালের বিপক্ষে যে কোনো বিরূপ প্রচারণা আপনাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে রুখে দিন এবং মানুষকে সত্য জানতে সাহায্য করুন।
শেখ ফরিদ বলেছেনঃ
mr.আপনি কি ঘুম থেকে উঠে শুধু জনকণ্ঠ পড়েই লেখা শুরু করলেন নাকি?আপনি বলতেছেন এ বিচার নিরপেক্ষ বিচারক দিয়ে হচ্ছে । আরে এখানে সবাই আওয়ামীলীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারককে নিযুক্ত করা হয়েছে এমনকি তদন্ত কমিশনে পর্যন্ত নিজেদের লোক (যারা কোন না কোন কালে আওয়ামীলীগ থেকে সুবিদাপ্রাপ্ত )নিয়োগ করা হয়েছে। আমিও চাই যুদ্দাপারাধিদের বিচার তবে তা নিরপেক্ষ ভাবে হউক। কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধা পাওয়ার জন্য বিচার হবে তা দেশের কারই কাম্য নই।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
বিচারপতি নাসিব সাহেবকে লীগের আমলে টেম্পোরারীলি নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো ২ বছরের জন্য এবং বি এন পি আমলে তিনি স্থায়ী বিচারপতির পদ পান। না জেনে কথা বলেন কেন? এই বিচার সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভাবে চলছে। আর বিচারের সাক্ষীদের কর্মকান্ডে কিভাবে নির্ধারিত হয় যে বিচার নিরপেক্ষ না? এইটা দয়া করে বুঝান আমাকে।
*সত্যবাদী বলেছেনঃ
ভাই নিঝুম,
মানবতা বিরোধীদের বিচার সবায় চায়। কিন্তু এই বিচারের নামে বর্তমান সরকার প্রতি পক্ষকে ঘায়েল করার যেই কৌশল অবলম্বন করেছে তা এখন পরিস্কার।
মানবতা বিরোধী আদালতের বিচার এখন মারাত্মক ভাবে প্রশ্নবিধ্য। এটা সরকারের এক ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একটা অস্ত্র। গোটা জাতী জানে যে বি এন পি কে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য এই আওয়ামীলীগও জাতীয় পার্টি জামাতের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে রাজনীতি করেছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গোলাম আযমের বাসায় গিয়ে দোয়া চেয়েছে, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এবং তাদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে ১৯৯৬ সালে। তখন তাদের বিচারের প্রশ্ন তুলেনি কেন?
ভাই, আপনি বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে খুব সন্তোষ প্রকাশ করলেন। কিন্তু কিভাবে? যেখানে ১৫ জন সাক্ষীকে তাদের অনুপস্থিতিতে পুলিশের মিথ্যা বক্তব্যকে তাদের সাক্ষ্য হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হয়- সেই আদালতকে বলছেন নিরপেক্ষ? এই আদালত সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের একটি নাট্যমঞ্চ ছাড়া আর কিছুই না। আর মানবতাবিরোধিদের বিচার সবাই চায়। তবে বর্তমান সময়ে গোটা জাতী কি চায় জানেন- সবচেয়ে বড় মানবতা বিরোধী এই আওয়ামী সরকারের পতন, যারা গোটা দুনিয়াতে আমাদের বাংলাদেশিদের অপমানিত করেছেন।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
একটা কথা বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোটামুটি সবাই জানে কিংবা সবাই বিভিন্ন ভাবে আলোচনা করেন, সেটি হোলো- আওয়ামীলীগ কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে? এই বিচার করবার এখতিয়ার কিংবা মোরাল অবস্থান কি তাদের রয়েছে কি না। কেননা জামাত ও বি এন পি সমর্থকদের মতে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ জামাতীদের সাথে একত্রে আন্দোলন করেছে তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের দাবীতে। যেহেতু তারা একসময় জামাতের সাথে আন্দোলোন করেছে, সেহেতু তারা কি পারে এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে?
কিন্তু কথা হলো আজ এই প্রশ্নের উওর খুঁজতে গিয়ে এক মজার তথ্য পেলাম। আজকে জামাতের সংবিধান, গঠনতন্ত্র, ইনফ্যাক্ট জামাতকে নিয়ে পড়ছিলাম। ঠিক সে সময় জামাতের গঠনতন্ত্রের ২য় অধ্যায়ের ৭ম ধারাতে আমার চোখ আটকে গেলো-
কি লেখা রয়েছে সেখানে? কেন আমার চোখ আটকে গেলো? আসুন একটু দেখে নেই-
জামাতের গঠনতন্ত্রের ২য় অধ্যায়ের সপ্তম ধারায় যেখানে রুকন হবার নিয়ম, রীতি নীতি ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে।
৭) এমন কোনো পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক না রাখেন যাহার মূলনীতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ইসলামের আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ,লক্ষ্য ও কর্মনীতির পরিপন্থী।
আবার ১ম অধ্যাইয়ের ৪র্থ ধারার স্থায়ী কর্মনীতি অংশের ২য় পয়েন্টে বলা হয়েছে যে-
২) উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশ জামাতী ইসলামী এমন কোনো উপায় ও পন্থা অবলম্বন করিবে না যাহা সততা ও বিশ্বাসপরায়নতার পরিপন্থী।
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় এই যে, রুকন রিক্রুট করবার যদি এই রীতি হয়, যেখানে জামাতের আকীদা কিংবা বিশ্বাসের পরিপন্থী এমন কোনো দলের সাথেই সম্পর্ক রাখা যাবেনা, সেখানে ১৯৯৬ সালে জামাত আওয়ামীলীগের সাথে তাহলে কিভাবে যুগপৎ আন্দোলন করেছে বলে কিংবা জোটবদ্ধ আন্দলোন করেছে বলে প্রকাশ করে?
যদি তাই হয় তবে জামাতের সংবিধান অনুযায়ী ২য় অধ্যায়ের ৭ম ধারা মোতাবেক জামাত তা করতে পারে না। এবং জামাতের সংবিধানের ১ম অধ্যায়ের ৪র্থ ধারার ২ নাম্বার পয়েন্ট অনুযায়ী তারা সততা ও বিশ্বাসপরায়নতার পরীপন্থির কাজ করেছে।
এখানে ঘটনা দুইটা। হয় জামাতের সংবিধানে যা আছে তা মিথ্যা ও কথার কথা। আর সেক্ষেত্রে সংবিধান যেখানে মিথ্যা সেখানে তাদের সবকিছুই মিথ্যা। আর যদি সংবিধান যদি সত্য হয়, তাহলে ১৯৯৬ সালে তারা আওয়ামীলীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলোন করে নি। কারন লীগের বিশ্বাস ও আকীদা নিশ্চয়ই জামাতের সাথে মিলে না বা এক নয়।
আছে নাকি কোনো জামাতী সমর্থক, আমার এই কথার উত্তর দিতে পারেন??
মজিবর বলেছেনঃ
ভাই নিঝুম মজুমদার, আপনার যুক্তি গুলো অনেক বাস্তব সঙ্গত তবে কথা কী জানেন আমাদের দেশে দলীয় সমর্থক এমনই অন্ধভক্ত যে এর দল ছাড়া কিছুয় বুঝতে চাই না। এই প্রসঙ্গে দুই একজনের মন্তব উল্লেখযোগ্য। যেমন একজন সিনিয়র ভাই এর সঙ্গে রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে প্রসংগবসত বলেন, মি, জিয়া ক্ষমতা বা দেশের প্রয়োজনে প্রায় হাজার দুয়েক সেনাবাহিনীর সেনআ হত্যা করেছে তো কী হয়েছে। সেই ভাল ছিল। আবার তাকে প্রশ্ন করলাম একুশে গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র এগুলো, জনাব সা এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার , চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী, ঢাবির শিক্ষক, রাজশাহীর ভার্সিটির দুইজন শিক্ষক , খুলনা-যশোরের সংবদিকদই এই গুলোর বিচারের কী হবে। যা হয়েছে টা হয়েছে। তিনি অবশ্য বর্তমানে মাহবুবুর রহমান মান্না ভয়ের হয়ে কাজ করছেন কারণ তিনি মান্না ভয়ের দুই বছরের জুনিয়র। আর এক জুনিয়র ছেলের কথা যে তারেক জিয়া ঘুষ, খুন করেছে তো কী হয়েছে তারেকই ভাল। এর কিন্ত আবার শিক্ষিত। তার এক ইলিয়াস নিয়েই দুশ্চিন্তায় ব্যস্ত। তারা ওগুলোকে মেনে নিচ্ছে। তাহলে কিভাবে এদের বিবেক খুলবে বলুন। কারণ আমরা দলের আগাবাহক হয়ে গেছি।
ভাই কী ভাবে এই দেশের মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তোলা যাবে?
এই দলীয় অনুগতরা দল ছাড়া কিছুই বুঝতে চাইনা।
তাই রবিনদ্র্রনাথের কথাই বলতে হই সাড়ে সাত কোটি সন্তআ নেরে হে বঙ্গ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনীয়।
ভাই বিবেক কে জাগ্রত করার উপায় বাহির করা সবার আগে দরকার।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
কিছু বলার নেই রে ভাই
মজিবর বলেছেনঃ
ভাই নিঝুম মজুমদার, আপনার যুক্তি গুলো অনেক বাস্তব সঙ্গত তবে কথা কী জানেন আমাদের দেশে দলীয় সমর্থক এমনই অন্ধভক্ত যে এর দল ছাড়া কিছুয় বুঝতে চাই না। এই প্রসঙ্গে দুই একজনের মন্তব উল্লেখযোগ্য। যেমন একজন সিনিয়র ভাই এর সঙ্গে রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে প্রসংগবসত বলেন, মি, জিয়া ক্ষমতা বা দেশের প্রয়োজনে প্রায় হাজার দুয়েক সেনাবাহিনীর সেনআ হত্যা করেছে তো কী হয়েছে। সেই ভাল ছিল। আবার তাকে প্রশ্ন করলাম একুশে গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র এগুলো, জনাব সা এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার , চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী, ঢাবির শিক্ষক, রাজশাহীর ভার্সিটির দুইজন শিক্ষক , খুলনা-যশোরের সংবদিকদই এই গুলোর বিচারের কী হবে। যা হয়েছে টা হয়েছে। তিনি অবশ্য বর্তমানে মাহমুদুর রহমান মান্না ভয়ের হয়ে কাজ করছেন কারণ তিনি মান্না ভয়ের দুই বছরের জুনিয়র। আর এক জুনিয়র ছেলের কথা যে তারেক জিয়া ঘুষ, খুন করেছে তো কী হয়েছে তারেকই ভাল। এরআ কিন্ত আবার শিক্ষিত। তার এক ইলিয়াস নিয়েই দুশ্চিন্তায় ব্যস্ত। তারা ওগুলোকে মেনে নিচ্ছে। তাহলে কিভাবে এদের বিবেক খুলবে বলুন। কারণ আমরা দলের আগাবাহক হয়ে গেছি।
ভাই কী ভাবে এই দেশের মানুষের বিবেককে জাগিয়ে তোলা যাবে?
এই দলীয় অনুগতরা দল ছাড়া কিছুই বুঝতে চাইনা।
তাই রবিনদ্র্রনাথের কথাই বলতে হই সাড়ে সাত কোটি সন্তআ নেরে হে বঙ্গ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনী।
ভাই বিবেক কে জাগ্রত করার উপায় বাহির করা সবার আগে দরকার।
rubel বলেছেনঃ
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন নিঝুম মজুমদার ভাই।
[ব্যক্তি আক্রমনাত্মক মন্তব্য মুছে দেয়া হলো: ব্লগ টিম]
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
ওয়ালাইকুম আস সালাম রুবেল সাহেব। ভালো আছি।
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি বলেছেনঃ
আপনার কথাহিসেবে বুঝা যায় দেশে আওয়ামিলিগ বাদে বাকি সব মানবতাবিরোধি বা যুদ্ধাপরাধি ।আপনার সরকার ক্ষমতায় আছে আপনার কলমের জোর দিয়ে লিখে যান কেউ আপনাকে আটকাতে পারবেনা। ১৭ মাস পরে যখন শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশারেফ থেকে শুরু করে আওয়ামিলিগের ৭৫ বড় বড় নেতা যারা পাকিস্তান সরকারের এমপি যিনি সরকারের পক্ষে গলাফাটানো নেতা , এদের বিচারের কাজ শুরু করলেও যেন কলম চলে।
আপনাদের মতন অনেক লোক আছে যারা নাবুঝে ,নির্বোধের মতন আওয়ামিলিগকে সমর্থন করে , এদের পক্ষে উল্টা পথে হাটা খুব্ই সহজ
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
আমার লেখার কোন যায়গাটায় লেখা আছে লীগ ছাড়া সবাই যুদ্ধাপরাধী? নির্বোধের মত কথা বলেন কেন?
rubel বলেছেনঃ
অনেকে সরাসরি মন্তব্যর জন্য যে নিয়ম-নীত আর শর্ত দেয়া হয়েছে তা ভঙ্গ করছে। এমনকি লেখক নিজে০ যেমন, তিনি বলেছেন , হারামজাদা, খুচিয়ে খুচিয়ে মেরে ফেলা, ঘৃন্য ব্যক্তি, ঘাতক, ধৃত এখন প্রশ্ন হল বিচার হ০য়ার আগে বা অপরাধ প্রমাণের আগে কি এগুলো বলা ঠিক?
তারপর বললেন ধর্ম ব্যবসা , বিষয়টা হল তাদের রাজনীতিই হল ইসলাম ধর্মকে নিয়ে অর্থাত তারা ইসলাম রাষ্ট্রে কায়েম করতে রাজনীতি করেন। ধর্ম ব্যবসায়ী তো হল এরা:- ০লামা লীগ, ০লাম দল, জাকের পার্টি, দে০য়াবাগী, খাজা বাবা, ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের নিয়ে লেখক লিখতে পারে।
লেখকের কাছে আমার প্রশ্ন হল এ্টা কি যুদ্ধাপরাধী না মানবতাবিরোধী অপরাধ?
যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকে তাহলে আমার প্রশ্ন হল যারা যুদ্ধই করেনী তারা কিভাবে যুদ্ধাপরাধী হল। আর যদি মানবতাবিরোধী হয়ে থাকে তাহলে বর্তমানে যে হাজার হাজার মানবতাবিরোধী কাজ হচ্ছে তার বিচার করছে না কেন?
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা.।
আসুন দেখি আপনি কি বলেছেন। আপনি বলেছেন-
১ম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, এটি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার দেশীয় ট্রাইবুনালে ও বিচার ব্যাবস্থায়। মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ এই আন্তর্জাতিক অপরাধের কয়েকটি উপাদান মাত্র।
শোনেন, আপনি যদি একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার ইন্টেনশন নিয়ে, সেই জাতিকে সম্পূর্ণভাবে বিনাশ করবার ইচ্ছা থেকে একটা লাঠি দিয়ে বাড়িও দেন তাহলেও সেটি মানবতাবিরধী অপরাধ হতে পারে। একজন লোককেও খুন করলে আপনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের সুইটেবল ধারায় অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।
গোলাম আজম গং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জামাতী ইসলাম দলের কান্ডারী হয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে একত্রিত কিংবা কোথাও ইন্ডিভিজুয়ালী কিংবা কোথাও দলীয় ভাবে পরিকল্পনা করে আন্তর্জাতিক সেসব অপরাধ সম্পাদিত করেছে। এবং সেগুলো নিয়েই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেজন্য নট নেসেসারিলি যুদ্ধ হতে হবে কিংবা যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে হবে। কেনিয়াতে তাদের নির্বাচনের সময়কালীন অনেক মানুষকে মেরে ফেলেছিলো তৎকালীন সরকার। এরপরে পরবর্তী সরকার ওই সময় উল্লেখ করে একটি আইন বানিয়েছিলো এবং সেটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা আন্তর্জাতিক অপরাধের সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগোরীর আওতায় বিচার হয়েছিলো।
বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের আইনে যাদের বিচার হচ্ছে তাদের অপরাধকালীন সময় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। এই আইনের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস ঘাটলেও আপনি দেখতে পাবেন যে এই আইন হয়েছে এইসব নরপশুদের বিচার করবার জন্য যারা ১৯৭১ সালে অসংখ্য মানুষকে হত্যা, নির্যাতন ইত্যাদি করেছে। গোলাম আজমেরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন না করে অবৈধ দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী (কখনো) কিংবা কখনো দলীয় ভাবে যে অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোরই বিচার হচ্ছে।
আশা করি বুঝেছেন।
উচিত জবাব বলেছেনঃ
লেখাটাতে বি.এন.পি কে ছোট করে দেখ হয়েছে। আ.লীগকে একমাত্র সঠিক হিসেবে ভাল হিসেবে দেখানো হয়েছে। লেখাটা তাই একপেশি। যুদ্ধাপরাধ বিচার জাতীয় ইস্যূ সবাই এর বিচার চায়। আ.লীগ এতো বছর জামাতের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে বিএনপি কে বাশ দিয়েছে। যেই জামাত বিএনপির সাথে জোট করল সেই তাদের মানবতা বিরোধী বলে বিচার শুরু করে দিল। যে মানবতা বিরোধী সে হাসিনার সাথে থাকলেও তাই আবার খালেদার সাথে থাকলেও তাই।
হাসিনা কিভাবে কারচুপি করে এবার ক্ষমতায় এসেছে তা জনগন জানে। আ,জলিল তার গৃহপালিত নেতা তা প্রকাশ করেছে। ক্ষমতা এসে তা ধরে রাখার কৌশল হলে এই বিচার। আপনার দৃষ্টিতে এই বিচার সুষ্ঠ হচ্ছে। কচুর মাথা হচ্ছে। সব বিতর্কিত লোকদিয়ে টাইবুনাল বানিয়ে আবার বড় বড় কথা। আবার আ.লীগের আত্মীয় রাজাকার। তারা মানবতাবিরোধী না । ধোয় তুলসীপাতা। পারলে নিজের দলের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিচারও করতেন। তা করবেন কেন? এটাতো বিএনপিকে একলা করার একটা ষরযন্ত্র।
বিএনপি ক্ষমতায় আসুক দেখবেন যুদ্ধাপরাধের বিচার কাকে বলে।
গৃহপালিত হাসিনার ট্রাইবুনাল যাই ইচ্ছা করুক। বিএনপি এর সঠিক বিচার করবে। ইনশাল্লাহ।
তখন দেখব এ নিঝুম ঝিম মেরে পরে থাকবেন।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
“এ”নশাল্লাহ…এনশাল্লাহ… শেয়াল বাঁচাবে মুর…খুব ভালু
আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে সখ্যতা করেছে কি করেনি তার উত্তর উপরে দিয়েছি, বাট যদি তা করেও থাকে তবে সেটি নাথিং টু ডু উইথ আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার। একটা উদাহরন দেই-
ধরেন আপনি একটা খুন করলেন। আমি আপনাকে ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার পরেও বিচার করিনি এবং আপনার সাথে বন্ধুত বজায় রেখেছি। ২০০৮ সালে এসে আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হোলো এবং ২০০৯ সালে আমি আপনার সেই পুরোনো খুনের বিচার করতে উদ্যোগী হলাম। আমি আপনার সাথে বন্ধুত্ব করেছি এতা নিন্দনীয় হতে পারে কিন্তু আপনার খুন করার ইতিহাস তাতে হালাল হয়ে যায় না, মিথ্যা হয়ে যায় না। আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোটাও সেক্ষেত্রে অপরাধ না।
আশা করি পার্থক্য বুঝতে পারছেন এখন।
amin বলেছেনঃ
কথা একটাই ভারতীয় দালালদের বিচার নাই
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
ঠিকাছে
Ahmed বলেছেনঃ
আপনার কথাহিসেবে বুঝা যায় দেশে আওয়ামিলিগ বাদে বাকি সব মানবতাবিরোধি বা যুদ্ধাপরাধি। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আপনার কলমের জোর দিয়ে লিখে গেলেন কেউ আপনাকে কিছু করতে পারলনা। এই সরকারের আমলে হাসিনা কখনো একটি কাজ করেছে যা কিনা দেশের জন্য মংগল? এখন পর্যন্ত এই বিচারের সাক্ষিদের আর বিচারকদের কর্মকান্ডে দেখা যায় এই বিচার ব্যবস্হা কতটা স্বাধীন ও নির্দলীয়? আমরা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার চাই। আওয়ামী ট্রাইবুনালে আওয়ামী বিচারকদের রায় আমরা চাইনা।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
আমি কি বলেছি আওয়ামীলীগ বাদে বাকী সবাই যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরধী? যারা এদের সমর্থন করে তারাই এদের বন্ধু। কথা সোজা।
আর আওয়ামীলীগ তাদের পুরো শাষনামলে কি কি করেছে সেটা এক একজনের কাছে এক এক রকম। আওয়ামীলীগ অনেক কাজ জঘন্য করেছে, ভালোভাবে শেষ করতে পারেনি। আবার আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করছে এটা দেশের জন্য ভালো একটা কাজ, সমুদ্র জয় কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশী বন্ধুদের স্বীকৃতি প্রদান এগুলোও চমৎকার কিছু কাজ।
rubel বলেছেনঃ
আইন শুধু আপনাদের জন্যই, আর আপনারাই বোঝেন ! শোনেন আইন হচ্ছে প্রভাবশালী আর ক্ষমতাবানদের নির্যাতনের হাতিয়ার। আশা নয় বিশ্বাস বুঝতে পারছেন। একই কথা বারবার বলতে ভাল লাগে না তারপর০ আপনার স্বরনে বলছি আ.লীগের কিনতু ৭৭জন যুদ্ধাপরাধী আছে। যখন আপনি তাদের নিয়ে কিছু বলেন না বা লিখেন না তখন আপনাকে বলতেই হয় আপনি নিরপেক্ষ নন। মনযোগ দিয়া শোনেন আজ যদি জামায়াত বিএনপি থেকে বের হয়ে যায় কাল থেকে জামায়াতের সব লোক সম্মানের সাথে জেল থেকে বের হবে। এটাই হচ্ছে রাজনীতি, এটাই হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী।
হারামজাদা, খুচিয়ে খুচিয়ে মেরে ফেলা, ঘৃন্য ব্যক্তি, ঘাতক, ধৃত এখন প্রশ্ন হল বিচার হ০য়ার আগে বা অপরাধ প্রমাণের আগে কি এগুলো বলা ঠিক?
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
হ্যাঁ এগুলা বলা শুধু ঠিকি নয়, বরং উচিৎ। ১৯৭১ সালে যখন আমাদের বাপ মা ভাই বোনদের এই রাজাকার রা মেরে ফেলেছিলো নৃশংস ভাবে হত্যা করে তখন কি কাজ গুলা ঠিক ছিলো? হিটলার কে যে যুদ্ধাপরাধী আমরা সবাই বলি, তার অপরাধ কি আদালতে প্রমাণিত? কিন্তু তারপরেও আমরা বলি। কিছু কিছু ব্যাপার আছে যা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত। ফ্যাক্টুয়াল ব্যাপারটা সবাই জানে। আদালতে প্রমাণিত হয় নাই বলে তো হিটলার সাধু হয়ে যায় না, ঠিক না?
শোয়াইব হোসাইন বলেছেনঃ
হ্যালো ভাই, এত কিছু জানেন তো আদালতে যেয়ে সাক্ষী দিতে কি হচ্ছে??? এদিকে সাক্ষীর অভাবে ট্রাইবুনালের অবস্থা বেগতিক, সে দিকে কি খেয়াল আছে? এত কিছু জানেন, তো জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির এর মত লোক যারা সারাদিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যিকির করে, তারা কেন আদালতে গিয়ে সাক্ষি দিল না? সব চোরদের ধরে ধরে সাক্ষি বানাইছেন কেন? কোন জবাব আছে ?
এই সব ধান্দাবাজি ছাড়েন। মানুষ এখন বোঝে, ৭১ এ কি ঘটেছিল আর এখন কি বলা হচ্ছে। আমরা তরুন প্রজন্ম আপনাদের চেয়ে কম জ্ঞান নিয়ে চলি না।
আপনার এত বড় পোস্টে একজন ও আপনার পক্ষে মন্তব্য করেনি। তার মানে আপনি একাই সব জানেন, আর বাকিরা সব অন্ধ তাইতো?
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
সাক্ষীরা চোর এমন কোনো প্রমাণ কোথাও নেই। মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিলো তা প্রকাশ্যে মানুষের সামনে হয়েছিলো। খুব শিঘ্রী এদের বিচারের রায় হবে। এত টেনশন নিয়েন না।
হোসাইন বলেছেনঃ
হ্যালো ভাই, এত কিছু জানেন তো আদালতে যেয়ে সাক্ষী দিতে কি হচ্ছে??? এদিকে সাক্ষীর অভাবে ট্রাইবুনালের অবস্থা বেগতিক, সে দিকে কি খেয়াল আছে? এত কিছু জানেন, তো জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির এর মত লোক যারা সারাদিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যিকির করে, তারা কেন আদালতে গিয়ে সাক্ষি দিল না? সব চোরদের ধরে ধরে সাক্ষি বানাইছেন কেন? কোন জবাব আছে ?
এই সব ধান্দাবাজি ছাড়েন। মানুষ এখন বোঝে, ৭১ এ কি ঘটেছিল আর এখন কি বলা হচ্ছে। আমরা তরুন প্রজন্ম আপনাদের চেয়ে কম জ্ঞান নিয়ে চলি না।
আপনার এত বড় পোস্টে একজন ও আপনার পক্ষে মন্তব্য করেনি। তার মানে আপনি একাই সব জানেন, আর বাকিরা সব অন্ধ তাইতো?
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
আমার পক্ষে একজনও মন্তব্য করেনি বলে কি রাজাকার ভালো হয়ে গেলো? গর্দভের মত কথা বলেন কেন?
Nur Islam বলেছেনঃ
[ইংরেজি ও রোমান হরফে লেখা মন্তব্য প্রকাশ করা হয় না। বাংলায় মন্তব্য করুন। নাম বাংলায় লিখুন : ব্লগ টিম]
নজরুল Islam বলেছেনঃ
হাইকোর্টের যেসব বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব অধ্যাপক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন তাদেরও বিচার হওয়া উচিত। ’৭১ সালে কবীর চৌধুরীসহ ৩১ জন বুদ্ধিজীবী বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ছিল। তাদের বিচার কী হয়েছে? আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বড় ভাই ছিলেন হাফেজ আজিজুর রহমান। কামরুল ইসলাম তখন রাজাকার হিসেবে ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় ঘুরে বেড়াতেন। একে ফয়জুল হক, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম, কবির চৌধুরী তাদের বিচার কী হয়েছে? সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই বিচার করা হচ্ছে। যে আইনে এই বিচার হচ্ছে তা একটা কালো আইন। এখানে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। একে ফয়েজুল হক আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে তাদের কাউকে যুদ্ধাপরাধী বলা হয়নি।
আওয়ামী লীগের দানবীয় শাসন জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়ে কালো আইনে এই যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ইসলামী দলকে ধ্বংস করা।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
চিহ্নিত মৌলবাদি গোষ্ঠীর উড়োপ্লাটফর্মের আধিভৌতিক প্রচারণাগুলো নিয়ে আমার মাথাব্যাথা নাই! আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করে তাদের পত্রিকার কাটতি কিম্বা ব্লগের ট্রাফিক কোনোটি বাড়াবার জন্যই আমি কাজ করতে রাজি নই- তাই প্রতিত্তোর দিয়ে সে অপচেষ্টা করিনা! কিন্তু আমি ভীত হই যখন দেখি সম্ভবনাময় চিন্তাশীল মানুষজন বিভ্রান্ত হচ্ছে সেসব প্রচারে! আমি হতাশ হই যখন দেখি- যাদের মুখে “কোরানের আয়াত”ও বিশ্বাসযোগ্য নয়* তাদের মুখের প্রলাপও বিনা চিন্তায় গলাধকরণ করছে ইতিবাচক চিন্তার অনেক তরুন-যুবা-জনতা! বাঙালির এই বিশ্লেষণবিমূখ স্বেচ্ছা অন্ধত্ব আমাকে ক্ষুব্ধ করে! এখানে বিষয়ের অবতারণা একটি সুডোট্রাফিক জিনিয়াস ছাগুব্লগের সাম্প্রতিক একটি লেখা প্রসঙ্গে! বিষয়টা এড়িয়েই যেতাম, কিন্তু পারলাম না তার একমাত্র কারণ একদল সম্ভবনাময় ছেলেপেলে বিশ্বাস করে বসতে যাচ্ছে এদের প্রপাগান্ডা! লিঙ্ক শেয়ার করে ট্রাফিক বাড়াবার কোনো ইচ্ছা নেই বিধায় ওয়েবশট দিচ্ছি!
পোস্টটির বিষয় সংক্ষেপ করলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে- “আওয়ামি লীগ’এর সৈয়দা বেগম সাজেদা চৌধুরি, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরি, শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনির চৌধুরি এবং কর্নেল কাইয়ূম চৌধুরি সকলেই ৭১’এ কোনোনা কোনো ভাবে পাকি’দের প্রতি সমর্থনদান করেছেন! এবং পুরো চৌধুরি বংশ নিয়ে তারা বহাল তবিয়তে বাংলাদেশে বেঁচেবর্তে আছেন! অথচ কেউ এই পরিবারকে(!) গোলাম আযমের সমকক্ষ অপরাধী বলে ভাবছে না!”
বিবাদভঞ্জন ০১:
এখানে প্রথম খটকাটা হচ্ছে- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরি কি আদৌ মুনির চৌধুরির পরিবারের কেউ!? দীর্ঘ কষ্টসাধ্য অনুসন্ধানে, বহুত খুঁজেপেতেও- যশোরের আলোকদিয়ায় জন্ম নেয়া বৃহত্তর ফরিদপুর নিবাসী ব্যবসায়ি পিতার সন্তান সাজেদা চৌধুরি’র [১] সাথে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামের মুন্সী বাড়িস্থ সরকারী চাকুরে খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর পুত্র মুনির চৌধুরি কিম্বা কবীর চৌধুরির [২] রক্তের সম্পর্ক তো দূরের কথা, সামান্য কোনো আত্মীয়তার সম্পর্কও পাওয়া যায়নি!
সুতরাং জোর করে সাজেদা চৌধুরিকে, কবীর বা মুনির চৌধুরির পারিবারিক সদস্য বানিয়ে ফেলাটা স্পষ্টই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সত্যের অপলাপ!
বিবাদভঞ্জন ০২:
বলা হচ্ছে-
“সাজেদা চৌধুরী সহ ১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের মধ্যে থেকে ৮৮ জন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের সদস্যপদ পুনর্বহাল করেছিলেন।”
ব্যক্তিগতভাবে এই মহিলাটিকে আমি একজন ৩য় শ্রেণীর রাজনৈতিক চাটুকার এবং একজন দূর্নীতিবাজ সন্তানের প্রশ্রয়দাতা জননী [৩] হিসেবে জানলেও এখানে জামাতি সাইটগুলোতে তার এবং যুদ্ধাপরাধীদের ভেতরে যে সমানচিহ্নটি টানবার চেষ্টা করা হচ্ছে তা মেনে নেয়া কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। এজন্য জানাতে হচ্ছে যে- নিম্নোক্ত যে ছবিটির বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে-
“বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এত বড় নেত্রী টিক্কা খানের আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছিল?! সাজেদা চৌধুরীও রাজাকার?! আরো কতো তথ্য যে অজানা?! ”
আসুন সে ছবিটি আরেক দফা চোখ মেলে দেখি!
অত্যন্ত অস্পষ্ট লেখাগুলোর মধ্য থেকে যেটুকু উদ্ধার করা গ্যালো তাতে লেখা দেখে বলা যাচ্ছে- সেখানে লেখা হয়েছে-
Press Note
88 MNAs OF DEFUNCT AWAMI LEAGUE RETAIN THEIR SEATS
OTHERS WILL GET CHANCE TO CLEAR THEMSELVES
খুব সরল অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায়- “নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামি লীগের ৮৮ এমএনএ যারা আসন ফিরে পেলেন; অন্যরা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবার সুযোগ পাবেন!”
অর্থাৎ একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় এখানে তাদের আসন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে- কোনো “আনুগত্য প্রকাশ” কিম্বা “ক্ষমা প্রার্থনা”র প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা আসেনি! বরং এটা ছিলো কৌশলে আওয়ামিলীগের সাংসদদের ভেতরে বিভেদের সৃষ্টি করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো একটি চেষ্টা যেটার আভাষ ইয়াহিয়া আগেই দিয়েছিলেন নিজ সাক্ষাতকারে-
“The president expressed the hope that majority of East Pakistan members of the Assembly will retain their seats and only a small minority will lose them for which he said by elections will be held in the normal democratic way. The president said that although the Awami League had banned as a political party the seats won by its members in the national Assembly had not been banned barring those who committed acts of treason.
He said that he was trying to retrieve all those members who would be allowed to retain their seats and even some of those who had gone across the border and had not committed any criminal acts will be invited to come back and have their seats.”[৪]
কোথাও কিন্তু ইয়াহিয়া বলেনি এদেরকে ক্ষমা প্রার্থনা করে/ আনুগত্য প্রদর্শন করে আসন ফেরত পেতে হবে! এখন তবে দ্যাখা যাক এই ঘোষণা যখন দেয়া হয়েছে সাজেদা চৌধুরি তখন কোথায় ছিলেন?! মজার ব্যাপার হচ্ছে ৭১’এর এপ্রিল মাস থেকেই সাজেদা চৌধুরি ছিলেন মুজিবনগর সরকারের নারী ট্রেইনিং ক্যাম্পের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে![৫] সুতরাং তাকে ইয়াহিয়া ক্ষমা করুক বা চুমু খাক- সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবার আদৌ কোনো প্রয়োজন তার ছিল কি?!
বিবাদভঞ্জন ০৩
কবীর চৌধুরি নাকি
“১৯৬৯-৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার কথা বলে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় দালাল আখ্যায়িত করে ১৯৭১ সালের ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলেন।”
প্রথম কথা হচ্ছে- ৭১ সালে সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরী চালিয়ে গেলে এবং চাকরী থেকে পদত্যাগ না করলেই যে সে পাক হানাদার সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর এ পরিণত হবে এমন কোনো আইন নেই! আজকে ডঃ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক যদি পারমাণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের চাকুরিতে গোটা ৭১ জুড়ে বহাল না থাকতেন, তাহলে ২৫মার্চ রাতের তান্ডবের সবথেকে বড় প্রমাণটা আমরা হাতছাড়া করে ফেলতাম! [৬] কিম্বা বুয়েটের সেই অজ্ঞাত পরিচয় প্রফেসর যিনি কালোরাতের ছাত্রনিধনের ভিডিওচিত্র গোপনে তুলে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন নয়টি মাস! [৭] তিনি চাকরী না ছেড়েও যে প্রবল উপকার করেছেন তার তুলনা হতে পারে না! তাই পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তায় পাকিস্তানি সরকারের চাকরী চালিয়ে গেলেই কেউ দালাল হয়ে যায়না! যদিও সেই পরিস্থিতির চাপে পড়েও কবীর চৌধুরি ১৭ মে দৈনিক পাকিস্তান/আজাদ পত্রিকার কথিত ওই বিবৃতিতে সাক্ষর করেন নি! নিজের লেখাতেই তিনি ব্যাপারগুলো পরিষ্কার করেছেন পরবর্তীতে-
“উপরওয়ালার নির্দেশে নিরুপায় হয়ে দুটি ছেলে, খুব সম্ভব রেডিওর লোক, একাডেমির অফিসে আমার কাছে একটা কাগজ নিয়ে এলো, আমার সই চাই তাতে। একটা বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে: বাংলাদেশের নিন্মলিখিত সুপ্রতিস্ঠিত কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী স্বপ্রনোদিত হয়ে বিশ্ববাসীকে জানচ্ছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাতে পাকিস্হান সরকার নিছক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে দেশকে ধংস ও নৈরাজ্যের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কিছু ব্যবস্হা গ্রহন করে। এর দরকার ছিল। গনহত্যা জাতীয় কিছুই এখানে ঘটে নি।এখন পূর্ব পাকিস্হানে অরাজকতা নিয়ন্ত্রিত, শান্তি প্রতিস্ঠিত এবং জনগনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
আমি তো বক্তব্যের প্রকৃতি, বিবৃতির ভাষা, নির্লজ্জ মিথ্যাচারের নমূনা দেখে হতবাক। যতটা বিনয়ের সংগে সম্ভব ততটা বিনয়ের সংগে শান্ত ও মৃদু কন্ঠে কিন্তু দৃড়ভাবে আমি ছেলেদুটিকে জানালাম যে, এই রকম নির্জলা মিথ্যা এক বিবৃতিতে আমার পক্ষে সই করা অসম্ভব।ওরা বললো যে আমার এই অস্বীকৃতির পরিনতি মারাত্বক হতে পারে। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থাকি। সত্যই এর পরিনাম মারাত্বক হতে পারতো। সেদিন ঐ সিদ্ধান্তের মধ্যে হয়তো অনেকখানি হটকারিতা ছিল; কিন্তু সেদিন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সে কথা ভেবে আজও নিজের কাছএ আমার খুব ভালো লাগে। অনেকেই ঐ বিবৃতিতে সই করেছিলেন, পরিস্হিতির চাপে। তাদের আমি দোষ দেই না। বেগম সুফিয়া কামাল সই করেন নি। চাপ সত্বেও ঐ বিবৃতিতে সই দিতে অস্বীকৃতি জানাই সম্ভবত শুধু আমরা দুজন।”[৮]
আর দৈনিক পাকিস্তান ও আজাদে একযোগে প্রচারিত ৫৫ বুদ্ধিজীবি সাক্ষরিত যে বিবৃতি নিয়ে এই অভিযোগ সেখানে ৫৫ জন বুদ্ধিজীবির তালিকা নিম্নরূপ [৯] – যেখানে শহীদ মুনির চৌধুরী নাম থাকলেও কবীর চৌধুরি অনুপস্থিত!
পুরো বিবৃতি দেখতে এখানে যান (ক, খ, গ)! [৯]
বিবাদভঞ্জন ০৪
এবার পাঠকের জন্য কিছুটা চমক অপেক্ষা করছে! এখানে উল্লেখ করা হয়েছে কর্লেন কাইয়ূম চৌধুরির কথা! তিন ভাইয়ের ভেতরে এর ব্যাপারেই সর্বাধিক পরিমাণে লেখা আসবার কথা ছিলো কিন্তু এর ব্যাপারেই অভিযোগ সবথেকে কম দ্যাখা গ্যালো!! মাত্র তিন লাইনে বলে দেয়া হয়েছে-
“কাইয়ুম চৌধুরী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন কর্নেল হিসেবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানের প্রতি তার আনুগত্য এত বেশী ছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও পাকিস্তানেই তিনি থেকে গেছেন। পরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে অবসর নিয়ে এখনও পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন। ”
আমি প্রবল গ্লানি নিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে- কর্নেল (অবঃ) আব্দুল কাইয়ূম যেই ইতর বিশেষটি নিজের পরিবারের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলো কেবল পাকিপ্রভুদের আস্থাভাজন হবার অভিলাষে- সে কোনোদিন “কর্নেল” র্যাঙ্কের ওপরে আর কোনো হাড়-মাংশই পায়নি প্রভুদের কাছ থেকে! “ব্রিগেডিয়ার” হিসেবে পদন্নোতি পাবার থুতুটুকুও কপালে জোটেনি এই প্রাণিটির![১০] অথচ, নিজের বাঙালি পরিচয় মোছার অভিপ্রায়ে নাম থেকে “চৌধুরি” পদবীটুকুই ঝেড়ে ফেলেছে এই ইতরটি! অবহেলা ভরা অবসরের পরে সে একটি ব্যক্তিগত পত্রিকায় কলামিস্ট হিসেবে টুপাইস কামাবার চেষ্টা করছে- যেখানে সে কিছু পুরনো পাকি আর্মি অফিসার কে নিয়ে কলাম লিখে বারম্বার বুঝাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে যে- পাকি সেনাবাহিনীর ৭১ এর আগ্রাসন ভুল ছিলো- এজন্য সে শাহাবজাদা ইয়াকুব খানের সাথে সাথে ৭১’এ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করেছিল! [১১] উল্লেখ্য- টিক্কাখানের পূর্বতন গভর্নর লেঃ জেঃ ইয়াকুব খান ৭১’এ সামরিক অভিযানের বিরোধীতা করে চাকুরী থেকে ইস্তফা দ্যান বলে কথিত আছে! তাছাড়া কর্নেল কাইয়ুম নামের এই ইতরটি- যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্তেও শহীদ মুনির চৌধুরির মৃত্যুর জন্য মুক্তিবাহিনীকে দায়ী করবার মতো ধৃষ্টতাও দেখিয়েছে![১০]
এখন সচেতন পাঠকমাত্রই বুঝে নেয়া উচিত যেই ইতরশ্রেনীর কনফিউজড কর্নেলটি নিজের পরিবারকে অস্বীকার করে পাকিস্তানী বনে গ্যাছে- তাকে দিয়ে কবীর চৌধুরি বা মুনির চৌধুরি বা ফেরদৌসি মজুমদারের (অভিনেত্রী, ফেরদৌসি চৌধুরি- পরবর্তিতে রামেন্দু মজুমদারের সহধর্মিনী) মনোভাবকে বিচার করাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত!
বিবাদভঞ্জন ০৫
গত ৪ঠা অক্টোবর ২০১১ তে কাদের সিদ্দিকী নামক নব্য মজাহার, এককালীন মুক্তিযোদ্ধাটি আমারদেশ নামক কৌতুক সংকলনে একটি লেখা লেখেন যেখানে অভিযোগ তোলা হয়-
“পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে ঢাকার ৩১জন বুদ্ধিজীবি বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে একনম্বরে স্বাক্ষর করেছিল মুনির চৌধুরী। মুনির চৌধুরী পুরো যুদ্ধের সময় একদিনের জন্যও নিজের কর্মস্থলে যাওয়া বন্ধ করেনি। এমনকি নভেম্বর মাসের বেতনও তিনি তুলেছিলেন। ১৩ তারিখ পর্যন্ত যারা অবলীলায় ঢাকায় থেকে পাকিস্তানিদের সব হুকুম হাকাম পালন করেছে, ১৪ তারিখ সুবেহ সাদেকে সেই পাকিস্তানিদের হাতে নিহত হয়ে সবাই পূতঃপবিত্র হয়ে গেল? আর যারা বেঁচে ছিল তাদের কেউ কেউ দালাল হলো? এটা কেমন বিচার? ”
প্রথম কথা হলো কাদের সিদ্দিকী নিজের স্মৃতিথেকে যা বলেছে তা চরম তথ্যবিকৃতি! গোটা ৭১’এ সংশ্লিষ্ট প্রতিটা সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের সংকলন খুঁজেও কোথাও ৩১ জন এর নামসাক্ষর করা কোনো বিবৃতির খোজ পাওয়া যায় নি! ওপরের উল্লেখিত ৫৫ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতির ব্যাপারটাই মূলত নিজের স্মৃতির ওপর চাপ দিতে গিয়ে ভুলেভালে বাঘা সিদ্দকীর মুখ ফসকে বেরিয়ে গ্যাছে। এবং মজার ব্যাপার হলো- সেখানে ১ নম্বরে মুনির চৌধুরি নাম নয় বরং রয়েছে ডঃ সাজ্জাদ হোসেনের নাম! তথ্য হিসেবে এটা খুব গুরূত্বপূর্ণ না হলেও এটা প্রমাণিত হয় যে- কেবলমাত্র স্মৃতি থেকে লিখতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী একজন শহীদ বুদ্ধিজীবীর ব্যাপারে যে কটাক্ষ করেছেন তা ধৃষ্টতাপুর্ন! তাছাড়া অনিচ্ছাসত্তেও বন্দুকের মুখে বিবৃতিতে সই না দেবার মতো ঝুঁকি সকলেই যে নেবেই সে ব্যাপারে জোর করা সম্ভব নয়!
এরপর, মুনির চৌধুরির চাকরীতে বহাল থাকা এবং বেতন ওঠাবার ব্যাপারে নতুন করে কিছু না বলি। বিবাদভঞ্জন ০৩ এ কবীর চৌধুরির ব্যাপার বুঝাতে, সে আলোচনা আগেই একবার করেছি! বরং পাঠকদের জানাই মুনির চৌধুরি ঠিক কতটুকু পাকিস্তানীদের হুকুম হাকাম পালন করছিলেন সে ব্যাপারে! মুনির চৌধুরি সেই ব্যক্তি যিনি ৫২-৫৪ সাল পর্যন্ত জেল খেটেছেন কেবল বাঙালির ভাষার অধিকার আদায়ে, মুনির চৌধুরি সেই ব্যক্তি যিনি প্রতিবাদে উচ্চকিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথকে বাঙালির পরিচয় থেকে মুছে ফেলার চেষ্টায়, মুনির চৌধুরি সেই ব্যক্তি বাংলা বর্ণমালাকে ভুলিয়ে দিয়ে রোমান পদ্ধতিতে বাংলা লেখার প্রচলনের বিরুদ্ধে ফেটে পড়েছিলেন, মুনির চৌধুরি সেই ব্যক্তি যিনি অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতেই ১৭ই মার্চ ১৯৭১’এ নিজের রাষ্ট্রীয় খেতাব “সিতারা-ই-ইমতিয়াজ” বর্জন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন! [১২] মুনির চৌধুরি সেই ব্যক্তি যার জ্যেষ্ঠ সন্তান আহমেদ মুনির ভাসান যুদ্ধ শুরু হতেই চলে গিয়েছিলো যুদ্ধক্ষেত্রে! [১৩] সেই মুনির চৌধুরি যে পাকিস্তানীদের হুকুম-হাকাম পালন করে পুরো ৭১ কাটিয়েছেন তা তো বলাই বাহুল্য! নয় কি!?
বিবাদভঞ্জন ০৬
কাদের সিদ্দিকীর ভাষ্যে বলা হয়েছে তালিম হোসেন নামক একজন কবি যিনি মূলত পরিচিত নজরুল একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা [১৪] ও গায়িকা শবনম মুশতারী’র পিতা হিসেবে- তিনি দালাল আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৫৫ বুদ্ধিজীবীর ঐ বিবৃতিতে সাক্ষর দেয়ার অপরাধে! যদিও বাঘা সিদ্দিকী বলেছে সংখ্যাটা ৩১, এবং তা ভুল! তবে হ্যাঁ- তালিকার ৩১ নম্বরে তালিম হোসেন এর নাম বিদ্যমান! তমুদ্দুন মজলিশের প্রাক্তন কর্মী এবং নজরুল একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তালিম হোসেন সাহেব’এর ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমার হাতে না থাকলেও- কাদের সিদ্দিকী সাহেব কি শতভাগ হলফ করে বলতে পারবেন যে তালিম সাহেব ঠিক ঠিক ঐ একটিমাত্র সাক্ষরের অপরাধেই ধৃত হয়েছিলেন কিনা?! কেননা সেক্ষেত্রে সম্পূরক প্রশ্ন থেকেই যায়- ৫৫ জনের ভেতরে অধিকাংশই স্বাধীনতা পরবর্তীতে জীবিত থাকা সত্তেও কেবলমাত্র তালিম হোসেন সাহেবকেই ক্যানো দালাল আইনে হাজতবাস করতে হলো!? উল্লেখ্য, এখানে কোনো ব্যক্তি বিশেষকে হেয় করবার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই, বরং কাদের সাহেবের হাইপোথিসিস এর যুক্তিহীনতাটুকুই দ্যাখাবার চেষ্টা করা হলো মাত্র।
বিবাদভঞ্জন সারকথাঃ
এতোগুলো কথা, তথ্য আর বিশ্লেষণের সারকথা কতটুকু বুঝাতে পেরেছি জানিনা! তবু শেষ কথা হিসেবে বলতেই হচ্ছে- আমাদের হেমন্তের মাঠে আজ হায়েনা নেমেছে! পুরোনো শকুন খুবলে নিচ্ছে পতাকা! তাদের ফাঁদ বড়ো অস্পষ্ট কিন্তু নিখুঁত! আজকে যারা যাই শুনছেন আর চোখবুজে বিশ্বাস করছেন তারা কি সামান্যতমও উপলব্ধি করতে পারছেন- একজম মুনির চৌধুরিকে বা একজন কবীর চৌধুরিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কাদের আখেরে লাভের গুড় তুলে দিচ্ছে?! আজীবন অসাম্প্রদায়ীক মুনির চৌধুরিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কারা একদল পিশাচের সাথে তাঁর সমানচিহ্ন টানতে চাইছে?! বাঙালির প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতির বোর্ড চেয়ারম্যান কবীর চৌধুরিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কারা নিজেদের শেষ মরণ কামড়টা বসাতে মরিয়া?! জোর করে কোনো একটি রাজনৈতিক পক্ষে ফেলে ক্যানো বিষিয়ে তুলবার চেষ্টা করা হচ্ছে বিশ্লেষণ বিমূখ বাঙালির সরল মনকে?! কাদের ফায়দা তাতে!? কারা আড়াল থেকে হাসছে?! কারা?!
আমি আমার পুষে রাখা আরো অনেক অলিক স্বপ্নের মতোই বিশ্বাস করতে চেষ্টা করবো- ভবিষ্যতে কোন বাঙালি তরুণ-যুবা বা মাঝবয়সি মানুষ তার ফেসবুক পর্দায় বা মেইলে ভেসে আসা কোনো খবর, কিম্বা পত্রিকায় প্রকাশিত যেকোনো সংবাদ- “শেয়ার” বোতামটা চেপে বা পাশের মানুষটিকে ডেকে পড়াবার চেষ্টা করার আগ মুহূর্তেই প্রশ্ন গুলো করবে নিজের কাছে! উত্তরটা নেতিবাচক হলে নির্দিধায় চেপে দেবে অলঙ্ঘনীয় “ক্রসচিহ্নটি”- যেটা তার লাল-সবুজ হৃদয়ে আজন্ম জ্বল জ্বল করছে একদল হায়েনার জন্য!!!!
সূত্রঃ http://nagorikblog.com/node/6900
হাসান বলেছেনঃ
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৭ বা ১৮ বছরের একজন ছাত্রকে কীভাবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দাঁড় করানো হলো। আওয়ামী লীগ দলে থাকলে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে দাঁড়াতে হতো না। কবীর চৌধুরীসহ বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের পক্ষে বলার পরও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসেনি। এ কে ফয়জুল হক, হাফেজ আজিজুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, কবীর চৌধুরীসহ বুদ্ধীজীবীরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। রাজনৈতিক কারণে এ বিচার হচ্ছে
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
যুদ্ধের সময় কামারুজ্জামানের বয়স ১৭ বা ১৮ ছিলো না। কেননা কামারুজ্জামানের জন্ম তারিখ ছিলো ০৪-০৭-১৯৫২। এইটা রাজাকার কামারুজ্জামানের সার্টিফিকেট বয়স। এই হিসাবেও যুদ্ধের সময় রাজাকারটার বয়স ছিলো ১৯ বছরের উপর। বাংলাদেশে সাধারণত সার্টিফিকেটে বয়স ৩-৪ বছর কমিয়ে লেখা হয়। সেই হিসাব ধরলেও কামারুজ্জামানের বয়স প্রায় ২৩-২৪ ছাড়িয়ে যায়।
১৯৭১ সালে ১২ বছরের, ১১ বছরের যদি মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারে, তবে ১৯ বছরের ধাইড়া কামারুজ্জামান রাজাকার, এইটাতে এত অবাক হন কেন? রাজাকার হইতে হইলে বয়স কত হওয়া লাগে?
হামজা বলেছেনঃ
প্রথমে আপনার লিখার ভাষা অরুচিকর বলে ঘৃণা প্রকাশ করসি। আপনি অনেক কে জ্জ্ঞ্যান পাপী বলেসেন
কিন্তু আপনার লিখা পড়ে মনে হল নিজের মতামত কে সঠিক প্রমাণে ইসচা মত তত্থ ঘোপন করেসেন । আটা কী কোন সববো দেশে সংভব বিচারক কারও বিরুদ্ধে বলেছেন কাউকে আগে থেকেই অপরাধী মনে করতেন তার বিচারের জন্য আন্দোলনে সহযোগিতা করেসেন আবার উনি বিচারক হয়েসেন আসামি পক্ষ জকন এ কথা তুলে তার কাস থেকে সঠিক বিচার পাওয়া সোনভব না যে তিনি আগে থেকেই আমাদের অপরাধী মনে করেন । এর পরও যিনি বিচারক থাকেন শুধু তাই নয় তার এই বিষয় এ শুনানির পর তার সহ কর্মী বিচারকদয় কী রায় দিয়েশীল মনে আসে অকটু মনে করে দেখেন তো তারা বলেসিল আমরা তাকে সরে যেতে বলার অধিকার নেই তবে আমরা তার সুবেবেচনার ওপর সেরে দিস্ছি। এই কথা গুলোr পর যিনি বিচারক পদে থাকেন তিনি বিচার চান নাকি তার পূর্বের ধরণ গুলো ভুল হলেও তা তিনি ক্ষমতার zore শাস্তি দিয়ে চান za এক চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ । মনে রাখবেন সব কিসু যে সব সময় thik জানবেন তা নয় ভুল হতে pare তাই বলে ভুল কে সতত বানানোর জন্য যা তা বলা ঠিক নয় । আমি আপনার চে বাংলাদেশ কে কম ভাল বাসিনা কিটু তাই বলে কোন কিসু প্রমাণ হওয়ার আগে কিসু বলা ঠিক না তেমনি প্রমাণের পথ টা হওয়া উচিত নিরেপেক্ষ কিন্তু তিক্ত হলেও সতত নিরেপেখ্হতার পথ টা হারিয়ে ফেলেসি আমরা ।
হামজা বলেছেনঃ
আপনার কথা কামরুজ্জমান এর সার্টিফিকেট বয়স 19 । ঠিক ase কিন্তু apni কী kore নিশ্চিত হলেন তার বয়স 3 বা 4 বসর কম লিখা হয়েসে যদি কম লিখা না হয়ে থাকে তাহলে একজন কম বয়েসের ছেলেকে নিয়ে শুধু রাজনৈতিক কারণে এক অনৈতিক খাল মেতে উঠেসেন অপনরা । ধরে নিলাম আপনার কথা মত তার বয়স সিল 23 বা 24 । আপনি বলেসেন 10 বা 11 বসরে মুক্তিযোদ্ধা হলে রাজাকার কেন hobena । 23 বা 24 এ রাজাকার হয়ওয়ার চেষ্টা করা zete পারে কিন্তু লিডার হওয়া যয়না। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতার সিলেন বয়সে বড় o জাতীয় নেতা এবং পাকিস্তানীদের পক্ষে সিলেন সমস্ত জেনারেল রা সেখানে হঠাত্ করে কী হলো যে অকজন অসামরিক কম বয়সী ছেলেকে সামরিক বাহিনীর সহযোগী বাহিনীর প্রধান করতে হবে আপনি জেনারেল হলে এ রকম কাজ করতেন? আপনার পরিচিত কোনও সামরিক অফিসার কে প্রশ্ন দয়া করে করবেন তারা এ ধরনের কাজ কবেন কী না ? মনে রাখবেন আমাদের মত 24 ,25 বয়েসের যুবক রা যুক্তি প্রমাণের সতত জানতে চাই আবেগের স্রোতে মিথ্যার বান দেখতে চাইনা ।
abdullah বলেছেনঃ
বাংলাদেশের সব জামাতি দেখি এখানে আপনার লেখার বিরোধীতায় লেগে গেছে!!
লেখকরে গালাগালি করে বা আওয়ামীলীগকে গালাগালি করলেই জামাতিরা ভাল হয়ে যাবে না। এদের ন্যুনতম লজ্জা থাকলে এদের বাপদের দেশে (যদিও গোলামতো, ওইখানে গেলে লাথি ছাড়া কিছু পাওয়ার আশা না ই।) এরা যতই পেপার পত্রিকায় লাফালাফি করুক, বাংলাদেশে এরা পাকিদের বেজন্মা গোলাম হিসেবেই জানবে। আর এখন কমিউনিকেশন এত ওপেন, এরা যতই নতুন ইতিহাস লিখুক, লাভ নাই।
দেশ প্রেমিক বলেছেনঃ
নিজুম মজুমদারের ব্লগ এর মন্তব্য করার আমার ভাষা নেই! সে এত কুৎসিৎ ভাষা ব্যবহার করছে , [মডারেটেড]!! তিনি আওয়ামী ও ভারতের পা- ছাটা গোলাম এতে কোন সন্দেহ নেই। নিজুম মজুমদার প্রতিটি ব্লগ লিখার জন্য আপনি সরকারের কাছ থেকে কত টাকা পান? আপনি নিজেকে কি নাস্তিক বলে দাবী করেন? দয়া করে উত্তর দিবেন।
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
জাতি অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে! কিন্তু জাতির আশা প্রত্যাশা পূরণে আমরা কি দেখছি? যা শুধু রাজনৈতিকভাবে প্রহসনের বিচার চলছে। প্রকৃত পক্ষে সাধরণ জনগণ যে প্রত্যাশা করছিল আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তা বাস্তবে শুধুই প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়, সরকার রাজনৈতিক পয়দা হাসিল যেন এর একমাত্র উদ্দেশ্য! শুধু জামাত কিংবা বি.এন.পি নয় সকল দলের মধ্যে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করছি একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে। “স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি দাবীদার আওয়মী লীগেও রয়েছে যুদ্বাপরাধী। এ দলেও আছে কুখ্যাত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, গণহত্যকারী,গণধর্ষনকারী, অগ্নিসংযেগাকরীসহ স্বাধীনতাবিররাধী। অথচ আওয়মী লীগ সব সময় নিজেদের খাটি মুক্তিযোদ্বা দাবী করেন। তাদের দলে কোন যুদ্বাপরাধ আছে এটা মানতে নারজ। মুক্তিযুদ্বে অংশ গ্রহণ করেনি, স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন, রাজাকার ছিলেন এরকম কেউ যদি আওয়ামী লাগে থাকেন, তাহলে তিনিও হয়ে যান স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। অন্যদিকে ভিন্নমতের কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলে হয়ে যান যুদ্বাপরাধী। স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে এ ই ধুয়া তুলে স্বাীধনতার ৪০ বছর পরেও রাজৈেনতিকভাবে ফায়াদ লুটছে অওয়ামী লীগ। আর অন্যন্য দলকে স্বাধীনতবিরোধী বলে তারা কোনঠাসা করে রেখেছে। এক অনুসন্ধানে এরকম ৭৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা রাজনৈতিকভাবে সুবিধাভোগকারী যুদ্বাপরাধ বা মুক্তিযুদ্বের বিরোধিতাকারী। এরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামৗলীগ ও মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিতে থাকাতে সব নেতা পাকিস্থানী পক্ষাবলম্বনকারীদের বিচারের দাবীতে এখন সোচ্চার , তাদের পিতা-চাচা এবং আতœীয়দের অনেকেই মুক্তিযুদ্বের বিরোধীতা করেছে, এমন কি বর্তমানে সরকারের মন্ত্রীসভা ও দলে গুর“ত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যেও রয়েছে যুদ্বাপরাধী। আওয়ামী লীগের এই ৭৭ জন যুদ্বপরাধীর পরিবার কোন না কোনভাবে পাকিস্তানী ও যুদ্বপরাধর সথে জড়িত ছিলেন। মক্তিযুদ্ভের বিরুদ্বে আওয়াম লীগের এসব নেতার ঘৃনিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবতীতে আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে সতিক্রয় থেকে মুক্তিযুদ্বের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তযুদ্বের সময় জণপ্রতিনিধি হয়েও আওয়ামীল লীগের অনেক নেতাই পাকিস্তানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেই ছিলেন এম এন এ (জাতীয় পার্টি পরিষদ), কেই ছিলে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য । তারা ছিলেন আল-বদর ,আল-শাসম ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গুপ্তচর। হানাদার বাহিনীকে তারা সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছেন। দেশের মক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতবিরোধী অপরাধের সঙ্গেও তাদের কয়েকজন যুক্ত ছিলেন। যুদ্বপরাধ সংন্ত্রান্ত প্রকাশিত কিছু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। নিম্নে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্বাপরাধীর নাম ও তাদের কর্মকান্ডের কিছু তথ্য দেয়া হল: ১। নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া: ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কৃখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই খন্দকার মোহতেশা হোসেন বাররের বিরুদ্বে নানা অপকর্মের অভিযোদ তুলে ধরে বলেন, তা বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্বের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ খবরটি প্রকাশিত হয় । এ খবর প্রকাশের পর একজন কুখ্যাত রাজারের পক্ষে ছাফাই গাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামীলীগের নেতারা। নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাফটে ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে। ২। লে.কর্ণেল (অব ফারুক খান: বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ব শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালন এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা ও নিরীহ নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ব” বই। ৩। মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর – ৩ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদদের গঠিত করে মুক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্বে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপরের মুক্তিযুদ্ব ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের এই নেতা নিজের নাম থেকে গোলাম শব্দটি বাদ দেন। ৪। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরে রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম আছে। ৫। মুসা বিন শমসের: গত ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাম করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলের জন্য ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেই বলছেনা কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের শ্বশুর। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যুদ্বাপরাধীর তালিকার ক্রমিক নম্বরে ৫৯৫ তে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুর“ত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে। ৬। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগীতা ও মুক্তিযোদ্বাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই য়াকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয় । একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদ ও আশাসম বাহিনীকে সর্বাতœক সহযোগীতা করেছেন। । অ্যাডভোকেট কামর“ল ইসলাম মুক্তিযুদ্বের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগীতা করেন। মুক্তিযুদ্বের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মুজিবর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ প্রতিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্বে ইসলামী দল শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। ৭। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্বাপরাধের তালিকায় (ত্রমিক নংং ৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈকি ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে যুদ্বাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের র্মত ওয়াহেদ আরী মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্বা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোসলেম উদ্দিন স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দালাল, যুদ্বাপরাধী, জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও আইন অমান্য কারী লোক। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ও তার বাহিনী ১৯৭১ বালের ২৭ জুন দুপুর ২টায় জালাল উদ্দিনের বাড়ি লুন্ঠন করে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় মুক্তিযুদ্বা আব্দুর রাজ্জাক , আবদুস সালাম, আবদুস মান্নানের বাড়িসহ ৪/৫টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর পুড়িয়ে দেয়। ৭১ সালের ২০ জুন এ বাহিনী ফুলবাড়িয়া কুশমাইল এলাকার বসু উদ্দিন, ১২ জুর ফুলবাড়িয়ার আ:মজিদ এবং ২৯ নভেম্বর ভালুকজান এলাকার তালেব আলী, সেকান্দার আলী ও আলতাফ আলীকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিবাদীরা ২১ নভেম্বর শহীদুল্লাহ মাস্টার ও ছবেদ আলীকে হত্যা করে। ৮। এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য , আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মাছ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্বের বিরোধী কর্মকার্ন্ডে সহযোগীতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাসিক ‘সহজকথা’ আয়োজিত “যুদ্বাপরাধের বিচার: বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহামান যুদ্বের সময় টাঙ্গালের এ ডি সি ছিলেন। আমি যে দিন টাঙ্গাইল দখল করি তার পরদিন টাঙ্গাইল মাঠে আমাদের একটা জনসভা ছিল। আমার মঞ্চের সামনে এ ডি সি হিসেবে বলেছিলেন। তার ছবি এখনো আমার কাছে আছে। ৯। মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্বায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকুরি করে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। এ এসম এ আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টার মুক্তিযুদ্বের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ১০। মাওলানা নুরুল ইসলাম : জামালপুরের সাবেক সংস ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সসিষাবাড়ী এলাকার রাজাকর কমান্ডার ছিলেন। তার নিতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিয্দ্বু বিরোধী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ ” গ্রস্তের ৪৫ পৃষ্টায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এছাড়া দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত গত ২৮ এগ্রিলের একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১১। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপতো ফরিদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ব চলাকালে পশ্চিম পাকিস্থানী শাসক গোষ্ঠেীর কাচে একজন আস্থাভজান নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আাসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেখে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে। জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্বদের বিরুদ্বে ভুমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে। ১২। সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামীলীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্বেদর সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন । মাসিক “ সহজকথা” আয়োজিত যুদ্বাপরাধের বিচার : বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বকত্ব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামীল লীগের বর্তশান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। “ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবন্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে। ১৩। মজিবর রহামান হাওলাদার: কাটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্বে এলাকার বসতবাড়ীদে অগ্নিকান্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে। ১৪। আবদুল বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারের হাওলাদার দালাল ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে । এ তালিখা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিখা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্বের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৫। আজিজুল হক: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার প্রকাশিত হয়েছে। ১৬। মালেক দাড়িয়া: আওয়ামীলীগ নতা ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক যেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল-বদরের একনিষ্ট সহযোগী । গনহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি । গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০৮৮ সালের ১ আগষ্ট। ১৭। মোহন মিয়া: গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেরনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্বাদের বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিচ কমান্ডের যেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে। ১৮। মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া: উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুস্তি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌছে দিতেন। ১৯। রেজাইল হাওলাদারঃ কোটাললপাড়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল-বদর , আলশামসতহ সহ গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিক্য়া রয়েছে। তিনি আলবদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে নান কর্মকান্ড পরিচালনা করেতেন। ২০। বাহাদুর হাজরাঃ কোটারীপাড়া স্তানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও পেীর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালীপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন। ২১। আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের এ পি পি ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল বদর সহযোগী ছিলেন। আলবদর সহযোগী ছিলেন। আলবদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করতেন। ২২। হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছ্ তিনি একজন রাজাকার ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে অনেক সাধারন বাঙ্গালীর বাড়ি ঘরে অগ্সিংযোগ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। ২৩। আবদুল কাইয়ুম মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্চ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা সহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বে আবদু কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল-বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর সাথে থেক অনেক মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা করেন। এ ছাড়া বহু লোকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেন। ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর মামলার বাদীর বাড়িতে গিয়ে তার চাচাকে গুলি করে হত্যা করেন। এদিকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় জনপ্রতিনিধী হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্বের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম পি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্বে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগীতা করেছেন। দেশের মুক্তিযুদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষন, লুটতরাজ এবং বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধি অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্বাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
প্রিয় নিজুম মজুমদার ভাই,
দয়া করে মনোযোগ দিয়ে উপরের বর্ণিত ৭৭ জন আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীর তালিকা দেখবেন। এবং যাদের বিবেক বুদ্ধি অন্ধ হয়ে গেছে তাদের বিবেক বুদ্ধি যেন পূণরায় জাগ্রহ হয় এই আশা রইল সবাইর প্রতি ।
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
[ব্যক্তি আক্রমনাত্মক অশালীন মুছে দেয়া হলো :ব্লগ টিম]
বিবেকবান মুসলিম বলেছেনঃ
দয়া করে সবাই এই লিংকটাতে ভিজিট করেন।
http://nagorikblog.com/node/6900
rafiul বলেছেনঃ
নো নিড টক এবাউট দিস ট্রাইব্যুনাল বিকজ দিজ ইজ অ্যাটাক ফর অপজিশন পার্টি
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
দুঃখিত !! সন্মানিত মডারেটেড, আমার অপ্রত্যাশিত মন্তব্যটি না প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
নিজুম মজুমদার তার ব্লগে কিছু কুরুচিপূর্ণ লিখা লিখেছে, সেটা মুছে ফেললে এ ধরণের মন্তব্য আসতো না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সন্মানিত মডারেটেড বৃন্দ।
মামুন খান বলেছেনঃ
এ পর্যন্ত যতগুলো রিপোর্ট পড়েছি ও এর পক্ষে-বিপক্ষের অনেক তথ্য-প্রতিবেদনে যা জেনেছি তাতে বর্তমান ট্রাইব্যুনাল যে নিরপেক্ষ নয় ও রাজনৈতিক উদ্যেশ্যমুলক তা ভালভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
আমরা যুদ্ধাপরাধের স্বাধীন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার চাই। প্রকৃত অপরাধী, সে যে দলেরই হোক না কেন-কাঊকে ছাড় দিলে চলবে না।
আমরা নতুন প্রজন্মরা এত বোকা নই যে যে কেউ বলল আর চোখ কান বন্দ করে বিশ্বাস করে নিব। সবকিছু শুনে বুঝে নিরপেক্ষ বিচারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। তাই কারও পক্ষাবলম্বন না করে তথ্য ও যুক্তিনির্ভর কথা বলুন, তাহলে সাথে আছি।
mostafiz বলেছেনঃ
শহীদুল ইসলাম : ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরদ্ধে সরকার পক্ষের ১ নং সাক্ষী ইতিহাসবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুনের জেরা গতকাল বুধবার তৃতীয় দিনের মত শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার জেরা অব্যাহত থাকবে। গতকালের জেরায় এডভোকেট মিজানুল ইসলাম তাকে যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তার মধ্যে শান্তি কমিটি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম- এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ফর্মাল চার্জে। এ বিষয়ে মুনতাসির মামুনের কাছে নানাভাবে প্রশ্ন করা হলে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের কোন নির্দেশ কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা এলাকাতে শান্তি কমিটির কোন সদস্য দিয়েছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধের এই গবেষক অধিকাংশ প্রশ্নের জবাবে বলেন, কাগজপত্র না দেখে বলতে পারব না। খাজা খয়ের উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সমস্ত সদস্যই বেসরমারিক ব্যক্তি ছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ঢাকায় ধানন্ডি ও মিরপুরে চাচার বাসায়, সোবহানবাগে কয়েক দিনের জন্য চাচার আত্মীয়ের বাসায় এবং বাকি দিনগুলোতে চট্টগ্রামে তার পিতার সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন। কখনো বাসা থেকে বের হতেন না বলে জানান। তার পিতা চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দায়িত্ব পালন করেছেন যে বন্দর পরিচালিত হতো তৎকালীন পাকিস্তানী দখলদার সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
প্রশ্ন : অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শান্তি কমিটির কাছে কোন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছিল কি না?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনি ধানমন্ডি থাকতেন তখন ধানমন্ডি নামে কোন থানা ছিল কি না?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : তখন ধানমন্ডি থানা শান্তি কমিটির সদস্য কে ছিলেন?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : আপনার বাড়ির নিকটবর্তী শান্তি কমিটির সদস্য কে ছিলেন?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : আপনি যে এলাকায় ধানমন্ডিতে থাকতেন সেই বাসা থেকে নিকটবর্তী রাজাকার ক্যাম্পের দূরত্ব কত হবে?
উত্তর : আমার মনে নেই।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি এলাকায় রাজাকার কমান্ডারের নাম কি?
উত্তর : আমি জানি না।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় আল বদরের অফিস কোথায় ছিল? কমান্ডারের নাম কি?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : যতদিন ধানমন্ডি থাকতেন ঐ এলাকায় অবাধে যাতায়াত করতেন?
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ধানমন্ডি এলাকায় আপনি কোন হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন হতে দেখেছেন?
উত্তর : দেখা সম্ভব নয়, কারণ আমি প্রায় সময়ই বাসায় থাকতাম।
প্রশ্ন : এরূপ কোন খবরও আপনার গোচরে আসেনি?
উত্তর : সঠিক নয়। কারণ পত্র-পত্রিকা, রেডিও, ব্যক্তির মাধ্যমে বা অতিথি আসলে তাদের মাধ্যমে কিছু খবর পেতাম।
প্রশ্ন : আপনি যখন ধানমন্ডি থাকতেন তখন নিহত কোন ব্যক্তির নাম বলুন?
উত্তর : স্মরণ নেই।
প্রশ্ন : কোন নির্যাতিত মহিলার নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি এলাকার যেসব বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এরূপ কোন বাড়ির কথা বলতে পারবেন?
উত্তর : বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় আদৌ কোন হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে কি না?
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কোন এলাকার কথা বলতে পারবো না। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি এই জবাব দেন।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির কোনো সদস্য বা কাউকে ধর্ষণ করেছেন- মর্মে কোনো খবর ১৯৭১ সালের পরবর্তীকালে কোনো পত্র-পত্রিকায় বা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল কিনা?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলতে পারব না।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি বা কমিটির কোনো সদস্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঐ ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করেছিলেন- মর্মে কোনো সংবাদ তৎকালীন সময়ে কোনো সংবাদমাধ্যম বা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কিনা? হলে কত তারিখে?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি বা কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কোনো বিশেষ ব্যক্তির বাড়ি বা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা?
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সদস্য কোনো বিশেষ ব্যক্তির বাড়ি বা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন কিনা- সেটা কাগজপত্র না দেখে বলতে পারব না।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির সকল সদস্য বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন?
উত্তর : জি।
rubel বলেছেনঃ
তাহলে আপনাকে০ কিছুর বলা ছিল!
কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন আবার অনেক গুলোর দেন এমন কেন ভাই?
ভাই যা কিছুই বলেন না কেন লোকে কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছে।
আপনার আরো অনেক কিছু জানার দককার আছে তাই :-
http://storyofbangladesh.com/
http://www.youtube.com/watch?v=e7Yxe-cRwSI
http://www.priyoboi.com/2011/11/blog-post.html
শিমন বলেছেনঃ
বেশির ভাগ মন্তব্যকারী বেশ বুদ্ধিমান এবং যুদ্ধাপরাধ সম্পকে ভাল অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু সবাই বিচার যাতে না হয় তার পক্ষে । আমি কিছু সোজা প্রশ্ন এবং উত্তর জানিঃ ১.৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তাতে কারা পক্ষে এবং কারা বিপক্ষে ছিল? ২. কাদের নিয়ে পাকিস্তানী সামরিক সরকার বিভিন্ন বাহিনী গঠন করেছিল?
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
এখন দেখবেন এইসব ছাগুরা পালাবে। এদের মুখে আর উত্তর পাবেন না।
বিবেকবান মুসলিম বলেছেনঃ
সবাই ভিজিট করুন।
http://www.youtube.com/watch?v=e7Yxe-cRwSI
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
নিজুম মজুমদার ভাই আপনি কোথায়? উপরে বর্ণিত সরকারী পক্ষের ৭৭ জন যুদ্ধাপরাধী সম্পর্কে আপনি কোন জবাব দেননি, আমি আপনার কাছ থেকে ত্ত্ত্ব ও যুক্তি নির্ভর উত্তর আশা করতেছি।
-নিঝুম মজুমদার বলেছেনঃ
নির্বোধের মত কথা বলা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। অপরাধী যে দলেরই হোক বিচার হতে হবে। আপনি অভিযোগ ট্রাইবুনালে প্রেরণ করেন, জামাতের উকিল দের বলেন তা করতে। সেটা না করে এখানে বাকোয়াজি করে কি লাভ? তদন্ত সংস্থাকে জানান এই অপরাধীদের কথা। তারা তখন তদন্ত না করলে আপনি বলেন। কিছুই না করে আজাইরা এখানে ফাজলামীর কোনো কারন দেখিনা।
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
আপনি যে গুলো করতেছেন যেগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করতে আমার রুচিতে বাধে, আপনিতো জ্ঞান পাপি, আপনি আওয়ামী ও ভারতের দালালী না করে নিজেকে যদি বিবেকবান মানুষ হিসাবে দাবী করেন তাহলে ন্যায় ও উচিৎ কথা বলতে শিখেন। মহান আল্লাহ যেন আপনাকে হেদায়েত দান করে,,,,,,,,,,,,,আমীন,,,,,,,,,,,,
সোহেল চৌধুরী বলেছেনঃ
শিয়ালের কাছে যদি মুরগী বর্গা দেয় তাকি ফেরৎ পাওয়া যাবে? সবইতো দলীয় লোক, ইনশাল্লাহ এদের বিচার হবে আগামী নির্বাচনে জোট সরকার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই এদের বিচার শুরু হবে। এখন থেকে দেশ প্রেমিক নাগরিকগণ সীমান্তে পাহারা দিতে হবে, তারা যাতে নানার বাড়ীতে চলে যেতে না পারে।
ভারতের দাদাল মুক্ত বাংলাদেশ চাই!! বলেছেনঃ
আওয়ামী দালাল নিঝুম মজুমদার সময় থাকতে ভারতে চলে যান, কিছু দিন পরে সীমান্ত বন্ধ করে দিবে দেশ প্রেমিক জনগণ, যুদ্ধাপরাধ বিচার ন্যায় বিচার করলে আমরা সমর্থন দিবো, কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে এটা তো নাটক ছাড়া কিছুই নয়।
*সত্যবাদী বলেছেনঃ
ভাই নিঝুম,
যত টুকু জানি আপনি একজন ব্যারিস্টার অথবা ব্যারিস্টারি পরছেন। সুতরাং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমার কোণ প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমি আহত হলাম প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ব্যাপারে আপনার ভাষা চয়নের শ্রী দেখে। আপনার মত ই সবাই মেনে নেবে আপনি এমনটি নিশ্চয়ই আশা করতে পারেন না। যারা আপনার বিপক্ষে বলছে তাদের কথায় ও যুক্তি আছে। আপনি তাদেরকে যে ভাষায় আক্রমন করলেন এতে আপনার রুচি বোধ নিয়ে আমার সংসয় সৃষ্টি হয়েছে এতো আসহিস্নু হয়ে ব্লগ লেখেন কেন? পরমত সহিষ্ণুতা যদি নাই থাকে তবে আপনার লেখায় অপরকে মন্তব্য করার সুযোগ দেন কেন? জানি আপনার দলের কারো বিরুদ্ধে বললে আপনার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। কিন্তু এখানে আপনি কি দলীয় পরিচয়ের উরধে উঠতে পারতেন না? আপনি হয়ত মানুষের হৃদয় পাঠ করার ক্ষমতা রাখেন না। দেশের অজস্র সমস্যার মধ্যে যুদ্ধ অপরাধের বিচারের আওয়ামী দাবী এখন মিলিয়ে গেছে। মানুষ জানে বিচারের নামে সরকার ভণ্ডামি করছে। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার আমরা চাই, তবে সেটা আওয়ামী লিগের মতো মানবতা বিরোধী সরকারের কাছে না। চারি দিকে তাকিয়ে দেখুন সরকার নিজেই সবচে জঘন্য মানবতা বিরোধী। আশা করি এই মানবতা বিরোধীদের ব্যাপারেও আপনার কলম ঝলসে উঠবে।
rubel বলেছেনঃ
প্রিয় বিডিনিউজ মডারেটর দেখুন নিঝুম মজুমদার কিভাবে শর্ত ভঙ্গ করছে খারাপ কথা বলে।
নিঝুম ভাই আমার কথার জবাব দিবেন কবে।
অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার কারী ব্যক্তিকে বর্জন করি!!!! বলেছেনঃ
জনাব, বিডিনিউজ মডারেটরবৃন্দ! আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি যে, নিঝুম মজুমদার তার ব্লগ এ অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছে, যাহা বিডিনিউজ এর সংবিধান লঙ্গন করেছে, এর শাস্তি স্বরুপ তাকে সতর্ক করে দেওয়া উচিৎ এবং তার ব্লগ সংশোধন করা উচিৎ। আশা করি আপনারা ন্যায় বিচার করবেন। ধন্যবাদ।