আমার মানিক মইরা গেছে। সারা শইল রক্তে ভিজি গেছিলো। এহনও দেখি আমার মানিক আমার দিকে দৌড়াইয়া আইতাছে। আমারে বাঁচাও মা।
আমি বাঁচাইতে পারিনাই। আমার মানিকরে লুকাই রাখতে পারিনাই। সাদা জামাটা লা..ল হয়ে গেছে। আমার মানিক আমার দিকে দৌড়াইয়া আইতাছে। আমারে বাঁচাও মা।
ভগবান আছে। খুনিগো কারো রক্ষা নাই। মামলা অইছে। দারোগাবাবু মোটা বইতে কত কিছু লেইখছে। বড় ভালা মানুষ। বড় ভালা মানুষ দারোগাসাব। কত আফসোস কইরলো আমার মানিকের জন্য। লাশ ছাড়নের জন্য বেশী ট্যাকাও চায় নাই। নিজেই তো চাটাই মোড়াই করে আমার মানিকরে আমার হাতে দিয়া দিল।
আমার ভগবান আছে। খুনির বিচার অইবোই। দারোগাবাবু কত কিছু লেইখছে। লাশ ছাড়নের ট্যাকা দেয়ার পর দারোগাবাবু পঞ্চাশ ট্যাকা ফেরত দিয়া দিছে। কইছে তোমার পোলা থাকলে তো তোমারে কিছু কিন্না দিতো, এই ট্যাকা দিয়া তুমি কিছু খাইবা। ভালা মানুষ। যত্ন কইরা লেইখছে। হাকিম সাবের কাছে এই লেখা পাঠাইবো কইছে। বিচার হইবো। খালি ডাক্তরের কাগজটা আইলেই অয়।
ওই কাগজে ডাক্তারবাবু লেইখা দিবো, আমার মানিকরে কয়টা কোপ দিছে, কয়টা বাড়ি দিছে। তারপর বিচার অইব। দারোগাবাবু লেইখছে, ডাক্তরবাবু লেইখবো। উকিল সাবের মোটা বইতে লেখা আছে। সরকারী উকিল দাঁড়াইবো আমার মানিকের জন্য, যেনতেন উকিল না। ভালা মাইনষের জন্য সবাই দাঁড়ায়। বিচার অইবো। আমার মানিকরে আমি লুকাই রাখতে পারিনাই। আমার মানিক আমার দিকে দৌড়াইয়া আইতাছে। আমারে বাঁচাও মা।
ডাক্তার সাব! আমার মানিকের শইলের ক্ষত চিহ্নগুলো কেমনে মিলাই দিলেন। আফনে বড় ভালা ডাক্তর। আমার মানিকরে যখন কোপাইছিলো তহন ধুক ধুক প্রাণ নিয়া আমার মানিক এক ডাক্তরের কাছে গেছিল। ওই ডাক্তর আফনের মত এত পাশকরা ডাক্তর নয়। চিকিৎসা পারেনা। আমার মানিকের শইলের একটা কোপও সে মিলাইতে পারে নাই। রক্তে আমার মানিক লা..ল হইয়া গেছিলো। একটা কোপও সে মিলাইতে পারে নাই। চাটাই মোড়াই কইরা আমার মানিকরে আমি নিয়া আইছি। ওই ডাক্তর বেশী পাশ করা ডাক্তর না।
(ডাক্তর সাব! আফনের মত আমিও বিক্রি হয়ে গেছি। বিবেক পঁচে গ্যাছে। তাই বানান শুদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা নাই।)
===============================================================
দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্তের সুযোগ নাই। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের অভিযোগে করা মামলায় যদি ধারালো অস্ত্রের আঘাত প্রমাণিত না হয় তবে মামলার গতি প্রকৃতি কী হতে পারে- ব্লগে কোন আইনজীবি থাকলে দয়া করে একটু ব্যাখ্যা করবেন।