চোরাগুপ্তা হামলার গণতন্ত্র কার স্বার্থে?

নির্বাসিত পথিক
Published : 13 Nov 2012, 07:47 PM
Updated : 13 Nov 2012, 07:47 PM

একটা অস্থির সময় পার করতে হচ্ছে। চারদিকে শত ব্যস্ততার মধ্যে শুধু একটা আতংক বিরাজ করছে এই বুঝি হামলা শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিসের হামলা ? কেন হামলা ? কার স্বার্থে হামলা ? শুধু প্রশ্নবোধক চিহ্ন, সারাদিন খুজে ফিরলেও প্রতি উত্তর পাওয়া যাবে না। দেশে সমস্যা নেই তা বলা যাবে না, সমস্যা আছে। কিন্তু এখন আমাদের চারিদিকে যে হামলা হচ্ছে যাকে বলা যেতে পারে চোরাগোপ্তা হামলা। এই হামলা দিয়ে কী চলমান নাগরিক কোনও সমস্যার সমাধান হচ্ছে ? নাকি চলমান কোনও নাগরিক সমস্যার সমাধানের জন্য এই ধরনের অতর্কিত হামলা হচ্ছে?

স্পষ্ট তো যারা এই হামলা করছে অর্থযাত জামাত ও শিবির তারা বলছে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। মানলাম গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার এটা। কিন্তু প্রশ্ন থাকে যে, বলা নেই, কওযা নেই হটাত্‍ করে প্রোটিন প্রতি সময় রাষ্টের জনগণ কে আতংকের মধ্যে রেখে এক দিক থেকে গাড়ি ভাংচুর শুরু হয়ে গেল, একটা মানুষ হতে পারে সে পুলিশের চাকরি করে কিন্তু সে মানুষ, কোনও রোবট নয়, তার পরিবার রয়েছে, সে বেজন্মা নয়, তার উপরে অতর্কিত হামলা কেন ? তার অপরাদ কী ? সে সরকারের কর্মচারী, প্রজাতন্ত্রের একজন বেতন ভুক্ত শ্রমিক মাত্র। তার উপরে হল রাষ্ট ও সরকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ত্ব। সে অপরাধ করছে না তা মোটেই ঠিক না, সে অপরাধ করছে তবে নিজের ইচ্ছার চেয়ে অন্যের ইচ্ছায় বেশি। তাহলে জামাত-শিবিরের অতর্কিত হামলার বিষয় বস্তু কেন পুলিশ ? রাষ্ট কে দুর্বল করতে ? নাকি জনগণের উপর খোংগর চাপিয়ে দিতে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা?

বলার ইচ্ছা জাগে, গত বিএনপি-জামাত জোট শাসনামলে যখন জামাত শিবিরের ধর্ম গুরু নিজামী-মুজাহিদ মন্ত্রী ছিল এই পুলিশ জনতার পুলিশ, রাষ্টের পুলিশ তাদের প্রোটোকল দিয়েছে। যেখানে যেত এরা সেখানে প্রোটোকল দিয়ে আগে পিছনে ছুটে যেত পুলিশ, কারণ প্রজাতন্তের কর্মকর্তার গায়ে যেন ফুলের কাটা ও না লাগে। আবার দেখা যায় এখনো যখন যুদ্ধাপরাধী গুয়াজম, নিজামী, সাঈদী মানবতাবিরোধী আদালতে যখন নিয়মিত হাজিরা দিতে যায়, তখন কিন্তু এই পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যেতে হয় এইসব বিখ্যাত রাজাকারদের। তাহলে পুলিশ এর উপর কেন অতর্কিত হামলা?

গণতন্ত্র রক্ষায় যদি এইসব হামলার মূল লক্ষ স্থির হয়ে থাকে তাহলে বলতে চাই, হাজিরা গণতন্ত্র চাই না, যেখানে পুলিশ নিরাপদ না। বলছি এই কারণে, পুলিশ এর ক্ষমতা রয়েছে প্রতিহত করার, নিয়মিত একজন নাগরিকের ক্ষমতা রয়েছে শুধু মার খেয়ে যাওয়ার, তাহলে ? ক্ষমতাবান পুলিশ যদি নিরাপদ না থাকে জনগণ থাকবে কী করে ?