অসহায় বিএনপি, খুতবা পড়ল শিবির সভাপতি!

নির্বাসিত পথিক
Published : 28 Nov 2012, 07:24 PM
Updated : 28 Nov 2012, 07:24 PM

বিরোধী দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দুইটি জনসভা হয়ে গেল একজন করলেন ঢাকায়, আরেকজন করলেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে। দুইটি জনসভায় জন সমাবেশ ঘটেছিল প্রচুর। তবে এই জন সমাবেশ দেখে অনেক কিছু অনুবাধন করা যায় না, এই জন্য যে উনারা এই দুই দলের প্রধান বাংলাদেশের যেখানেই সমাবেশ করুক না কেন, জনস্রোত তাতে হবেই। জন সমাবেশে কী হয়েছিল আর না হয়েছিল তা এই ব্লগের সকলেই ইতিমধ্যে জেনে নিয়ে থাকবেন হয়তোবা। তবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার চেয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীর জনসভার বিষয়ে আলোকপাত করা জরুরী হয়ে পড়েছে। ইচ্ছে শক্তির বিপরীতে নয়, বলা যায় বিরোধী দলীয় নেত্রীর সামগ্রিক কথা মালার প্রেক্ষাপটে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।

মাঝ খানে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, সোনার বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ যোগানদাতা পোশাক শিল্পের সাম্প্রতিক কালের বিপর্যয়ের জন্য কিছুটা সময় নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে। আসুন আমরা সেই সব শ্রমিকদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি যারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জিডিপি কে সমৃদ্ধ করার লড়াই করেছে।

ফিরে আসছি মূল পোস্টে কালের আবহে, আবহমান এই বাংলায় পরাজিত অপশক্তির স্পর্ধা দেখে করুণা জাগে মনে, কেন এখনো বেচে রয়েছি ? কী দেখার জন্য বেঁচে থাকতে হবে ? একটি দেশ, একটি কল্পগাথা, একটি ভিশন, এই সব যদি না থাকে তাহলে জাতীয়তাবাদ টিকবে কী করে?

সাম্প্রতিক সময়ে জাতির ঘৃণিত কুলাঙ্গারেরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ছিন্নভিন্ন করে দিতে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জন। আমার এই প্রতিবাদ কোনও প্রতিহিংসা না, এটা বেচে থাকার তাগিত অন্তত ত্রিশ লক্ষ শহীদের, আড়াই লক্ষ মা, বোনের ইজ্জতের সাথে, সম্মান নিয়ে। ভাবতে ঘৃণা লাগে যখন শুনি গলা উচিয়ে, চিত্কার করে বেগম খালেদা জিয়া ও উনার সৈন্য বাহিনী নিজেদের এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধার দল বলে দ্বাবি করে। যখন বলে ফেলে বিএনপি নেত্রী "আরে কী আর বলব আওয়ামীলীগ তো মুক্তিযুদ্ধের সময় এপার-ওপার করেছে দেশে যা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তা শুধু বিএনপি করেছে" তখন লজ্জায় ছক ঢেকে ফেলি, আরে বলে কী ? মুক্তিযুদ্ধের আট বছর পড়ে যে বিএনপির জন্ম হলো, তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধার দল ? কোথায় আছি আমরা ? যখন শুনে ফেলি, ঘাতক চক্রের দালালেরা বর্তমান সক্রিয় জামাত-শিবির এর নেতাকর্মীরা উচ্চসূরে বলে ফেলে "এই দেশ কার বাপ দাদার সম্পত্তি না, এই দেশ সবার আর সেই দিন নেই যে মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে চলা যাবে" তখন কী আর বলব বুঝে উঠতে পারি না।

একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলে বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে কোন মুখে দ্বাবি করে ? বিএনপি একটি মুক্তিযোদ্ধার দল বলে বেগম খালেদা জিয়া কোন মুখে দাবি করতে পারে?

যখন, নিজের শিপন শিফটের শাড়ির আচলের নিচে রাজাকার-আল বদরের ছবি লুকিয়ে হাসে। যখন একটি গণতান্ত্রিক দল বলে নিজেদের অবস্থান রয়েছে বলে কেবল মাত্র ক্ষমতার লোভে রাজাকার-আল বদর দের উত্তরসূরিদের দিয়ে জনসভার খুতবা পাঠ করিয়ে থাকে।

বলা যায়, দেখা যায় নীলজ্জ দালালের অট্টহাসি মার্কা বেলুনের পত পত প্রতিচ্ছবি। যেখানে লেখা রয়েছে মুক্তি চাই, দিতে হবে, নইলে গদি ছাড়তে হবে। কার গদি? কিসের গদি? কার জন্য গদি? সময় এসেছে ভাবতে হবে আবেগ দিয়ে নয় বাস্তবতা দিয়ে। কার হাতে নিরাপদ হবে, এই বাংলা মা, কার হাতে নিরাপদ থাকবে এই সোনার বাংলার সার্বভৌমত্ব। নিশ্চয় কোনও রাজাকারের হাতে না।

বেগম জিয়া ক্ষমতার জন্য মাতাল হয়ে পড়েছে। উনার ক্ষমতা চাইই চাই। ঠিক আছে ক্ষমতা নিন, ক্ষমতা দিব, কিন্তু কুলাঙ্গার জামাত-শিবির ছেড়ে আসুন। কথা দিলাম পাশে থাকবো।