এভাবে চলতে পারে না আমার স্বদেশ

মোঃ তানভীর সাজেদিন নির্ঝর
Published : 29 May 2012, 03:44 PM
Updated : 29 May 2012, 03:44 PM

প্রতিটি মুহূর্ত যেন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। ক্রমশ লাগামহীনভাবে সন্ত্রাসীদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠা এক বৃহৎ অশুভ লক্ষন। হত্যা,জখম,ছিনতাই যেন আজ পান্তাভাত হয়ে গেছে। সংবাদ মাধ্যম গুলোতে চোখ রাখলেই ভেসে ওঠে বীভৎস চিত্র। এ কি হচ্ছে আমাদের দেশে? যে দেশে শক্তিশালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সাথে আছে বিশেষ বাহিনী র‍্যাব সেখানে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন সব অপরাধ যে অপরাধের নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব একমাত্র স্বদিচ্ছার মাধ্যমে। ক্রসফায়ার নামক জিনিসটিও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে শুধু মুখে মানবতাবাদী কিছু সুশীল কর্তা ব্যাক্তিদের বিরোধিতার কারনে। কিন্তু এই সুশীলরা যদি ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে না থাকতো তবে তারা বুঝতে সক্ষম হতো সাধারন মানুষদের অনুভূতিটা। মানবাধিকারের মন্ত্র তূলে তারা মহামান্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করতে পারেন না এই মর্মে "যে দয়া করে ভয়ংকর সব অপরাধীদের বারবার জামিন দিবেন না" কিন্তু ক্যামেরার সামনে চিৎকার চেঁচামেচি করতে পারেন যখন ভয়ংকর এই সব অপরাধীরা ক্রসফায়ার বা বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

আজ দেশে নিরাপত্তা বলতে কিছু আছে বলে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমি মনে করি না। মানবাধিকারের সংজ্ঞা কি এই যে অপরাধীরা বারবার জামিনে বেড়িয়ে এসে অপরাধ করেই যাবে আর তাদের কোন অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার করা যাবে না? তবে আমি সম্পূর্ণ মানবাধিকার বিরোধী। যারা মানবাধিকার নিয়ে এত গবেষণা করে তারা কি একটি ক্রসফায়ারের কথাও বলতে পারবে যেখানে একটি নিরপরাধ ব্যাক্তি বলিদান হয়েছে? বলতে পারবে এক লিমনের কথা কিন্তু লিমন যে এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকা সম্পর্কে অধিকাংশই অন্ধকারে। ভয়ংকর ঐ ঝালকাঠির রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকায় এমন একটি ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে কারন সেখানে অস্ত্রধারীদের স্বর্গরাজ্য।

সন্ত্রাসীরা দিনেদুপুরে যাকে যেখানে পাচ্ছে তাঁর উপরই হামলে পড়ছে। তাদের সীমা এতটাই বাড়তি যে বিডি নিউজের মতো জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে ঢুকেও সংবাদকর্মীদের চাপাতির আঘাত করতে তাদের বেগ পেতে হয় না। সাগর রুনিদের হত্যা করেও তাদের বিচার তো দূরের কথা গ্রেফতার পর্যন্ত হতে হয় না। এগুলো কিসের আলামত? সরকার যদি এখনই ঐ সুশীলদের কথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়মিত অভিযান চালাতে না দেয় তবে সামনে যে কি অপেক্ষা করছে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।

একজন সন্ত্রাসীর মানবাধিকার রক্ষা করতে গিয়ে যদি ১০ জনের নিরাপত্তা প্রাপ্য অধিকার হরণ হয় তবে সেই মানবাধিকারের কোন দরকার আছে বলে মনে করি না। যে যাই বলুক সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু হোক অতি দ্রুত তাতে যদি কারো কোন গাত্রদাহ থাকে তবে তারা যেন এই স্বদেশ ছেড়ে মানবাধিকারের দেশে পাড়ি জমায়। আমার প্রিয় এই বাংলাদেশ কোনমতেই এভাবে চলতে পারে না।