শত কাজের মাঝেও এই বিডিনিউজ ব্লগটাকে মনের মণিকোঠায় আবদ্ধ করে রেখেছি সেই ০৩ই মার্চ ২০১৫ইং সাল থেকে। এই বিডিনিউজ ব্লগে আমার প্রথম লেখাটা ছিল, “আমি ও মানুষ”। লিখেছিলাম ছোট একটা মোবাইল ফোনের কীবোর্ড এর মাধ্যমে। মোবাইলটা ছিল, “NOKIA c3” ছেলের রেখে যাওয়া একটা সেলফোন। সেই মোবাইল ব্যবহার করার সময় আমি ইন্টানেটের অনলাইনের খবর-ই বেশি দেখতাম ও পড়তাম। ভালো লাগতো প্রথম আলোর খবর আর বিডিনিউজের খবরগুলো।
একদিন হঠাৎ করে বিডিনিউজ ব্লগে ক্লিক করলাম, একটা লেখা পড়লাম খুব মনোযোগ সহকারে, কার লেখা আর লেখক কে সেটা এখন আর মনে পড়ছে না। লেখার শেষে দেখি মন্তব্য দিয়েছে অনেকে, এই মন্তব্য দেখে আমারও একটা মন্তব্য দিতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু দেখা গেল, লেখাতে মন্তব্য দিতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, না হয় আর মন্তব্য দেয়া যাবে না। তখন ছিল 2g ইন্টানেটের আমল, আমি বাংলালিঙ্ক আনলিমিটেড ইন্টানেট ব্যবহার করতাম বেশি। ছোটখাট ইন্টানেট পেকেজ আমার ভালো লাগতো না, এখনো না। যাই হোক, একটু চেষ্টার বিনিময়ে রেজিস্টার করে ফেলাম, পরবর্তীতে “লগইন” করে ব্লগে প্রবেশ করার সুযোগ পেলাম।
ব্লগে প্রবেশ করে কী লিখবো ভেবে পাচ্ছিলাম না, আবার অন্য ব্লগারদের লেখাগুলো একটু দেখলাম যে, এখানে কে কী ধরণের লেখা লিখছে। দেখে শুনে আবার আমার প্রোফাইলে বেক করলাম, লিখতে লাগলাম নোকিয়া c3 মোবাইল ফোনের কীবোর্ড এর সাহায্যে। লিখলাম, মনের ভাব প্রকাশ করলাম, এদেশে আমরা হিন্দুরা প্রিয় মুসলমান ভাইদের কাছে যে, এক “অভিশপ্ত” জাতী সেই বিষয়ে। এদেশে আমরা গরিবরা সম্মানিত বড়লোকদের কাছে যে, এক “নিকৃষ্ট” জাতী সেই বিষয়ে। শিক্ষিত সমাজে যে, আমরা “অশিক্ষিত” গরু-ছাগল সেই বিষয়ে। লেখাটা ছিল আমার একপ্রকার মনের ক্ষোভ প্রকাশ করা, আর কেঁদে কেঁদে মানুষের কাছে নালিশ দেয়া। লেখাটা লিখে ব্লগে জমা দিয়ে পুনরায় ব্লগ থেকে প্রস্থান করলাম।
তারপর আর ব্লগে প্রবেশ করি নাই সহশীঘ্রয়, তার মানে, একটি লেখা জমা দিয়েছি তা আর মনেই নেই। এরমধ্যে এনড্রুয়েড মোবাইল শুরু হয়ে গেল সারাদেশে সবার কাছে, আমিও একটা “সিম্পনী”82 মডেল এর মোবাইল কিনে ফেললাম ৯৫০০ টাকায়। তখনো 3g ইন্টানেট আমাদের দেশে চালু হয়নি; 2g ইন্টানেটেই চলে সারাদেশ। আমি রীতিমত বাংলালিঙ্ক আনলিমিটেড 2g ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন অন্যতম প্রতিনিধি ছিলাম। এমনি করে হঠাৎ একদিন বিডিনিউজ ব্লগে ক্লিক করি, ব্লগ চাইছে ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড, হায় কপাল আমার! পাসওয়ার্ড তো মনেই নেই, পাসওয়ার্ড দিবো কীভাবে? ভাগ্যিস নিজের ডায়েরীতে লেখা ছিল বিডিনিউজ ব্লগের ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড, খুঁজে বের করে লগইন করলাম ব্লগে।
দেখলাম আমার লেখাটা প্রকাশ পেয়েছে বহুদিন যাবৎ, মন্তব্যও দেখতে পাচ্ছি ৪ টা। প্রতিটা মন্তব্যেই পেয়েছি দুঃখপ্রকাশ আর সান্ত্বনা, পেয়েছি সাহস, পেয়েছি ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণা। অবাক হয়ে গেলাম! ভাবতে লাগলাম, আমার খামখেয়ালীর লেখায় এত কষ্ট করে ক’জনে মন্তব্য দিয়েছেন, এখন তো সেই মন্তব্যগুলির জবাব দিতে হয়! না হয় তো খুবই অন্যায় হবে। ভেবেচিন্তে মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিলাম, যারা যারা মন্তব্য দিয়েছে, তাদের লেখাও ঘুরে-ফিরে পড়লাম, ভালো লাগছে আমার কাছে, খুব ভালো লাগছে। তারপর থেকেই নিয়মিত লেখা শুরু করে দিলাম এই বিডিনিউজ ব্লগে।
সেই থেকে অদ্যপর্যন্ত আমার মোট লেখার সংখ্যা হয়েছে ১২২ টি, সর্বমোট মন্তব্য করেছি ১১৫০ টি, সর্বমোট মন্তব্য পেয়েছি ৯৭০ টি, ব্লগিং এর বয়স মাত্র ২ বছর, ভালোলাগার সংখ্যাও অজস্র, ভালোবাসাও রাশি রাশি। এই বিডিনিউজ ব্লগে লিখতে গিয়ে বহুকিছু জেনেছি, বুঝেছি, শিখেছি, সহ-ব্লগারদের ভালোবাসাও পেয়েছি, পেয়েছি সহযোগিতা। লেখার বানান সমন্ধে সহ-ব্লগারদের কাছ থেকে বহুকিছু অর্জন করেছি, তা ভুলে যাওয়ার মত নয়। লিখতে আনন্দ লাগতো বেশ, তাই লিখতাম, সহ-ব্লগারদের লেখা পড়তাম, মন্তব্য করতাম। এখন আর আগের মত সেই আনন্দের সাথে লেখা হয় না, দেখা হয় না, লিখতে ভালোও লাগে না।
কারণ: কিছুদিন আগেও এই ব্লগে ছিল লেখার ভুলত্রুটি সম্পাদনার একটা সিস্টেম, যা কারো লেখা ব্লগে প্রকাশ হওয়ার পরও ভুল বানান সম্পাদনা করা যেত। সেই সিস্টেম বা সেই সম্পাদনার অপশনটা এখন আর নেই, কোথায় যেন হারিয়ে গেছে চিরতরে। কিছুদিন আগে হয়ে গেল পঠিত সংখ্যার ওপর এক বিশাল টর্নোডে, তা বোধহয় এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়ে ওঠেনি। আগে নিজের লেখায় কেউ মন্তব্য করলে, তাও সম্পাদনা করা যেত অনাহাসে, মন্তব্য অপছন্দ হলে তা নাকচ করারও একটা সিস্টেম ছিল, কারো মন্তব্য করা লেখায় বানান ভুল থাকলে, তাও সম্পাদনা করা যেত ৷ এখন আর তা নেই, ওইসব করা সম্ভবও না। সম্মানিত প্রিয় ব্লগার/লেখকবৃন্দ, আমি কিছুদিন আগে আমার এলাকার একটা খবরের পোস্ট করেছিলাম এই ব্লগে, শিরোনাম ছিল “সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে গোসল করতে পুকুরে নেমে নিখোঁজ” এই লেখায় আমি ঘন্টায় ঘন্টায় সম্পাদনা করে, প্রতি মুহুর্তের খবর লিখেছিলাম ও সবাইকে জানিয়েছিল পুকুরে নেমে নিখোঁজ হওয়ার খবর।
জানাতে পেরেছিলাম, ব্লগে লেখার সম্পাদনার সিস্টেম ছিলে বলে। যদি নিজের লেখায় সম্পাদনার সিস্টেম বা অপশন না থাকতো, তবে আর ঘন্টায় ঘন্টায় খবরটি জানাতে পারতাম না, যা লেখা হয়েছে তা একবারেই শেষ। প্রিয় সহ-ব্লগারবৃন্দ লক্ষ করুণ: বানানে ভুল কার হয় আর কার হয় না, সে বিষয়ে আমি কারোর সমালোচনা করতে চাই না। কারণ: আমি নিজেই একজন ভুলের রাজা, “ভুল বানানের লেখক আমি”, আমার প্রত্যেকটি লেখায় বানানে ভুল থাকা চাই-চাই। বানানে ভুল না হলে আমার মোটেই ভালো লাগে না, করণ: আমি ঘৃণিত হয়ে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
তাই বলে আমার সম্মানিত সহ-ব্লগারদের বানানে বা লেখার লাইনে ভুল থাকবে, আর তা সংশোধন করতে পারবে না, তা কী করে হয়? এর জন্য আমি মনে করি, একজন স্বনামধন্য লেখকের সম্মানহানির কারকতা ও ব্লগ কর্তৃক লেখকের স্বাধীনতা হরণ করা। যেমন: ক’দিন আগে আমাদের বিডিনিউজ ব্লগের সম্মানিত ব্লগার/লেখক জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেব একটা পোস্ট করেছিলেন, সেই পোস্টের কোন এক জায়গায় হয়তো একটা বানান ভুল ছিল।
সেই ভুল সংশোধনের জন্য জনাব আব্দুর রাজ্জাক সাহেব, বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে সহ-ব্লগার জনাব জাহেদ-উর-রহমান, এর শরণাপন্ন হয়ে একটা মন্তব্যে তিনি লিখেছিলেন, জাহেদ ভাই আমি সম্পাদনা করতে পারছি না, এর পরামর্শ কি? প্রত্যুত্তরে আমি লিখেছিলাম, সম্মানিত আব্দুর রাজ্জাক দাদা, এটা টেকনিক্যাল সমস্যা হতে পারে, আশা করি দুএকদিনে মধ্যে হয়তো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এর একদিন পর আমি এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম যে, লেখা লিখে শেষ করে, ভালো করে চেক করে, লেখা পর্যালোচনার জন্য জমা দিতে হবে। ব্লগপোষক মহোদয় লেখা প্রকাশ করে দেয়ার পর, সেই লেখা আর এডিট বা সম্পাদনা করা যাবে না, যা সবার জন্য এই নিয়ম বলবৎ থাকল।
হায় কপাল আমার! আমার লেখায় তো ভুল বানানের শেষ নেই, লেখা প্রকাশের পরও আমি আস্তে-ধীরে সেই ভুল বানানগুলি সম্পাদনা করে ঠিক করি, এখন উপায়? যদি লিখতে চাই প্রধানমন্ত্রী, হয়ে যায় যদি “প্রধানমন্ত্র” তাহলে কী হবে? যদি লিখতে চাই রাষ্ট্রপতি, হয়ে যায় যদি “রাষ্ট্রপত্র” তাহলে সম্পাদনার সিস্টেম যদি না থাকে তবে কী হতে পারে? মহা মুশকিল ৷ এরকম অবস্থা দেখে, লোকমুখের একটা কথা মনে পড়ে যায় ৷ কথাটা হলো, “বিনা পয়সার খাটুনি, কেন এত হাটুনি?” অর্থ; বিনা মুজরীতে খাটবো, তো এত হাঁটতে হবে কেন? ৷ যাই হোক, ব্লগে আমার মত ভুল বানানের লেখকেরা কি আর লিখতে পারবে? মোটেই না। এমন নিশ্চয়তা নাই যে, লেখা প্রকাশের সময় ব্লগটিম বা সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয় দয়া করে পুরো লেখাটা পড়ে বানানগুলি ঠিক করে দিবে। দিতে পারে হয়তো লেখার শিরোনামের বানানে যদি দু’একটা বর্ণ বা শব্দ ভুল থাকে, এর বেশি তো আশা করা যায় না ব্লগটিম বা ব্লগপোষক মহোদয়ের কাছ থেকে।
তাহলে উপায় কী? নিজের লেখায় যদি সম্পাদনার সিস্টেম বা অপশন না থাকে, সেক্ষেত্রে ব্লগটিম কি ভুল বানানগুলি সংশোধন করে দিবে? যদি ব্লগটিম বা সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয় লেখার বানানগুলি চেক করে, সংশোধন করে দেয়, তাহলে তো আর আনন্দের শেষ নেই আমাদের। আর যদি ব্লগটিম বা ব্লগপোষক মহোদয় সেই গ্যারান্টি না দেয়, তাহলে ব্লগটিম বা সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয়ের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করবো, বিডিনিউজ ব্লগের সম্মানিত সকল ব্লগার/লেখকদের লেখায়, আগের মত সম্পাদনা করার সুযোগ করে দিয়ে, ব্লগার/লেখকদের লেখার উৎসাহ দিন, এরকম একটা সুন্দর সিস্টেম এই বিডিনিউজ ব্লগ থেকে আউট করে দিবেন না ৷ এতে করে ব্লগার/লেখকবৃন্দ ব্লগে লেখার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে নিশ্চিত ৷ সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয়, আগের মত ব্লগের সবরকম সিস্টেম বহাল রাখুন ৷ ছোট-বড় সবাইকে লিখতে দিন, সবাইকে নিজ এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরতে দিন, মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করুন সুন্দর ও সহজ ভাবে ৷ সবাই লেখুক মন ভরে আর প্রাণ খুলে হাসি আনন্দে মেতে থাকুক ব্লগের লেখা নিয়ে।
উৎপল চক্রবর্ত্তী বলেছেনঃ
http://blog.bdnews24.com/nitaibabu/165848
নিতাই’দার প্রথম লেখা !
আর কতো দিন বসে থাকে মন অলস
উগড়ে দিলাম জমানো ক্ষোভের কলস!
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
ধন্যবাদ সম্মানিত উৎপল দাদা ৷ বর্তমানে সাবধানতা অবলম্বন করেই ব্লগিং করতে হবে সবাইকে ৷ লেখা প্রকাশের পর আর কোন সম্পাদনা করা যাবে না দাদা ৷ আর আমার প্রথম লেখাটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ ভালো থাকবেন ৷
ফারদিন ফেরদৌস বলেছেনঃ
অনেক কথা যাও যে বলে…
কোনো কথা না বলি…
রবি ঠাকুর এভাবেই বলতেন। তারমধ্যে নিতাই দা আপনি তো অনেক কথাই বলে দিয়েছেন।
এরমধ্যে এই কথাটা দারুণ:
“বিনা পয়সার খাটুনি, কেন এত হাটুনি?
যাহোক আমিও মনে করি, সম্পাদনার সুযোগটি আগের মতোই থাকা উচিৎ। নইলে নবীন লেখকরা আগ্রহ হারাতে পারেন। টিম ব্লগ ডট বিডিনিউজটোয়েনটিফোর ডট কম এ বিষয়ে নজর দেবেন আশা করছি।
দাদার জন্য শুভ কামনা।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত ফারদিন দাদা, আপনার মত সেই কামনা আমারও দাদা ৷ আশা করি যথা শীঘ্রয় এই সমস্যাটা সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয় দেখবেন ৷ সেই আশায় রইলাম দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকার কামনা রইল ৷
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
দাদা, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ব্লগ কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট মন্তব্য থাকা উচিত – এটা কি কোন কারিগরি সমস্যা, নাকি এটা স্থায়ীভাবেই করা হয়েছে।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত জাহেদ দাদা, আমি যতটুকু জানি এটা কোন টেকনিক্যাল সমস্যা নয় ৷ এটা ব্লগটিমের চিরস্থায়ী সিদ্ধান্ত দাদা ৷ যাই হোক দাদা, তবু সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করবো, ব্লগের নবীন-প্রবীণদের সার্থে, ঠিক আগের মত সম্পাদনার অপশনের সবগুলো অপশন যেন ঠিক করে দেয় ৷ সেই আশায় রইলাম দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকার কামনা করি, আশা করি ভালো থাকবেন ৷
মনোনেশ দাস বলেছেনঃ
দাদা আমি আপনার লেখা পড়তেই মন চায় ।ভালো বলেছেন, ভালো লাগলো ।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত মনোনেশ দাদা, মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ সম্মানিত দাদা, আগের মত ড্যাশবোর্ড থেকে আর মন্তব্যের জবাব বা মন্তব্য করা কোন কুরুচিপূর্ণ বাক্য আর সম্পাদনা করা যাবে না বলেই আমি, আমার এই পোস্টখানা দাদা ৷ যেন এবিষয়ে সবার জানা থাকে, তাই ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
মোনেম অপু বলেছেনঃ
নিতাই ভাই, আগে প্রথমে পাবলিশ করতাম, পরে ভুল-টুল নজরে পড়লে এডিট করতাম। এখন এডিট আগে করবো, পরে পাবলিশ। নো তাড়াহুড়া। এটাই ভাল। এ তো গেল রাজায় মানে না, আপনি প্রজাদের নিজেদের নিজেদের প্যাঁচাল। যাদের কথা শোনার জন্য মন আনচান করে তাঁরা তো কিছু কচ্চেন-টচ্চেন না!
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত মহাগুরু আপনাকে নমস্কার জানাই ৷ মহাগুরু, পোস্টখানা দিয়েছি ব্লগটিম থেকে বিস্তারিত কিছু জানার জন্য, কিন্তু না, আমি অদম্য জানতে চাইলেই কী জানতে পারবো? মোটেই না ৷ মহাগুরু, আগে যেমন সম্পাদনার সেই অপশন থেকে মন্তব্যের উত্তর-প্রত্যুত্তরগুলিও খুব সুন্দর ভাবে দেয়া যেত ৷ এখন কিন্তু আর তা নেই ৷ ডাইরেক্ট অ্যাকশন যাকে বলে, একবারেই সব শেষ ৷ আমরা এখানে লিখি, শিষ্য দিয়ে গুরু আর মহাগুরু, ব্লগার দিয়ে ব্লগ ৷ আর এই ব্লগের কিছু রদবদল করা হলে তো আমারা অবশ্যই কিছু জানতে পারি ৷ কেউ কিছু জানেনা, সবাই হতাশার মধ্যেই ব্লগে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে, মনে করছে এটা ক্ষনস্থায়ী, কিন্তু না, এটা মনে হয় চিরস্থায়ী ৷ যাই হোক মহাগুরু, চোখের সমস্যা থাকা সত্বেও আপনার মন্তব্যখানা আমাকে মুগ্ধ করেছে, তাই মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিতে অস্থির হয়ে উঠি ৷ ধন্যবাদ মহাগুরু, আশীর্বাদ করবেন যেন তাড়াতাড়ি চোখের সমস্যাটা সেরে যায় ৷
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেনঃ
ওস্তাদ, এবিষয়ে আমি মেসেজ পেয়েছিলাম কিছুদিন আগে ব্লগটিম থেকে। আমাকে বলা হয়েছিল, “কাগজের পত্রিকায় খবর/আর্টিকেলগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর কি তা আর পরিবর্তন করা যায়?” আমি না বলার পরে, বলা হয়েছে, “তাহলে ব্লগের পোস্টেগুলো প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার পর কেন তা আবারো কারেকশন করা যাবে?”
— হ্যাঁ, আমি তাদের সাথে একমত। কিন্তু আমরা তো কেউই প্রফেশনাল লেখক বা সাংবাদিক নই, তাই আমাদের লেখায় ভুল ভ্রান্তি থাকবেই। আর যেহেতু পোষ্টগুলো আমরা একাকীভাবে নিজেরাই দিতে পারছি তাই কিছু ভুল থেকেই যাচ্ছে!
নিতাই দা, আপনাকে ধন্যবাদ! একটা মৌলিক বিষয় তুলে ধরার জন্য!
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত সুকান্ত দাদা আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবিষয়ে একটা মন্তব্য দেয়ার জন্য ৷ সুকান্ত দাদা, মহাগুরুও আমাদের পক্ষেই আছেন মনে হয় ৷ আর পক্ষ-বিপক্ষ বুঝিনা দাদা, যা হয়েছে আশা করি ভালো হয়েছে ৷ পোস্ট জমা দেয়ার সময় সবাই সতর্ক থাকুক, নির্ভুল ভাবে লেখুক এটাই আমার প্রত্যাশা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
আবুল কাশেম বলেছেনঃ
অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম দাদা! শুনেছিলাম আপনি অসুস্থ্য। আপনার আগমনে মনে হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার সহায় হউন!
ব্লগের সবার জন্য এই সুচিন্তিত পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ!
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত আবুল কাসেম দাদা, আপনাকে নমস্কার ৷ সম্মানিত দাদা এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারিনি দাদা ৷ তবে আপনাদের সবার আশীর্বাদ থাকলে হয়তো তাড়াতাড়ি সুস্থতা লাভ করবো দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
সাজ্জাদ রাহমান বলেছেনঃ
নিতাই দা মন এবং মননে আদ্যোপান্ত একজন লেখক। তাঁর সাফল্য কামনা করছি।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত সাজ্জাদ রাহমান দাদা, এই সমস্যাটা সবার ৷ এই সম্পাদনার অপশনটা ব্লগে থাকলে সবার জন্যই ভালো আমি মনে করি দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
আতাস্বপন বলেছেনঃ
দাদা সালাম নিবেন, আপনাকে ধন্যবাদ । এই সমস্যা আমারো। আমি আবার ভাবলাম আমার কোন বিষয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ বিলা হইয়া আমারে শাস্তি সরুপ এমন করছে। এখন দেখতাছি সবাই একই মাইকা চিপায়। এটা স্থায় হইলে সমস্যা। অস্থায়ী বা কারিগরি ত্রুটি হইলে চটজলদি ঠিক করা দরকার। এত ভেজর ভেজর করতাছি সবাই-ব্লগপোষক উত্তর দেয় না কেরে?
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত আতাস্বপন দাদা, এটা কোন অস্থায়ী সমস্যা নয়, এটা চিরস্থায়ী সমাধান দাদা ৷ লেখবেন তো বুঝে শুনে, অন্ততঃ বানানের দিকে একটু নজর দিয়ে ৷ বানান ভুল হলে আর সম্পাদনায় ক্লিক করে সম্পাদনা করতে পারবেন না দাদা ৷ যদি আগের মত সম্পাদনার অপশন থাকত, আপনার দেয়া মন্তব্যে ভুল বানানটাও আমি সম্পাদনা করে দিতে পারতাম, কিন্তু এখন আর এটা হয় না দাদা ৷ এখন লক্ষ্য করুণ, আপনার দেয়া মন্তব্যেও একটা বানান ভুল আছে ৷ সেটা হলো, আপনি লিখতে চেয়েছিলেন “স্থায়ী”, অথচ লিখে ফেলেছেন “স্থায়” ৷ এখন এই ব্লগে, ব্লগারদের সম্পাদনার অপশনটি কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা বুঝে দেখুন একটু মনস্থির করে ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন ৷
সুমন দে বলেছেনঃ
দাদা, নমস্কার। আপনি সব সমস্যাই বলেছেন, ধন্যবাদ দাদা। সত্যি, আমরা নিজের খেয়ে বনের বাঘ তাড়াই। আমাদের সবাই ব্লগার হই ব্লগ থেকে। আর সেখানে যদি আমরা আমাদের পছন্দের জায়গাটা বিডিনিউজ ব্লগে আত্মতৃপ্তি না পাই তবে আর কোথায় লিখব মনের এত্ত ভাবনা ও সংবাদের ভুবন? আশা করি ব্লগপোষক মহোদয় আমাদের বিষয় বিবেচনায় নেবেন। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ কৃতজ্ঞচিত্তে জানাই, সবার কথা আপনি বলার জন্য।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত সুমন দাদা, আপনাকে ধন্যবাদ এই লেখায় একটা মন্তব্যের জন্য ৷ সম্মানিত দাদা, আপনি ঠিক-ই বলেছেন, এই লেখাটা সবার জন্য, আর এই সমস্যাটা ব্লগের সকল ব্লগারদের ৷ তবে দাদা, সবার জন্য যদি লিখে থাকি, তো সবার-ই তো একটি করে মন্তব্য দেয়া উচিৎ ছিল, তাতে সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হতো ৷ কিন্তু না দাদা, হয়তো আমি সবার জন্য লিখতে পারিনি, শুধু নিজের জন্যই লিখেছি ৷ সমস্যা শুধু আমার-ই, কারণ: আমি নিজেই একজন ভুল বানানের লেখক তাই ৷ সম্মানিত দাদা, ভুলটাকে আমি বেশি পছন্দ করি, কেন না, ভুল করলেই সংশোধন আসে ৷ ভুলের পরেই পরিশুদ্ধ, ভুল করা ছাড়া কোন কিছুই অর্জন করা যায় না আমি মনে করি ৷ ভুলের মাঝেই সঠিক কিছু খুঁজে পাওয়া যায় ৷ প্রথম প্রথম এই ব্লগেই আমি আমার অনেক লেখায় অজস্র বানান ভুল করতাম ৷ সেই সময় আমার সহ-ব্লগারদের কাছ থেকে সঠিক বানানের জন্য বহু পরামর্শ ও সহযোগিতা পেতাম বা পেয়েছিও ৷ ওইসব সহযোগিতা ও পরামর্শদাতা ছিলেন তিনজন ব্যক্তি, ১.সম্মানিত গুরুমহাশয় জুলফিকার জুবায়ের সাহেব,২. সম্মানিত কাজী শহীদ শওকত, ৩.সম্মানিত ফারদিন ফেরদৌস ৷ লেখা প্রকাশের পর, তারা লেখা পড়ে ভুল বানানগুলো তাদের মন্তব্যে প্রকাশ করতেন, আর আমি সম্পাদনা করে ঠিক করতাম ৷ তাদের সহযোগিতার জন্যই আজ আমি এই ব্লগে নগণ্য পরিচিত একজন ব্লগার বা খুদে লেখক ৷ তাদের সেই অবদানের কথা আর সেই সম্পাদনার কথা আমি ভুলবো না কখনো ৷ নতুন পুরাতনের সমন্বয়ে এই ব্লগ, নতুন একজন ব্লগার/লেখক লেখার সময় একটু-আধটু বানান ভুল করতেই পারে, সেই বানানগুলো সম্পাদনা করে ঠিক করতে পারতো অনাহাসে ৷ কিন্তু এখন! এখন লেখা প্রকাশের পর আরা সম্পাদনা করতে পারবে না দাদা, বানান ভুল হলে সেই ভুল বানান চিরস্থায়ী ভাবেই ভুল রয়ে গেল, তার মানে অশিক্ষিত লেখক, বানান ভুল হয় বা শুদ্ধ বানান-ই জানে না ৷ যাই হোক দাদা, আমি মনে করি, লেখকের লেখা প্রকাশের পর সম্পাদনার অপশনটি সবার জন্য খুবই দরকার ছিল ৷ তবে আশা করছি তা হয়তো সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয় অচিরেই ঠিক করে দিবেন, সেই আশায়-ই রইলাম দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা, ভালো থাকবেন আশা করি ৷
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত সুমন দাদা, দেখুন, আমার নিজের লেখার মন্তব্যের উত্তর-প্রত্যুত্তর দিতে গিয়েও একটা বানান ভুল হয়ে গেল দাদা ৷ যা লিখবো “আর” হয়ে গেল “আরা”৷ মোবাইলে লেখা দাদা, ছোট একটু জায়গায় দুই লাইন লেখলেই আগের লেখা আর দেখা যায় না ৷ অলসতা করে আর চেকও করি না, সেই জন্যই ভুলের পাহাড় ৷ সম্পাদনার সিস্টেম যদি থাকতো তবে আর আরেকটি মন্তব্য না জুরে, সম্পাদনা করে সেই ভুল বানানটা সংশোধন করে ফেলতে পারতাম ৷ কিন্তু এখন আর তা হবে না দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা শোধরে নিবেন ৷ লেখাটা হবে “আর” লেখা হয়েছে “আরা” ৷
মজিবর রহমান বলেছেনঃ
দাদা এই সমস্যার সমাধান ব্লগ টিম দেবে। আমি ছবি পস্ট করতে গেলে ছবি লড হয়ে পিচ্চি হয়ে যায়, কেন জানিনা। আপনাকে সালাম।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত মজিবর রহমান দাদা, আপনাকে নমস্কার ৷ সম্মানিত দাদা, আগে পোস্ট দেয়ার সময় তিনটা অপশন ছিল, যেমন: সাধারণ পোস্ট, ফটো পোস্ট, ভিডিও পোস্ট ৷ এখন কি ওই অপশনগুলি আছে? আমিও দাদা, বর্তমানে ফটো পোস্ট দিতে পারছিন, কেন যে দিতে পারছিনা তা বুঝে ওঠতেও পারছিনা দাদা ৷ ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন, আর বেশি সমস্যা হলেতো সম্মানিত ব্লগপোষক মহোদয় আছেন-ই ৷