পহেলা বৈশাখে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে মিলনমেলা

নিতাই বাবু
Published : 16 April 2017, 12:45 PM
Updated : 16 April 2017, 12:45 PM

তারিখটা ছিল গত ১৪ এপ্রিল, ছিল পহেলা বৈশাখ ১৪২৪ শুভ নববর্ষ। গিয়েছিলাম রোজকার কর্তব্য পালনে চিত্তরঞ্জন গুদারা ঘাটে। সেখানে আমাদের কিছু সমিতির সদস্য আছে। তাদের কাছ থেকে সমতির পাওনা আদায় করতে। নিজের কাজ সেরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বহু লোকের সমাগম দেখে একটু হেঁটে গেলাম নদীর পাড়। গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য। দেখে মনে হচ্ছিল কোনো এক ধর্মীয় তীর্থস্থানে তীর্থলগ্ন। এমনিতেই প্রতি শুক্রবার শীতলক্ষ্যার পাড়ে বিকালবেলা লোকের সমাগম হয়, কিন্তু এত হয়না। আমার একটু বুঝতে দেরি হয়েছে যে, আজতো পহেলা বৈশাখ, "বাংলা শুভ নববর্ষ" লোকের সমাগমতো ঘটবেই। তাই বলে এতো লোক? শুধু লোকেই নয়! আছে চটপটির দোকান, আছে ঝালমুড়িওয়ালা এসেছে স্টুডিও ক্যামেরাম্যানও। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় যত এগুচ্ছে ততই আমাদের বাংলা নববর্ষের আনন্দ বহুমুখী রূপ ধারণ করছে। কিশোর-কিশোরী, ছেলে-বুড়ো সবার কাছে যেন ধর্মীয় ঈদের আনন্দ!

বর্তমানে ভরা বর্ষার মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। শীতলক্ষ্যার পানিতে বয়ে যাচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যালের পঁচা দুর্গন্ধ। নদীর পাড়ে একটু ঘুরলেই নাকে রুমাল দিয়ে ধরতে হয়। না-হয় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার পালা। তবু এই বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়কে সবাই বেছে নিয়েছে সাদরে। ছোট-ছোট শিশুরাও মেতে ওঠেছে দূরন্তপনায়। বুড়োরাও বুড়িমাকে নিয়ে এসেছে শীতলক্ষ্যার পাড়ে একটু আনন্দে মেতে ওঠার জন্য। প্রেমিক-প্রেমিকার যুগলমিলন দেখে মনে হচ্ছিল হানিমুনে এসেছে শীতলক্ষ্যার পাড়ে। শীতলক্ষ্ম্যার এপার থেকে ওপারে তাকালে দেখা যায় ওপারেও একইরকম বৈশাখী আনন্দমেলা। সবমিলিয়ে এবারের বাংলা শুভ নববর্ষকে বরণ করতে এসে শীতলক্ষ্যাকেও বরণ করে নিলো সবাই।

শীতলক্ষ্যা নদীর জল যদি সেই আগের মতো স্বচ্ছ থাকতো, তাহলে আরো কতনা আনন্দ হতো। তবুও কম হয়নি, সামনে হয়তো আরও বেশি উৎসবমুখর হয়ে ওঠবে আমাদের শীতলক্ষ্যার পাড়। ১৪২৪ বাংলা শুভ নববর্ষকে যার বরণ করতে শীতলক্ষ্যার পাড়ে এসেছে, তাদের সবাইকে নববর্ষের শুভেছা। সেইসাথে আমার ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সকল নাগরিক সাংবাদিক ব্লগার/লেখকদের শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।