গরমে যখন অতিষ্ঠ, বৃষ্টিতে স্বস্তি!

নিতাই বাবু
Published : 30 May 2017, 08:13 PM
Updated : 30 May 2017, 08:13 PM

ছবি: বিকালে আমাদের লক্ষ্মীনারায়ণ বাজার থেকে তোলা ।

আজ কয়েকদিন যাবত গরমে অতিষ্ঠ, দিনেরাতে সবসময়ই একরকম গরম, বেশি ছাড়া কম না । দিনেরবেলায় যেমনতেমন, রাতের ঘুম হারাম, আবার থাকেনা বিদ্যুৎ । আমার সংসারে কোনো বাচ্চাকাচ্চা নাই বলেই রক্ষা, ভাড়াটিয়া ভাড়ির আরো লোকজনের সংসারের দিকে তাকালে নিজের বুকফাটা কান্না আসে । রাতেরবেলায় যখন বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন মানুষ পাগলের মতো হয়ে ঘড় থেকে বেরিয়ে আসে রাস্তায় । যখন রাস্তায়ও বাতাস বলতে কিছু থাকেনা তখন চলে যায় নদীর পাড়ে অথবা পুকুর পাড়ে । ছোটছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে যে কত যন্ত্রণা তা নিজ চোখে না দেখলে আর বুঝা যায়না । কেউ কেউ বলে এদেশে মনে হয় আর কখনো বৃষ্টি হবেনা । রোদের তাপে মানুষ দিশেহারা হয়েই এসব বলে, কিন্তু বিজ্ঞান বলে আমাদের বেঁচে থাকার চালিকা শক্তি হলো তাপ, তাপ ছাড়া আমাদের জীবন রক্ষা করা বড়ই কঠিন । তাহলে তাপ নিয়ে আগে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে, তারপর গরম আর বৃষ্টি নিয়ে আমাদের কথায় আসা যাবে ।

তাপ কী?
বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে পাওয়া যায়, তাপ একপ্রকার শক্তি যা আমাদের মস্তিষ্কে ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি তৈরি করে। তাপগতিবিদ্যা অনুসারে, যখন দুটি বস্তুর মধ্যে একটি বস্তু থেকে আরেকটি বস্তুতে শক্তি স্থানান্তরিত হয়, তখন একটি অন্যটি অপেক্ষা গরম হয় (অর্থাৎ, একটি অন্যটির চেয়ে বেশি তাপশক্তি অর্জন করে)। অন্যভাবে বলা যায়, তাপ হলো পদার্থের অণুগুলোর গতির সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন এক প্রকার শক্তি যা কোন বস্তু ঠান্ডা না গরম তার অনুভূতি জন্মায়। তাপ গতিবিদ্যার তিনটি সূত্র রয়েছে, তা নিম্নরূপ ।

ছবি: গুগল থেকে সংগ্রহ।

তাপ ও তাপমাত্রা
একই বিষয় নয়। সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রার বস্তু থেকে নিম্ন তাপমাত্রার বস্তুতে তাপ প্রবাহিত হয়। তাপমাত্রার পার্থক্যজনিত কারণে বিভিন্ন পদ্ধতিতে যেমন- পরিবহন, পরিচলন, বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপশক্তি গমন করে । তাপে আমাদের শরীরের শক্তিও বেড়ে যায়, তা বুঝা যায় রোদে যখন একজন রিকশাচালক রিকশা চালায় । দেখা যায় প্রখর রোদে রিকশাচালকের সমস্ত শরীর ঘামে ভিজে একাকার হয়ে গেলেও রিকশাচালক আরো দ্রুতগতিতে তার বাহনটি চালিয়ে যায় । একটা মানব বেশি গরমে যেই পরিশ্রম করতে সক্ষম হয়, সামান্য শীতে সেই পরিশ্রমের অর্ধেকও করতে পারেনা, ঠাণ্ডায় সে হয়ে পড়ে শক্তিহীন । আমরা দেখি, প্রতিবছর শীতে আমাদের দেশের উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন জেলা শহরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় । দেখিনা শুধু গরমের দিনে কোনো জায়গায় একটা তালপাতার পাখাও বিতরণ করতে । সবাই জানে, গরমে সাময়িক অতিষ্ঠ হয় ঠিক, কিন্তু মৃত্যুর হার খুবই কম । যাক সে কথা, এবার আসি তাপের ইতিহাসের কথায় ।

ইতিহাস
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, তাপ ক্যালরিক নামে এক প্রকার অতি সূক্ষ্ম তরল বা বায়বীয় পদার্থ । গরম বস্তুতে ক্যালরিক বেশি থাকে এবং শীতল বস্তুতে তা কম থাকে। কোন বস্তুতে ক্যালরিক প্রবেশ করলে তা গরম হয় আর চলে গেলে তা শীতল হয়।কিন্তু ১৭৯৮ সালে বেনজামিন থম্পসন (১৭৫৩-১৮১৪) নামে একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী (যিনি পরবর্তীতে কাউন্ট রামফোর্ড নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেন) প্রমাণ করেন ক্যালরিক বলে বাস্তবে কিছু নেই। তাপের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অাছে গতির। তিনি কামানের নল তৈরির সময় ধাতুর টুকরাকে ড্রিলমেশিন দিয়ে ফুটো করার সময় লক্ষ করেন যে, ছোট্ট ধাতুর টুকরো ছিটকে আসছিল সেগুলো অত্যন্ত উত্তপ্ত। তিনি চিন্তা করেন, ড্রিল চালাতে যে যান্ত্রিক শক্তি ব্যয় হয়েছে তার থেকেই তাপ উদ্ভব হয়। এই যান্ত্রিক শক্তিই ধাতব টুকরাগুলোর অণুগুলোতে গতিশক্তির সঞ্চার করে টুকরাগুলোকে উত্তপ্ত করে । এতেই বুঝা যায় যে, তাপ ছাড়া পৃথিবীর কোনোকিছুই টিকে থাকতে পারেনা । তাই সূর্য্য ছাড়া আমাদের সবই মিছে ।


ছবি: গুগল থেকে সংগ্রহ।

তাপমাত্রা বা উষ্ণতা হচ্ছে কোন বস্তু কতটা গরম (উষ্ণ) বা ঠাণ্ডা (শীতল) তার পরিমাপ এবং তাপশক্তি পরিবহণ দ্বারা সবসময় উষ্ণতর বস্তু থেকে শীতলতর বস্তুতে প্রবাহিত হয়। উষ্ণতা কোন বস্তুর মোট তাপের পরিমাপ নয়, তাপের "মাত্রা"র পরিমাপ। এই মাত্রা বস্তুর কোন অংশের স্থানীয় তাপজনিত আণবিক চাঞ্চল্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। জানলাম, বর্তমান যুগের অনলাইনের বিভিন্ন তথ্যভাণ্ডার থেকে । আজকাল যেকোনো বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকলে তা সহজেই জানা যায় গুগল, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া সহ আরো অনেক সাইট থেকে । আবার বলা যেতে পারে বৃষ্টির কথা । কারণ: তাপ থেকে মেঘের উৎপত্তি, মেঘ থেকে বৃষ্টি । ‪


ছবি: গুগল থেকে।

বৃষ্টি
জানা যায়, বৃষ্টি একধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের দিকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এই ফোঁটাগুলি যথেষ্ট পরিমাণে ভারি হলে তা পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে – একেই বলে বৃষ্টি। বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি সুপেয় জলের বড় উৎস। বিচিত্র জৈবব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি সচল রাখতে ও কৃষি সেচব্যবস্থা সচল রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন হয়। যদিও সকল প্রকার বৃষ্টি ভূপৃষ্ঠ অবধি পৌঁছায় না। শুকনো বাতাসের মধ্য দিয়ে পড়ার সময় কিছু বৃষ্টির বিন্দু শুকিয়ে যায়। ভারগা নামে পরিচিত এই বৈশিষ্ট্যটি শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে দেখা যায়। পৃথিবীতে এই বৃষ্টি আবার ভাবনার শেষ নেই, সৃষ্টিকর্তার রহমতের ফোঁটাকে মনুষেরা কৃত্রিমভাবে নামানোর জন্য বহু গবেষণা চালিয়ে সফলও হয়েছে শোনা যায় । সৃষ্টিকর্তার হুকুম ছাড়া কীভাবে ঘটানো হয় এই কৃত্রিম বৃষ্টি, এবং এতে কোন দেশ সফল হয়েছে।

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত
বৃষ্টিপাতের জন্য প্রথমেই দরকার পড়ে জলীয় বাষ্প, সেই জলীয় বাষ্প হালকা হওয়ার কারণে উপরে উঠে গিয়ে বাতাসের ধূলিকণা, বালুর কণা ইত্যাদির সহায়তায় জমাটবদ্ধ হয়ে তৈরি করে মেঘ। এভাবে মেঘের আকৃতি বড় হতে হতে যখন ভারি হয়ে যায়, তখন হয় বৃষ্টি। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটিকে মানবনিয়ন্ত্রীত পন্থায় করাকেই বলা হচ্ছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত।


ছবি: গুগল থেকে

কৃত্রিম বৃষ্টি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশার বাণী নিয়ে এসেছে । সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে চীন । চীনের উত্তর অংশে বৃষ্টিপাত সাধারণ খুব কম হয় । পানির অন্যান্য উৎসগুলোর অবস্থাও ভয়াবহ খারাপ । তাই কৃত্রিম বৃষ্টি কাজে লাগিয়ে তারা ইচ্ছামতো বৃষ্টি ঝরিয়ে নদ-নদীর পানি ১৩% পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে । ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বৃষ্টিমুক্ত রাখতেও কাজে লাগানো হয় এই কৃত্রিম বৃষ্টির পদ্ধতি । কিন্তু কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে কিনা, তা এখনও সন্দেহের অতীত নয় । জানা যায়, বেইজিংয়ের প্রতিবেশী অঞ্চলগুলো অভিযোগ এনেছে যে, এই প্রক্রিয়ায় তাদের বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নেয়া হচ্ছে। যথেচ্চ কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের এই ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও ঘটাতে পারে বলে অনেকে মনে করেন । গণচীনের এই অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তারা দীর্ঘসময় গবেষণা করে এই কৃত্রিম বৃষ্টি আবিষ্কার করেন । হয়তো কোনো একদিন আমাদের দেশের সরকারও ঘোষণা দিয়ে দিবেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমারা কৃত্রিম বৃষ্টি ঝড়ারে সক্ষম হচ্ছি । মনে হয় সেই আশার বানী শোনার অপেক্ষায় আছি আমরা । আবার পৃথিবীতে বৃষ্টির জন্য ইতিহাসের পাতায় নামও লেখা আছে বৃষ্টির দেশ নেদারল্যান্ড ।

বৃষ্টির দেশ নেদারল্যান্ড।

আন্তর্জাতিক মানচিত্রে দেখা যায়, পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট একটা দেশ হচ্ছে নেদারল্যান্ডস । কর্মঠ আর জীবনীশক্তির জোরে ডাচরা এই দেশকে প্রাচুর্যের স্বর্গ বানিয়েছে । দেশটির প্রাকৃতিক শোভা দেখতে প্রতি বছর হাজির হন হাজারো পর্যটক । সমস্যা একটাই, বছরের ১৪৫ দিনের বেশি বৃষ্টি হয় ইউরোপের এই দেশে । তাদের যত জ্বালা এই বৃষ্টি, তারা মনে করে তাদের জীবনের সবকিছুই কেড়ে নিচ্ছে এই বৃষ্টিতে । আর আমরা গরমে যখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ি, তখন বৃষ্টির জন্য করে থাকি কত কান্নাকাটি । বৃষ্টির জন্য বিদাতার কাছে প্রার্থনা করতে গিয়ে অনেক কবি লিখেছেন অনেক কবিতা, গায়করা গেয়েছেন কত গান । এক ব্যাঙের সাথে আরেক ব্যাঙের দিয়েছেন বিয়েও দিয়েছেন কত মানুষ । এই বৃষ্টির নাকি আবার দেবতাও আছে, বৃষ্টির জন্য বৃষ্টির দেবতার পূজাও করে থাকে আমাদের দেশ ছাড়াও অনেক দেশের মানুষেরা । বৃষ্টির দেবতা নিয়ে পরে আসি, এবার কবিগুরু রবিন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটি বৃষ্টির কবিতার দুএক লাইন ।

বৃষ্টির কবিতা
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর

দিনের আলো নিবে এল,
সুয্যি ডোবে-ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে
চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে–
রঙের উপর রঙ,
মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা।
বাজল ঠঙ ঠঙ।
ও পারেতে বিষ্টি এল,
ঝাপসা গাছপালা।
এ পারেতে মেঘের মাথায়
একশো মানিক জ্বালা।
বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে
ছেলেবেলার গান–
"বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান।'

বৃষ্টির দেবতা যিনি বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করেন। হিন্দু ধর্মের মত বহু দেবতাবাদী ধর্মগুলো বৃষ্টির দেবতা বিশ্বাস করে । তাদের ধারনা, বৃষ্টি দেবতা পৃথিবীতে বৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করেন । বৃষ্টির দেবতার হুকুম ছাড়া কোনো অবস্থাতেই বৃষ্টি হতে পারেনা, এই হলো বৃষ্টির দেবতা বিশ্বাসীদের ধারনা । এবার জেনে নেই কোনকোন দেশে বৃষ্টির দেবতাকে কী কী নামে ডেকে থাকে ।

গণচীনের বৃষ্টির দেবতা।

বিভিন্ন ধর্মে বৃষ্টির দেবতা
মেসোআমেরিকার ধর্মেঃ চাক – মায়া ধর্মে । তলালোক – আজটেক এবং নাহুয়া ধর্মে ।
কোসিজো – জাপটেক ধর্মে । ট্রিপেমে কুরিক্যাওরি – পুরহেপেছা ধর্মে । জাহুই – মিক্সটেক ধর্মে । মুয়ে – অটোমি ধর্মে । জাগুয়ার – অলমেক ধর্মে । চীনে-ইউশি প্রাচীন হাওয়াই । লোনো (তিনি উর্বরতারও দেবী ছিলেন) ভারতবর্ষ । ইন্দ্র – হিন্দু ধর্ম । উত্তর আমেরিকা-ইউট্টোইরে – ডে'নে ধর্ম । আশিয়াক – গ্রীনল্যান্ড এবং কানাডার ইনুইট ধর্মে । শোটোকুনুনগাওয়া – হোপি জনগণ
টো নেইনিলিই – নাভাজো জনগণ
দক্ষিণ আমেরিকা এস্কেতেউয়ারহা – চামাকোকো

সবশেষে একটুখানি বৃষ্টিতে স্বস্তি
মাহে রমজানের শুরুতেই ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ আমাদের স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দিয়ে দিয়েছে আজকের বিকালের বৃষ্টিতে । রোববার পবিত্র মাহে রমজানের প্রথমদিন সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে শুরু করে, সেসাথে বেলা বাড়তে থাকার সাথে সাথে প্রচণ্ড আরো বাড়তে থাকে গরমের যন্ত্রণা । এদিকে প্রথম রোজার ইফতারি সময়ও হয়ে যাচ্ছে, সারাদিন রোজা থাকার পর গরমে ইফতারির সময়টাতে মানুষকে বেশি ক্লান্ত দেখাচ্ছিল । এই ছিল প্রথম রোজার দিনের গরমে অতিষ্ঠ হবার কথা । মানুষ বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে করতে অবশেষে বেলা সাড়ে সাড়ে ৩ টার দিকে আকাশজুড়ে দেখা দেয় কালো মেঘ । ৪ টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি । আবহাওয়া অধিদফতর অবশ্য আগেরদিনই রোববার বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল । এর আগে গত প্রায় সপ্তাহকাল দেশব্যাপী তীব্র তাপদহ দেখা দেয় । এতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের ।
এদিকে রমজানের প্রথমদিনেই দুপুরের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তির প্রভাব দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও। বৃষ্টি হওয়ায় অনেককেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে ফেসবুকেও ।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া