চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে স্থায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থার দাবি নারায়ণগঞ্জবাসীর

নিতাই বাবু
Published : 3 May 2018, 01:38 AM
Updated : 3 May 2018, 01:38 AM

মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সন্ধানে দূর-দূরান্ত থেকে প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ শহরেও বেড়েছে আনাগোনা। তাল মিলিয়ে বেড়ে চলছে যানবাহনও। এই বাড়তি চাপের ফল হিসেবে নারায়ণগঞ্জবাসী পেয়েছে নৈমিত্তিক যানজট সমস্যা।

ভোরবেলা থেকে শুরু হওয়া যানজট রাত-দুপুরেও শেষ হতে চায় না। মূল সড়কগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় যানজটের কবল থেকে নগরবাসী কিছুটা রক্ষা পেলেও শহরের লিংক রোডগুলোতে সবসময়ই যানজট লেগে থাকে।

নিউ মেট্রো সিনেমাহল টু ডেমরা ভায়া চিটাগাং রোড দিয়ে শুধু নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা-চিটাগাং রুটেই নয়, যাতায়াত হয় বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলোতেও। এই সড়কের মধ্যে প্রায় ২২টি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। এর মধ্যে কেবল একটি মাত্র বাসস্ট্যান্ডে ট্রাফিক ব্যবস্থা আছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ পুল বাসস্ট্যান্ডের এই ট্রাফিক ব্যবস্থা শুধু সামনে থাকা আদমজী ইপিজেডের কারণেই হয়েছে। তা না হলে হয়তো সিদ্ধিরগঞ্জ পুলেও ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকতো না। অন্যান্য বাসস্ট্যান্ড মোড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশের একজন-দুইজন করে সদস্য থাকে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ,  বড় বড় গাড়িগুলোকে একটু সাইড করে দিতে পারলেই ১০ টাকা আদায় করে নেয় তারা। আর থামানো ইজি বাইক ধরে ধরে পাঁচ-দশ টাকা আদায় নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কমিউনিটি পুলিশের কোনো পোশাকহীন কমিউনিটি পুলিশও রয়েছে গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে। যদিও ওদের তাদের পরণে নেই । এলাকার স্থানীয় বলেই সবাই তাদের চেনে-জানে। মোটা লাঠি নিয়ে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে   'পাওনা' আদায়েই এদের দেখা যায়। দুয়েক ঘণ্টা এভাবে হৈ-চৈ করে কিছু 'কামাই' করে উধাও হয়ে যায় এরা।

এভাবেই চলে নারায়ণগঞ্জ টু চিটাগাং রোডের বাসস্ট্যান্ডগুলোর 'ট্রাফিক পুলিশের' কাজ। ফলে নারায়ণগঞ্জ টু চিটাগাং রোডে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টার যানজটের দুর্ভোগ আর কমছে না ।

নারায়ণগঞ্জ টু চিটাগাং রোডের বাসস্ট্যান্ডগুলোর মধ্যে চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ড হলো সবচেয়ে ব্যস্ততম। এই স্ট্যান্ডটি একটি জনবহুল চৌরাস্তার মোড়। এর চারদিক শতাধিক নীট গার্মেন্টসসহ রয়েছে নানা ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান।

চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের উভয় পাশে  রয়েছে শ'খানেক স্কুল। এসব স্কুল শিক্ষার্থীরা সাধারণ পথচারীদের বাসস্ট্যান্ড মোড় পার হতে হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই বলে চালকেরা অসচেতনভাবে গাড়ি চালায়। এভাবে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।

চিত্তরঞ্জন গুদারা ঘাট থেকে রিকশায় তাঁতখানা যেতে চাইলে যানজটের কারণে রিকশাওয়ালা অনীহা  প্রকাশ করে।  এভাবে দীর্ঘদিনের বেহাল দশায় নাকাল হয়ে  ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। চৌধুরীবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে স্থায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই এখন  তাদের অন্যতম দাবি।