নলখালি খালের উপর ব্রিজটির নির্মাণ শেষ হয়নি এক বছরেও

নিতাই বাবু
Published : 10 August 2018, 11:59 AM
Updated : 10 August 2018, 11:59 AM

গোদনাইল আজিম মার্কেট সংলগ্ন নলখালি খালের উপর থাকা পুরাতন ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে

নারায়ণগঞ্জ সিটির ১০ নং ওয়ার্ডে গড়ে উঠেছে অনেক গার্মেন্টসসহ অনেক রকমের শিল্প প্রতিষ্ঠান; রয়েছে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানকার নলখালি খালের উত্তর পাড়ে রয়েছে পাটের গোডাউন আজিমউদ্দিন ভূঁইয়া ট্রাষ্ট। যেখানে হাজার খানেক পাট শ্রমিকরা কাজ করে থাকে। আরও আছে বর্ণালি গার্মেন্টসসহ লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস এবং চিত্তরঞ্জন কটন মিলস। খালের দক্ষিণ পাড়েও রয়েছে নীট কনসার্ন গার্মেন্টস, বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থাসহ আরও শখানের শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

এই ওয়ার্ডের মাঝামাঝি রয়েছে দুটি ব্রিজ। একটি আজিম মার্কেট নলখালি ব্রিজ, অপরটি পাঠানটুলি, রসূলবাগ রেললাইন সংযোগ ব্রিজ। এই দুটো ব্রিজ দিয়েই প্রতিদিন লাখো মানুষের আসা-যাওয়া। কিন্তু ব্রিজের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় খালের দুই পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছেই। আগের তুলনায় যাতায়াতের জন্য বাড়তি টাকাও গুনতে হচ্ছে তাদের।

নলখালি ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য গত বছর জুলাই মাসে পুরাতন ব্রিজটি ভাঙা শুরু হয়। পুরাতন ব্রিজটি ভাঙতে সময় লেগেছিল প্রায় ছয় মাস। এরপর ব্রিজটির পাইলিং শুরু হয়। পাইলিং শেষ করতে সময় লেগেছিল প্রায় তিন মাস। এরপর শুরু হয় ব্রিজের মূল নির্মাণ কাজ, যা এখনও চলছেই।

ব্রিজ নির্মাণ কাজ আরম্ভ হবার আগেই এপারওপারের মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য মূলী বাঁশের সরু চিকন একটা সাঁকো নির্মাণ করে হয়েছিল, তবে এখন এই মূলী বাঁশের সাঁকোটির ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাঁশের এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা খালে পড়ে যায়। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্কুলে যাওয়ার অনীহাও।

খালের দক্ষিণ পাড়ের অনেক মানুষকে এখন রিকশায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে খালের উত্তর পাড়ে আসতে হয়। ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ে চলাচলের জায়গা কম থাকার কারণে বৃষ্টির দিনে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নারায়ণগঞ্জের নীট কনসার্ন গার্মেন্টস ছুটি হলে খালের এপারওপার হতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায় তখন।

এদিকে নির্মাণ কাজ শেষ হতে দেরি হওয়ার কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ব্রিজটির কাজ এতই ধীরগতিতে চলছে যে এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লেগে যাবে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।