তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
একসময় শীতলক্ষ্যায় এসে বাড়ির নারীরা কলস ভরে জল নিয়ে যেত। এখন এই নদীর পানিতে হাত-পা ধোয়াও যায় না।
অনেকেই বলেন, এই নদীর পানি দিয়ে রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হতো। এখন আধুনিক শোধনাগারে শোধন করেও দুর্গন্ধের কারণে এই পানি পানের যোগ্য হয় না। ফলে এলাকাবাসী আক্রান্ত হচ্ছে রোগে।
আগে নদীর পাড়ে দেখা যেত ফসলের ছোট ছোট ক্ষেত। নদীর পানি বিষাক্ত হওয়ায় এই পানি দিলে ফসল মরে যায়। তাই এখন নদীর পাড়ে ফসল চাষ কমে গেছে।
প্রশস্ততা কমে শীতলক্ষ্যা নদী এখন খালের আকার নিয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুমেও নদীতে জেলেদের জাল ফেলার দৃশ্য দেখা যায় না। মাছ ধরার নৌকাও বেশি দেখা যায় না। নদী আশেপাশে দেখা যায় ময়লার স্তুপ।
আদালত দেশের প্রতিটি নদীর অভিভাবক ঘোষণা করেছেন নদী রক্ষা কমিশনকে। শীতলক্ষ্যা বাঁচাতে নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগ এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।