রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা প্রকাশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আচরণ!

সুলতান মির্জা
Published : 15 June 2012, 03:38 PM
Updated : 15 June 2012, 03:38 PM

রোহিঙ্গাদের মানবেতর কষ্টে আমি ব্যথিত কিন্তু বাংলাদেশে তথাকথিত আন্দোলনকারীদের দাবি দেখে আমি স্তম্বিত। আমি জানি রোহিঙ্গারা মুসলিম জাতি। তাদের ধর্ম ইসলাম কিন্তু তাদের নিয়ে টানা হেচড়া করে আমাদের তথাকথিত মানবতাধারী মানুষ গুলো তাদের কে শুধু কলঙ্কিতই করেনি ভবিষ্যতে তারা যেন কোনও বিপদে আপদে আর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে না পারে তার সকল ব্যবস্থা সম্পাদন করে ফেলেছে। ধন্যবাদ মানবতা সমর্থিত তথাকথিত গোষ্ঠিদের। প্রিয় মানবতাগোষ্ঠি ভাইয়েরা আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবেন?

প্রশ্ন: রোহিঙ্গাদের কে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন কেন, সেটা কী শুধুই মানবতা নাকি অন্য কিছু ?
প্রশ্ন: মনে করুন এই সব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো, তখন এদের ভরণ পোষণ, থাকার জন্য আবাসন ব্যবস্থার দায়দায়িত্ব নিবে কে?

উল্লেখ করতে চাই, ব্লগে কিছু মানবতা পন্থী রয়েছেন যারা আমাকে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের চাঁদাবাজ বলে আখ্যা দিয়েছেন, ঠিক আছে আমি চাঁদাবাজ, কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, যারা মানবতার কথা বলে যাচ্ছেন, দীপু মনির সমালোচনা করে বলছেন উনি এমন কথা গুলো বললেন কী করে? আমি তাদের কাছে জানতে চাই, ওই সপ্ব রোহিঙ্গাদের যদি দুই একজনের ভরণ পোষনের দায়দায়িত্ব আপনাদের কারো মাথা উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তখন আপনি কী সামলে নিতে পারবেন?

প্রশ্ন: এরা স্থানীয় বাঙ্গালীদের বিভিন্ন ভাবে সমস্যহার সৃষ্টি করবে তখন এদের রুখবে কে ?

প্রশ্ন: এদের পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সরকারের লাভ কী হবে ?

প্রশ্ন: জাতিসংঘ ও আই সি নামের যে সংগঠন গুলো রয়েছে তারা মিয়ানমার এর সরকার কে দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য কোনও প্রকার চাপ না দিয়ে কেন বাংলাদেশ এর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের ?

প্রশ্ন: রোহিঙ্গারা এই দেশে এসে কতদিন থাকবে ? দেখা গেল দাঙ্গা শেষ হলো তখন আর মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিল না তখন আপনারা কী বলবেন ?

জানি এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা না দিয়ে কেউ কেউ আমাকে ইসলামের শত্রু বলে ঘোষণা দিবেন। আবার কেউ কেউ বলবেন আমার জন্ডিস হয়েছে তাই সবকিছু হলুদ হলুদ দেখছি। শুধু তাই নয় উদাহরণ হিসেবে বলবেন, ১৯৭১ সালে যদি ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের জায়গা না দিত তখন কী যে হতো। আবার লম্বা একটা উদাহরণ দিয়ে বলে ফেলতেন আজ যদি আপনি এমন বিপদে থাকতেন তাহলে কী করতেন একবার কল্পনা করুন। আবার কেউ শরিয়া মোতাবেক বলে ফেলতেন এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই হয়ে তাদের বিপদের দিনে যদি আমরা তাদের পাশে না দাড়াই তাহলে কাল কেয়ামতের দিনে আমাদের কে এর সহি জওয়াব দিতে হবে। আবার অতি উত্সাহি কোনও ধর্মীয় মানবতাবাদি আমাকে ছবি গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন আজ যদি এরা আপনার মা বা বোন হতো ? তখন আপনি কী করতেন ?

আমি সেইসব মানবতা পন্থীদের বলব, মায়ানমার কোন পরাশক্তি দ্বারা আক্রান্ত নয় বা রোহিঙ্গারা ও কোনও যুদ্ধক্রান্ত নয়, এটি তাদের জাতিগত দাঙ্গা যা মায়ানমার সরকারের কঠোর পদক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু অবাক লাগে আমরা মিয়ানমার কে কঠোরভাবে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রনের কথা না বলে তাদের সমস্যা আমাদের ঘাড়ে নিতে চাচ্ছি কেন? আমাদের এত মানবতা ব্লগে ফেসবুক এ লিখতে লিখতে কী বোর্ডের কালী শেষ করেছি, যুক্তি তুলে ধরতে ধরতে মুখ দিয়ে ফেনা বের করে ফেলেছি। প্রশ্ন করতে চাই, আমাদের এত দরদ রোহিঙ্গাদের জন্য তাহলে আমরা কেন, বাংলাদেশে অবস্থিত মিয়ানমারের রাষ্টদূতের কার্যালয়, জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়, মার্কিন রাষ্টদূত এর কার্যালয় ঘেরাও করে বলছি না রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ? মিয়ানমার কে চাপ সৃষ্টি করতে, যেন তাদের দেশের জাতিগত সহিংসতা শেষ করতে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ধরনের মানবতার পাশাপাশি সম্ভব হলে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

খেয়াল করেছি অনেক মানবতাপন্থী মুক্তিযোদ্ধের সময়কার উদাহরণ প্রকাশ করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন রোহিঙ্গাদের জন্য। আমি তাদের কে স্বগরবে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে আমরাও ৩০ লক্ষ্য শহীদের বিনিময়ে দেশ পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি কার কাছ হতে জানেনতো ? কিভাবে জানেনতো? একাত্তরে যখন রক্তনদী বইছিল তখন তথাকথিত মুসলিম বিশ্ব পাকিস্তানের পক্ষেই ছিল। বেলুচিস্তানে বছরের পর বছর হত্যা,লুণ্ঠন এসব করেছিল এবং এখনো করছে ইসলামের তকমাধারী রাষ্ট্র পাকিস্তান। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানরাই মুসলমানদের মারছে। আরও বহু উদাহরণ আছে যা শুধু মুসলিমদের লজ্জায় ফেলবে। যুদ্ধ দেখিনি কিন্তু এখন উপলব্দি করতে পারি কেমন অসহায় ছিল তখনকার মানুষ । বহু কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশ, বহু উথান পতনের পর আজ আমরা আমাদের দেশকে একটি স্থানে আনতে পেরেছি। সব দেশ তার স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। এখন যদি আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটু স্বার্থপরতা দেখাই তাহলে দোষটা কোথায় ? ধর্ম এবং মানবিকতা এক পাল্লায় মাপা উচিত কী ? যদি ধর্ম কে মানবতার ঢাল হিসেবে ধরা হয় তাহলে জানতে চাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় পাকিস্তানের ধর্ম কি ছিল? ৩০ লক্ষ্য মানুষ হত্যার সময় "মানবিকতা" কোথায় ছিল? তখন কি পাকিস্তান স্বার্থের জন্য তার মুসলিম ভাইদের হত্যা করেনি ? জবাব দিন মানবতাপন্থীরা ?

মানবতাপন্থীরা একটু খেয়াল করে ভাবুন তো
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে তেমন কিছুই বলছে না জাতিসংঘ, মিয়ানমারকে উদ্ভুত পরিস্থিতির ব্যাপারে তেমন উদ্বেগও প্রকাশ করেনি বিভিন্ন দাতা সংস্থা বা আন্তর্জাতিক মহল। সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ব্যর্থ হলে প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারকে চাপ দেয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এসবের কিছুই হয়নি। দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী তারপরও শান্তিতে অং সান সুচি উনি নিরব কেন ? এখন যদি আমরা আমাদের দেশের সরকার এর প্রয়োগ করি এটা কী ঠিক হবে ? আর আমাদের সরকারের উপর আমরা চাপ প্রয়োগ করছি কেন ? কী এমন রহস্য রয়েছে ?

ভাবতে অবাক লাগে আমরা যখন আজকে নিত্য নতুন সমস্যায় জর্জরিত। আজ সামান্য আশুলিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা কারন বেতন কম যা পায় তা দিয়ে নাকি শ্রমিক দের কারও সংসার চলেনা। অস্বিকার করার উপায় নাই আজ অর্থনীতি বিপর্যস্ত। দাতাদের ধার দেনায় দেশ চলতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। শ্রম বাজার শুন্যের কোঠায়। আর অভ্ভন্তরীণ সমস্যা তো আছেই। এত কিছুর পর এই রোহিঙ্গা, এদের নিজের দেশ থাকতে আমরা কেন তাদের দায়ীত্ব নিব ? সমস্যা তো আর আমাদের না, আমরা কেন মাগনা এদের পেছনে জাতীয় সম্পদের অপচয় করব। এর আগে যারা এখানে এসছে তারা কেউ ফিরে যেতে রাজী না। কারণ মাগনা খাবে আবার কাজও করবেনা কাজ করতে বললে মানবাধিকারের কর্মীরা এসে হাজির রোহিঙ্গাদের উপর সরকার নির্যাতন করছে এবং মানবধিকার লঙ্ঘন করছে। এরাই আমাদের ভুয়া ভোটার লিস্ট এ ঢুকে পাসপোর্ট বানায় বিদেশ গিয়া কুকাম করে শ্রমবাজার ধংশ করেছে।

মানবতাপন্থীদের বলতে চাই, আপনারা কী জানেন এই মুহূর্তে টেকনাফের কী অবস্থা ? স্থানীয় জনগণের মুখের ভাষ্য কী ?

একটা রিপোর্ট দেখুন সরাসরি টেকনাফের,
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন টেকনাফের স্থানীয় জনগণ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে উখিয়া নিউজ ডট কম কক্সবাজার ভিত্তিক একটি অনলাইন পত্রিকায়। রিপোর্টটিতে ছিল

মিয়ানমারে মুসলিম রাখাইনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে পূঁিজ করে জাতি সংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইসসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়ার অনুরোধকে প্রত্যাখান করে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দিপুমনি কোন অবস্থাতেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বাসষ্টেশন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম সওদাগর, মোঃ জাবেদ হোছন সওদাগর, মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, ছৈয়দ আকবর নাগু,সোনা আলী,হকার মোহাম্মদ ইউছুপ,শ্রমিক মোঃ দেলোয়ার মোঃ আব্দুল আজিজ রানা,মৌলানা নুরুল হুদা,সাইফুল ইসলাম ,শেখ জামাল উদ্দিন,জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। সুধীমহল জানান-এখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শ্রমবাজার দখল থেকে শুরু করে আইন-শৃংখলার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে। মাননীয় মন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের ফলে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা স্বদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তাদের হারানো গৌরব ফিরে আনতে সক্ষম হবে।

আজকের পত্রিকাটি আরেক টি রিপোর্ট তাদের হেড লাইন করেছে সরাসরি টেকনাফের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে
উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের আনা গোনা বেড়েছে : হুমকির মুখে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা শিরোনামে
প্রকাশিত রিপোর্ট টি ছিল

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্রাইমজোন খ্যাত কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী ক্যাড়ারদের আনা গোনা বেড়েছে। ক্যাম্পের চার পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ সংঘঠিত করে সন্ত্রাসীরা নির্ভিগ্নে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ক্যাম্পে অবস্থানরত ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বিনা বাধায় ক্যাম্প থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করছে। তারা সুযোগ বুঝে দেশের গোপন তথ্য মিয়ানমারের নাসাকা সহ বহিঃ বিশ্বে পাচার করছে। অনেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার নাম ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব, দুবাই, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, লন্ডন সহ ইউরোপ আমেরিকায় চলে গিয়ে অপরাধ সংঘঠিত করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। যার কারণে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ৬ বর্গ কিলোমিটার পাহাড় বেষ্টিত এলাকা নিয়ে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের অবস্থান। উক্ত ক্যাম্পের উত্তর পাশে জনবসতী, দক্ষিণে উখিয়া টিভি রিলে- উপকেন্দ্র, পূর্ব পার্শ্বে আরাকান সড়ক এবং কিছু দূরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং পশ্চিম পাশে সরকারী বন ভুমি। অত্যন্ত স্পর্ষ কাতর এবং পাহাড়ী এলাকায় এ ক্যাম্পের অবস্থান হওয়ায় এখানে নির্ভিগ্নে চলে মাদক ব্যবসা, নারী ব্যবসা, চোরাচালান, অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, দেশের গোপন তথ্য আদান প্রদান, নারী শিশু পাচার, হত্যা ও ডাকাতির পরিকল্পনা সহ নানা নাশকতা মূলক কর্মকান্ডের মিশন ও নীল নকশা প্রনয়ন ক্যাম্পের অভ্যন্তর থেকে হয়ে থাকে। কতিপয় শেড মাঝি নামক রোহিঙ্গা র্দুবৃত্ত এসব অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করে থাকে। তাদের সাথে যুক্ত আছে এ দেশীয় একটি সন্ত্রাসী ও অপরাধী গ্র"প। তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র। খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, এসব সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করার জন্য ব্যবহার করে থাকে দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল, ইন্টারনেট সংযুগ সহ ল্যাপটপ কম্পিউটার, শক্তিশালী ওয়াকিটকি। গত কয়েক মাস পূর্বে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যম্পে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করে অভিযান পরিচালনা করেছিল।

কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১০,২৩০ জন রেজিষ্টার্ড ও প্রায় ৩৮হাজার আন-রেজিষ্টার্ড শরণার্থী বসবাস করে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে। ক্যাম্পের চার পার্শ্বে সীমানা প্রচীর না থাকায় এসব রোহিঙ্গারা বিনা বাধায় তাদের ইচ্ছামত ক্যাম্প থেকে বের হয়ে মাত্র ২০ গজ দূরে আরাকান সড়কে চলাচলকৃত বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিঘেœ চলাচল করছে। নিয়ম রয়েছে, কোন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হলে ক্যাম্প ইনচার্জের লিখিত অনুমতি নিয়ে বের হতে হয়। কিন্তু এ ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা কেউ এ নিয়ম মানছে না। অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্পের পাশে ১০০/১৫০ দোকান ও ৫/৬ টি ভিসিআর হল নিয়ে একটি বাজার থাকায় রোহিঙ্গারা বাজার করার নাম দিয়ে ক্যাম্পে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনকে ম্যানেজ করে এবং কৌশলে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়। এছাড়াও রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সরকারি বনায়ন ও সামাজিক বনায়নের শত শত একর বনভূমি উজাড় করে লাকড়ি সংগ্রহ করে থাকে। এসব লাকড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে দিয়ে প্রবেশ করালেও তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। যার কারণে কোটি কোটি টাকার বনজ সম্পদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। সচেতন মহলের মতে, ক্যাম্পের চারিপার্শ্বে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলেও রোহিঙ্গারা বিনা বাঁধায় যত্রতত্র যাতায়াত করতে পারবে না।

আমিও একমত প্রকাশ করছি। রোহিঙ্গারা নিহত হচ্ছে সেই জন্য একজন মানুষ হিসেবে সমবেধনা জ্ঞাপন করছি তাই বলে সীমান্ত খুলে দিতে হবে এমন কোনও কথা নেই।

সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই,
কিছু ধর্মান্ধ মানবতা বাদী ও কথিত প্রগতিশীল দের কথার প্রতি মায়া মমতা প্রদর্শন ও নীলজ্জ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আমরা এক মানবিকতার উদহারন টানতে গিয়া দেশের সার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে যেন আমাদের ১৬ কোটি মানুষের মানবিকতা বিপন্ন না করি। মানবতা যদি দেখাতেই হয় তাহলে মিয়ানমার সরকারের রাষ্টদূত কে তলব করুন রোহিঙ্গাদের উপর এই জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, ধিক্কার জানান। জাতিসংঘ কে জানিয়ে দিন সমস্যহার সমাধান করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগ করতে। হিলারি কে বলুন মিয়ানমার কে চাপ দিতে। বাংলাদেশের পক্ষে এই দ্বাবি রক্ষা করা সম্ভব নয়। এমন পদক্ষেপ নিন যাতে কোন রোহিঙ্গা এদেশে না আসে। আন্তর্জাতিক মহল কে জানিয়ে দিন এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা, এবং সমাধানও মিয়ানমারকে করতে হবে। শুধু তাই নয় ইতিপূর্বে যেসব রোহিঙ্গা অতীতে এদেশে এসে পড়েছে তাদের আবার পুশব্যাক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আন্তর্জাতিক মহল কে চাপ দিন। এটা বাংলাদেশীদের দাবী এই সরকারের প্রতি।

@সুলতান মির্জা
১৫/০৬/২০১২ ইং