আসুন দেখে নেই- জামাতিরা ইচ্ছা করলে কী কী পারে!!!

সুলতান মির্জা
Published : 19 June 2012, 05:42 PM
Updated : 19 June 2012, 05:42 PM

ইতিপূর্বে রাজাকার নিজামী, মুজাহিদ,গুয়াজম, কামরূজ্যাম,সাঈদী সহ অন্যান্য জামাতীদের পর সাম্প্রতিক সময়ে জামাত নেতা বিখ্যাত রাজাকার জনাব কাসেম আলী (কাইসয়া রাজাকার) এরেস্ট হয়েছে যুদ্ধাপরাধের দ্বায়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষ নিয়ে এই দেশে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাই দের উপর চালিয়েছে অমানুষিক নির্যাতন পরিশেষে হত্যা করে নিজেদের রক্ত পিপাসা মিটিয়েচে। আমাদের মা-বোন দের কে ধরে নিয়ে পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। পরিশেষে হত্যা করে নিস্তার লাভ করেছে। সেই সব রাজাকার, আল বদর, আল সামস দের বিচার হচ্ছে আজ। এতে করে যারা এই দেশ কে ভালোবাসে ও যাদের মধ্যে প্রকৃত দেশ প্রেম বিদ্যমান রয়েছে তারা স্বাগতম জানিয়েছে। তারা যোদ্ধাপরাধের বিচার এর পক্ষে প্রতিনিয়ত কথা বলে যাচ্ছে। তাদের কে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।

কিন্তু এই বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে গু আজম, নিজামী, মুজাহিদ দের প্রেতত্বা শিবির নামের একটি উগ্রপন্থী সংগঠন। বিভিন্ন ভাবে এই বিচারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে এই সব জামাতীদের নব্য সংস্করণ ছাগু নাম ধারী বালকেরা প্রচার প্রচারণায় ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। তারা হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। এখন আমার কথা হলো তারা কী কী করতে পারে সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাচ্ছিলাম,

১, ব্লগ ফেসবুক গুলোতে গালি গালাজ করে পোস্ট দিতে পারে।
২, যুদ্ধাপরাধের বিচার এর নামে সরকার প্রহসন করছে এই মর্মে ব্লগে ও ফেসবুক গুলো তে প্রচার প্রচারণা চাকিয়ে যেতে পারে।
৩, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগার কে বাকশালী চামচা বলে গালি দিতে পারে।
৪, জামাতিরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় তবে তা হতে হবে জাতিসংঘের অধীনে এই শিরোনামে ব্লগে ফেসবুক এ পোস্ট দিতে পারে।
৫, ব্লগ, ফেসবুক এ গিয়ে ভারতের দালাল বলে নিজেদের বিপক্ষের লোকজন কে গালি দিতে পারে।
৬, দেশের জন্য নিজের জীবন দিতে পারে এই মর্মে কথা বলতে বলতে মুখের অভ্যন্তরে ফেনা তুলে ফেলতে পারে।
৭, যৌক্তিক ভাবে সরকারের গঠন মুলুক কোনও সমালোচনা ব্যতিরেক ব্লগ ও ফেসবুক এ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে কী বোর্ডের কালী শেষ করে ফেলতে পারে।
৮, নিজে দের সব চেয়ে বড় ধর্ম ব্যপারি বলে প্রচার দিতে পারে।
৯, আগামী নির্বাচনে জামাতিরা আবার ক্ষমতায় আসবে বলে বিপক্ষের মতাদর্শীদের হুমকি ধামকি দিয়ে গালি গালাজ করতে পারে।
১০, কথায় কথায় বাংলাদেশ কে আই লাভ ইউ বলতে পারে।

অতএব এইসব ধর্ম ব্যাপারিদের চিহ্নিত করে এদের পোস্ট ও করা মন্তব্যের বিষয়ে সকল দেশ প্রেমিকদের সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে এরা কখনো দেশ এর মঙ্গল কামনা করেনি আর বাকি জীবনে দেশ এর মঙ্গল কামনা করবে না।

ধন্যবাদ সবাইকে।