প্রিয় পাঠক-পাঠিকা এইটা একটা ছবি পোস্ট যা আমি কিছু দিন আগে দিয়েছিলাম পর্ব আকারে। আসলে সময় স্বল্পতার কারণে পরের ছবি গুলো আর দিতে পারিনি। ছবি গুলো আপলোড করে পোস্ট ড্রাফট করে রেখেছিলাম কিন্তু দেইনি। আজকে দিয়ে দিলাম। পূর্ববর্তী পোস্টে আমি খেয়াল করেছিলাম এই ছবি গুলো প্রতি অনেকেরই আগ্রহ ছিল। তো যাই হোক আশা করি ছবি গুলো দেখে মজা পাবেন ও উপলব্ধি করতে পারবেন শত বত্সর আগে এই বাংলার রূপ কেমন ছিল।
পাঠক এই ছবি গুলো ব্রিটিশ লাইব্রেরির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত। ১৮০০ শতকের শুরু থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দেশ ভাগের পূর্ব পর্যন্ত ভিবিন্ন সময়ে ভিবিন্ন উপনৈবেশিক শক্তি এই উপমহাদেশ কে শাসন করেছে। ঠিক ওই সময়কার অনেক গুরত্ত্বপূর্ণ দলিল এখনো ব্রিটিশরা খুব সযতনে রেখে দিয়েছে তাদের সংরক্ষনাগারে এই ছবি গুলো সেইখান থেকে সংগৃহীত। তাহলে পাঠক দেখতে থাকুন। বর্ণনা সহকারে।
বাংলাদেশী গ্রামের জনগণ এর চিত্র ১৮৬০ ইং
পুরানা পল্টন বাজার, ঢাকা ১৮৭৫ ইং
গ্রামের চিত্র ১৮৬০ ইং
বুড়িগঙ্গা নদীর চিত্র ১৮৮০ ইং
পুরাতন ঢাকার চকবাজার মোড় ১৯০৪ ইং
চকবাজার এর চিত্র ১৮৮৫ ইং
ঢাকা কলেজ ১৮৭২ ইং
ঢাকা কলেজ ১৯০৪ ইং
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের চিত্র ১৯০৪ ইং
গড়াই নদীর চিত্র কুষ্টিয়া ১৮৬০ ইং
লালবাঘ কেল্লা ঢাকা ১৮৭২ ইং
মিটফোর্ড হসপিটাল ঢাকা ১৯০৪ ইং
খ্রিস্টান দের প্রার্থনা কেন্দ্র নারিন্দা ঢাকা ১৮৭৫ ইং
নর্থবুক হল লাইব্রেরি ঢাকা ১৯০৪ ইং
নওয়াবপুর রোড ঢাকা ১৮৭২ ইং
পরিবাগ মাজার ঢাকা ১৯০৪ ইং
রমনা গেট ঢাকা ১৯০১ ইং
পদ্মা নদী কুষ্টিয়া ১৮৬০ ইং
ধোলাই খালের স্টিলের সেতু ঢাকা ১৯০৪ ইং
বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজধানী সোনারগাও ১৯০৪ ইং
টঙ্গীর তুরাগ নদীর সেতু ১৯০৪ ইং
ছবিসুত্র: ব্রিটিশ লাইব্রেরির অফিসিয়াল ওয়েব সাইট।
জিনিয়া বলেছেনঃ
খুব ভাল লাগলো। খুবই .সেদিনের চকবাজার আর আজকের..তুরাগ নদী, বুড়িগঙ্গা..কী থেকে কী অবস্থা.।
তোমাকে ধন্যবাদ। ভাল আছো?
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
জিনিয়া, ধন্যবাদ তোমাকে। তোমার ভাল লেগেছে বলে খুব খুশি হয়েছি। দেখ ওই সময়ের ঢাকা আর আজকের ঢাকা কেমন তাই না ? যদি ও নগরায়ন না হলে রাষ্টের আধুনিকতা প্রকাশ পায় না। তথাপি আধুনিক নগরায়ণের কারণে আবার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। কিছু করার নেই।
আর হা আমি খুব ভাল আছি বললে ভুল হবে, তবে কিছুটা ঝামেলাতে রয়েছি ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে। তুমি কেমন আছো ? আর ব্লগে দেখলাম কেমন যেন মন মরা ভাব ? কেন ? কি হয়েছে ?
মজিবর বলেছেনঃ
সুলতান মির্জা ভাই, আপনার ছবিগুলো সংগ্রহে রাখার মত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অতীত দিনের ছবি ও তথ্য জানানোর জন্য। আরও আসি থাকলাম।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
ধন্যবাদ মজিবর ভাই, ভাল লেগেছে বলে আমার পরিশ্রম সার্থক হলো। রেখে দিন না সংগ্রহে। আরও বেশ কিছু ছবি ছিল কিন্তু দুক্ষিত দিতে পারব না বলে, তবে হা যদি ভবিষ্যতে কোনও দিন সময় সুযোগ হয় তাহলে দিব।
ভাল থাকবেন।
পাগল মন বলেছেনঃ
আহা!! জমিগুলা যদি তখন কিনে রাখতে পারতাম!!
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
হা হা….. তাহলে যে খুব সহজেই আপনি হাজার হাজার কোটি পতি হয়ে যেতেন সাজ্জাদ ভাই। এখন খুব আফসোস হচ্ছে তাই না ?
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
সুলতান মির্জা, ভাই, বেঁচে থাকো, শতায়ু হও। একসময় বাদামতলীতে ঠিক বুড়িগঙ্গার তীরে আমার নানী-খালারবাড়ি ছিলো। মায়ের সঙ্গে ঢাকায় বেড়াতে এলেই উঠতাম সেখানে। লম্বা টানা বারান্দার রেলিং ধরে হা করে দেখতাম বুড়িগঙ্গার ঘাটে সারি-সারি নৌকোর আসা-যাওয়া .. মানুষের হৈ-চৈ-ভিড়ের সমারোহ .. কি যে ভালোলাগার ঘোর .. তখনও এতটা বর্জ্যভারে বিষিয়ে যায়নি বুড়িগঙ্গা। পুরনো দিনের ঢাকাকে খুব করেই মনে পড়িয়ে দিলো তোমার ছবিগুলো। শুভেচ্ছা।
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
শিরীন আপু, কেমন আছেন ? শরীরের অবস্থা কেমন ?
অর্ঘ্য বলেছেনঃ
@ লেখকঃ অসাধারন সংগ্রহ। আর পুরাতনকে চিনিয়ে দেবার সুন্দর প্রচেষ্টা।
একটি ছোট প্রশ্ন, ১৩ নং ছবিটির ক্যাপশনঃ ‘খ্রিস্টান দের প্রার্থনা কেন্দ্র নারিন্দা ঢাকা ১৮৭৫ ইং’
এটা কি প্রার্থনা কেন্দ্র অথবা কবর স্থান?
সুলতান মির্জা বলেছেনঃ
ধন্যবাদ, আপনাকে। ছবিগুলো দেখার জন্য।
আর আপনার প্রশ্নের আপডেটিং টা আমি দিচ্ছি। মনে হয় ভুল হয়েছে। টাইটেল ছিল ইংরেজীতে।
ভাল থাকুন।