মানবতাবাদী ধর্মপক্ষীরা কী সবাই ঘুমিয়ে পড়লেন নাকি ??

সুলতান মির্জা
Published : 28 June 2012, 03:32 AM
Updated : 28 June 2012, 03:32 AM

উপসংহার নয়, কোনও ভূমিকার প্রয়োজন নয় এখন প্রয়োজন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও বৃত্তর সিলেট অঞ্চলের জন্য মানবিকতা।খেয়াল করলাম এই বিষয়ে সবাই যেন কেমন নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছে। আমি অনুরোধ জানাই ব্লগার, পাঠক-পাঠিকা দের কাছে ব্লগটিমের সমন্নয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর সিলেটে সৃষ্ট বন্যার পানিতে আশ্রয় হীন রয়েছে যারা, তাদের আসুন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। যা আমি মনে করি খুব জরুরী, সে মোতাবেক আমি আশা করছি, ব্লগটিম কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত রয়েছি। কথায় নয় কাজে প্রমাম দিতে চাই।

কিন্তু খুব হতাশ হইলাম, যে গত কিছুদিন পূর্বে রোহিঙ্গা প্রশ্নে যিনি বা যাহারা আমাকে মানমবতাহীন বলে আখ্যা দিয়েছিল। তারা আজকে কোথায় ? রোহিঙ্গারা মুসলিম, আজকে যদি এরা আপনার মা আথবা বোন হতো তাহলে কী করতেন। এই গুলো ছিল মানবতার ধর্ম পক্ষীদের মন্তব্য। আর আজকে আমার বাংলাদেশের স্বাধীন ভূখণ্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত অথচ সেই সব মানবতা পক্ষীরা নিশ্চিন্তে বসে গাজা ফুকছে। জানতে ইচ্ছা করে, মানবতা ধর্মপক্ষীদের কাছে, দুর্যোগ এলাকার লোক গুলো কোন ধর্মের অনুসারী ? আস্তিক-নাস্তিক নাকি পাঠা ধর্মের ?

সর্বশেষ পর্যন্ত বাংলা নিউজ এর একটি প্রতিবেদনে জানতে পারলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জেলায় মোট ১১০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

আজব এই সব মানবতার ধর্মপক্ষীরা তো অন্তত একটা শোক নামা ব্লগে উপস্থাপন করতে পারতো। কেন নয় জানি এই সব ধর্ম পক্ষীদের ধর্মীয় গোড়ামি রয়েছে এরা আবার মুসলিম জাতের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হলে কথা বলে না। কিন্তু যতটুকু জানতে পেরেছি, বজ্রপাতের ঘটনায় কুতুবদিয়া উপজেলায় বড়ঘোপ ইউনিয়নের লাল ফকিরপাড়ার খুকি আখতার (১৫) নামের এক কিশোরী নিহত হয়েছে। বাড়ির দেয়াল চাপায় কক্সবাজার সদরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের দরগারপাড়া এলাকার আনোয়ারা বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে চাপা পড়া দুই ভাই-বোন সজিব (৩) ও আশামনি (২) তাদের মা সামিরার (২২) ও মারা গিয়েছেন অর্থাত্‍ এক পরিবারের তিন জন। কী নির্মম গঠনা। অথচ এই সব ধর্মীয় মানবতাপক্ষীর বাচ্চারা টু শব্দটা করল না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বেলায় মানবতা গজিয়ে উঠেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গারা আপনার মতই মানুষ এদের বাচান। আর আজকে বসে গাজা খাচ্ছে, মানবতা শেষ। আর মানবতা দেখানোর সুযোগ নেই। ফেসবুক এ মানবতা নিয়ে কবিতা লেখার সময় নেই। প্রতি ঘণ্টায় ব্লগে খুজে পাওয়া যেত মানবতাহীন, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট মন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার করা কাহিনী। মানবতার মানবিক কারণে হজম করতে হয়েছে ধর্ম পক্ষী দের অমানবিক আচরণ।

এখন মানবতার সেই ঐতিহাসিক ধর্মপক্ষীরা বসে গাঁজা বসে গাজা ফুকছে। আজ আর মানবতা জাগে না।