ডাকাত শহীদকে জীবিত ফেরত চাই

সুলতান মির্জা
Published : 12 July 2012, 01:22 PM
Updated : 12 July 2012, 01:22 PM

এক মহা আবুলীয় যুগে বসবাস করছি আমরা। এই খানে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে কত কবি, ব্লগার আর মানবতার মুখোশধারী কিছু ভন্ড মানুষ। অবাক হয়ে গেলাম ব্লগার দের ডাকাত শহীদ প্রীতি দেখে। আর এই খানকার কিছু মহামানবদের আচরণে। তবে এটা শিউর হলাম, বিডি ব্লগের মানুষ গুলো মাঝে মাঝে ডাকাতদের পক্ষ নিয়ে ও চিন্তা করা শুরু করে দিয়েছে। যার সারমর্ম হলো ডাকাতদের মারলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আজব ঘটনা, সরকার পড়ছে মহা বিপদে ডাকাতের অত্যাচারে মানুষ ভিত হয়ে যখন বলে দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়ে গেছে। আবার ডাকাত যদি দুই একটা মারা যায়, তাহলে বলে সরকার এটা কী করল? এটা কী ঠিক হলো? দারুন সেলুকাস!

বলতে চাই, বিখ্যাত ব্লগিং সমাজ কে একটা ডাকাত সে চিরদিনই ডাকাত সে সুযোগ পেলে নিজের বাড়িতে ডাকাতি করতে ও দ্বিধাবোধ করে না। তার জন্য আবার কিসের মানবতা ? একটা ডাকাতের বেড়ে উঠার জন্য পুলিশ কর্মকর্তার দ্বাবিকৃত মাসিক টাকাই যথেষ্ঠ এইখানে কোনও রাজনৈতিক শেল্টারের প্রয়োজন পড়ে না। ব্লগে ডাকাত নিয়ে সেই বিখ্যাত ব্লগারের বিখ্যাত লেখাটা পড়লাম, লেখাটা পড়ে মনে হলো লেখক যদি কোনও দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয় তাহলে ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের দিয়ে নিজের বাড়িতে ডাকাতি করাতে ও দ্বিধাবোধ করবে না।

মানুষ সস্তা হাত তালি আর জনপ্রিয়তা পেতে যখন মহাজ্ঞানীর অভিনয় করে তখন বড় আজীব মনে হয় নিজের কাছে নিজেকে। ঠিক আছে আল্লাহ জ্ঞান দিয়েছে অসীম জ্ঞানের চর্চা হতে পারে কিন্তু সেটা সিস্টেম মত হতে পারে। কিন্তু সিস্টেম এর বাহিরে চলে গেলেই বিপত্তি। সেই সব জ্ঞানপাপীদের ধিক্কার জানাই। যারা হঠাত্‍ করে নিজেকে মানবাধিকারের পোশাকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। তাদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, মনে করুন আপনাদের বাড়িতে ডাকাতি হলো, ডাকাত কে হাতেনাতে ধরে ফেললেন তখন সেই ডাকাত কে আপনারা কী করবেন ? ছেড়ে দিবেন নাকি মেরে ফেলবেন ?

যে কোনো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার, আমি মনে করি এদের জন্য কোনও আইন নয় মানবাধিকার নয় ডাইরেক্ট সুট টু কিল। না হলে সম্ভব নয়। যদি আইনে দেওয়া হয় তাহলে কিছুদিন পড়ে আবার বের হয়ে ফিরে এসে সে তার আগের পেশায় আত্মনিয়োগ করে এই বিষয়ে আমার নিজ চোখে দেখা অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। গত বিএনপি সরকারের আমলে আর কোনও কিছু পছন্দ না হলে ও বিএনপি সরকারের র‌্যাবের প্রতিষ্ঠা আমাকে নতুন আলোর পথ দেখিয়েছে। আর তাই র্যাব যেন দীর্ঘজীবী হয় সেই কামনা করি।

উন্নত বিশ্বের তথাকথিত টাকা খাওরা মানবাধিকার সংস্থা যারা অতি সাম্প্রতিক র‌্যাবের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য র‌্যাব ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বস্তত তারা বাংলাদেশের মঙ্গল কোনও দিন চায়নি। তারা হলুদ প্রজাতির মানবাধিকার কর্মী। সরকার কে বলব এই সব পাগল-ছাগলদের কথায় কান দিবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে অন্যায় ভাবে যেন কারো উপর কোনও ভাবে নির্যাতন করা না হয়। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের একমাত্র বিচার হলো মৃত্যুদণ্ড সেক্ষেত্রে যদি আমিও হই তাতে কোনও সমস্যা নেই।

শেষ করার আগে আবারো বলতে চাই, একজন ডাকাত বা সন্ত্রাসী সে সারাজীবনের জন্য সন্ত্রাসী। তাকে ভাল কোনও সুযোগ দিয়ে কোনও লাভ নেই। সে যখন সুযোগ পাবে তখন সে খারাপ কাজ করবে। অতএব, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে কোনও লাভ নেই।

পরিশেষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই ডাকাত শহীদ কে মেরে ফেলা হয়েছে আরও যদি কোনও ডাকাত থাকে তাহলে তাদেরকে ও মেরে ফেলুন।