ড.ইউনূস কে নিয়ে আমাদের এত আগ্রহ কেন?

সুলতান মির্জা
Published : 6 August 2012, 07:08 PM
Updated : 6 August 2012, 07:08 PM

এই পোস্টে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে আলোচনা করব। হয়তোবা ড.ইউনূস খুবই বড় মাপের একজন মানুষ। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে এনে তিনি গোটা দেশকেই বিশ্বদরবারে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু একটি ভুল তথ্য তাঁর ওপর আরোপ করা হয়। বলা হয়, ড.ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা বা মালিক। স্বীকার করি ড.ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোক্তা কিন্তু মেনে নিতে পারিনা গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক হিসেবে। আমি যতটুকু জানি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হলো বাংলাদেশ সরকার। বলতে দ্বিধা নেই দেশের প্রচলিত আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকির আওতায় একটি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে ১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের অস্তিত্ত্ব ছিল এবং তা শুধুমাত্র কাগজে কলমে। বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৯০ সালে ড.ইউনুস কে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর করে গ্রামীণ ব্যাংক কে বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে অনুমোধন দেয় । সেই হিসেবে ড.ইউনূসকে প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পর্যন্ত বলা যেতে পারে। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নন কোনোক্রমেই ড.ইউনুস ।

আমরা সবাই জানি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়স হলে গেলে সবাইকে অবসর গ্রহণ করতে হয়। এটাই তো আইন যা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সকল দেশে আইন হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। এখন কথা হলো ড.ইউনুস সাহেব এর ইচ্ছা শক্তি দেখে শুনে আমার ধারণা হয়েছে যে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় তুলে হলেও ড.ইউনূস আমৃত্যু গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে ন্যস্ত থাকতে চান। ড.ইউনূস মনে করেন উনি যদি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পদে না থাকেন তাহলে ৮০ লাখ দরিদ্র মানুষের এই ব্যাংক মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে। শুধু তাই নয় ড.ইউনূস মনে করেন গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর না থাকলে ব্যাংক অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। অবস্থাটা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে গ্রামীণ ব্যাংকে ড.ইউনূসকে থাকতেই হবে। তবে এটা যে নোবেল বিজয়ী ড.ইউনুস এর শুধু একটা আত্মসম্মানের প্রশ্ন, আমি বিশ্বাস করি তা মোটেই নয়। আমার জানামতে গ্রামীণ ব্যাংকে ড.ইউনুস সাহেব এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পদে থাকার ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের বহু আন্ত মহাদেশীয় বাণিজ্যগোষ্ঠীর ব্যবসায়িক স্বার্থ, কতিপয় দেশের কর্তাব্যাক্তিদের রাজনৈতিক স্বার্থ। তবে অনেকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো কোনো বিশেষায়িত ব্যাংকের প্ল্যাটফর্মে কাজ করার কতগুলো সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন কো লেটারাল বা ইক্যুইটি দিতে হয় না। ট্যাক্ক্স দিতে হয় না। সরকারের কাছে কোনও জবাবদিহিতা করতে হয় না যখন তখন। প্রশ্ন করতে চাই, ধরে নিলাম এমনটাই হলো তাহলে এখনই তো ড.ইউনুস সাহেব এর বয়স ৭১ বছর উপরে, উনি নোবেল পুরস্কার জিতলেও মৃত্যু কে তো আর উনি জিততে পারবেন না ? নাকি এমন কোনও ফর্মুলা উনি আবিষ্কার করেছেন যে, দেশ ও জাতিকে শোকসাগরে ভাসিয়ে তিনি জীবনে ও প্রাণত্যাগ করবেন না ? আর যদি ভুল ক্রমে উনি প্রাণত্যাগ করে ফেলেন তখন গ্রামীণ ব্যাংকের কী হবে?

উল্লেখ করতে চাই, বাংলাদেশে শোচনীয় দারিদ্র্যদশা মোচন,শিশুমৃত্যুর হার কমানো, প্রসূতি মৃত্যুর হার কমানো, নারীর ক্ষমতায়ন, জন্মহার কমানো, গ্রামে ও বস্তিতে স্যানিটেশন ব্যবস্থার বহুল উন্নয়ন, গ্রামের অবাঞ্ছিত দারিদ্র শিশু-কিশোরদের শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন অর্থ্যাত এইসব সামাজিক উন্নয়ন এর ব্যাপারে বাংলাদেশের ব্র্যাক, প্রশিকা, নিজেরা করি, কারিতাস প্রভৃতি এনজিওর অনেক সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে। অথচ গ্রামীণ ব্যাংকের এসব কার্যক্রমের কোনো কর্মকাণ্ড উল্লেখ করার মত ছিল না। গ্রামীণ ব্যাংক এর সাফল্য যে বিষয়ে হয়েছে তা হলো গরিব মানুষকে উচ্চ হারে শুধু ঋণ প্রদান। আর অন্য বিশেষ কিছু না। এটা কে দারিদ্র্য মোচনের অঙ্গীকার না বলে বলা যেতে পারে সুদের ব্যবসা। তবু দারিদ্র্যমোচন, সমাজে দারিদ্র্যের দরুন অস্থিরতা সৃষ্টির ভয়াবহতা ঠেকানো, দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে সুখ ও স্বস্তি উপচে পড়া এসব মহান কর্ম ও কীর্তির স্বীকৃতি হিসেবেই শান্তিতে ড.ইউনূসকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অনেকের সাথে আমার কাছে ও তাজ্জব বলে মনে হয়েছে।

পাঠক শুনে আশ্চার্য হতে পারেন, ড.ইউনূসকে একজন প্রতিভাধর উদ্যোগী ও দক্ষ লোক হিসেবে আমি বরাবরই শ্রদ্ধা করি। বাংলাদেশে তাঁর জন্ম,বাংলাদেশি বলে তাঁর পরিচিতি,অথচ আশ্চর্যের বিষয় ড.ইউনূস কোনো দিন,এমনকি নোবেলপ্রাপ্তির পরও বাঙালির গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক শহীদ মিনারে যাননি। কোনো দিন যাননি সাভারের স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে। ১/১১ পর রাজনীতিবিদদের তিনি ঢালাওভাবে দুর্নীতিবাজ বলেছিলেন। কেন বলেছিলেন ড.ইউনূস? উনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক বিশ্ব পরিচালনা করেন রাজনীতিবিদরাই সুধীসমাজ নয়। আবার তিনি কী করলেন?১/১১ এর সময় নিজে চেষ্টা করেছিলেন বহি:বিশ্বের প্ররোচনায় চুক্তি ভিত্তিক পরবর্তী ১০বছর ক্ষমতায় থাকার শর্তে দেশ শাসন করতে।এমনকি উনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার লক্ষে ডাক দিয়েছিলেন।কিন্তু দূরভাগ্যের বিষয় হলো সেই ডাকে পাবলিক আসে নাই।ফলাফল ড.ইউনুস এখনো সেই চিন্তাধারা থেকে বের হয়নি।সোজা হিসেবে ড.ইউনুস এর রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস পূরণে মার্কিন যুক্তরাস্টের কর্তা ব্যাক্তিরা এখনো তত্পর আছে।

পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষমতাধর কর্তাব্যাক্তিরা কী জানেন ? আমাদের ডঃ ইউনূস সাহেব,তার গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠানোর যে মহান পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে বাংলাদেশ কতটুকু এগিয়েছে? ড.ইউনুস সেই ১৯৭৬ সাল থেকে তার মহতী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে এদেশের আপামর জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণ করে যাচ্ছেন ৩৫ থেকে ৪০ পার্সেন্ট সুদ নিয়ে। পশ্চিমারা কী বলতে পারবেন যে কোনো ব্যাংক এই ধরনের জীবনে দারিদ্র্য মোচন করতে পারবে নাকি ? যদি ও এই কথাটা পশ্চিমাদের বুঝানো যাচ্ছে যে ড.ইউনুস সাহেব আপনাদের যা বলেছে এটা মূর্খের স্বর্গে বাস করার মতোই অলীক কল্পনা মাত্র। আমি মনে করি দারিদ্র বিমোচন করলে ঋণগ্রহীতা থাকবে। তবে সেটা ক্ষুদ্রঋণ নয়। একবার হিসেব করে দেখবেন কী ? স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের কিঞ্চিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সিংহভাগই এসেছে বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থে যদি ও ড.ইউনুস সাহেব এই কথা গুলো পশ্চিমাদের কোনও দিন বলেনি। কেন বলেনি সেটা আমার মত আমজনতার পক্ষে বিশ্লেষণ করা মুস্কিল। তাই যুক্তিতর্কের খাতিরেই হোক কিংবা পরিসংখ্যানের বিচারে,ইউনূস সাহেবের ক্ষুদ্রঋণ-তত্ত্ব দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের অলীক স্বপ্ন ধোপে টেকে না। তবে একদিক থেকে তিনি কিন্তু দারুণ সফল,মধ্যবিত্ত শিক্ষকের অবস্থান থেকে আজকে উঠে এসেছেন মহাবিত্তবানদের কাতারে,তার দেওয়া ঋণে এককোটি জনগোষ্ঠী বিত্তবান হতে না পারলেও তিনি কিন্তু চড়া সুদ আরোপ করে ঠিকই নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন,দেশ দারিদ্রমুক্ত না হলেও অঢেল সম্পত্তির মালিক ঠিকই হয়েছেন ।

প্রায়ই তিনি বিদেশ সফরে যান,বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-প্রধানমন্ত্রী আর রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে বন্ধুত্বস্থাপনে বড়ই পুলকিত বোধ করেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তো ওনার দোস্ত,তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ইউনূস সাহেবের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়ারিবার্তা পাঠান। শুধু বিল ক্লিনটনই বা কেন,জন কেরী,বারাক ওবামা,স্পেনের রানী সোফিয়া,জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল সহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা এখন বন্ধুত্ব রক্ষার মহান তাগিদে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে –মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে,আমাদের ড.ইউনূস সাহেবের প্রতি বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের এত দরদ উথলে পড়ছে কেন ?এটাই প্রমাণিত হচ্ছেনা যে, ড.ইউনূস সাহেব আসলে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর তল্পিবাহী ধারক এবং পোষক ?

বিদেশে গেলে বিদেশী মিডিয়া, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ইন্টারভিউ দিতে ড.ইউনুস খুবই পছন্দ করেন।বলা যায় নজিরবিহীন আত্মপ্রচার। শুধু তাই নয়,স্তবক পাঠ করেন একদম ফ্রন্টে দাড়িয়ে। সাথে দাড় করিয়ে রাখেন কথার ছলে অসহায় ঋণগ্রহীতাদের,যারা সামান্য কিছু টাকার জন্যে অন্যূপায় হয়ে সারাদিন গ্রামীনব্যাংক কর্মকর্তাদের পূর্বনির্দেশ অনুযায়ী মানববন্ধন করে যাচ্ছেন আর পেছনে রিজার্ভ রেখেছেন আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধি ব্যবসায়ীদের যারা এদেশে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজ বলে পরিচিত,এদের নিয়েই উনি ওনার স্বপ্নের রাজনৈতিক দলটি গঠন করতে চেয়েছিলেন।

বিজ্ঞ ব্লগার ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আমার প্রশ্ন, কতিপয় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা বলে কি ড.ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বৈধতা লাভ করেন ?কতিপয় অপরাধীকে ধরা যাচ্ছেনা বলে কি ধৃত অপরাধীকেও বেকসুর খালাস দিতে হবে? মহাবিত্তবান ড.ইউনূসের স্তবস্তুতি করে যাচ্ছেন আর দোষ দেন আমাদের মত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদেরকে। দারিদ্র কমার পেছনে বৈদেশিক রেমিট্যান্স এবং আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি জড়িত, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কঠোর শ্রম জড়িত। বানিজ্যিক সকল ব্যাংক তো আর বিশেষায়িত ব্যাংকের সুযোগসুবিধা লাভ করেনা, তারা ক্ষুদ্রঋণ কেন দেবে আর কিভাবেই বা দেবে ? বলতে চাই ড.ইউনুসের পক্ষে তালি না দিয়ে সরকার এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বলুন বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে ৪০% সুদের সুবিধাটা দিতে, করমুক্তির সুবিধাটাও সাথে রাখুন, তখন দেখুন কী হয়। এরূপ সুবিধা যদি অন্যান্য ব্যাংকগুলো পেত তাহলে কি তারাও গ্রামীণ ব্যাংকের মত এমন ফুলে ফেঁপে উঠত না ? গ্রামীনব্যাংক এই সুবিধা পায় বলে তারাই তো ঋণ দেবে। এইখানে ড.ইউনুসের ব্যাক্তিগত কোনও ক্ষমতা আমি দেখিনা। মনে রাখবেন গ্রামীণ ব্যাংক দারিদ্র মোচনের ব্যাংক নয়, গ্রামীণ ব্যাংক হলো বানিজ্যিক ব্যাংকের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তো গ্রামীণব্যাংক ২৬-৪০% চড়াসুদে মুনাফা নেওয়ার পরেও বলতে চান, ড.ইউনূস কী বানিজ্যিক নন ?

শেষ করব ড.ইউনুসের বাণিজ্যিক দৃষ্টি ভঙ্গির উদাহরণ দিয়ে ড.ইউনূস তনয়া দীনা ইউনূসের অতিবিলাসী এবং অসংযত জীবনযাত্রার কুরুচিপূর্ণ ছবি যারা সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে দেখেছেন,তাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে যে,বাবা হিসেবে ড.ইউনূস কতটুকু সার্থকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেছেন? বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশে যেখানে গরিবের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটেনা,সেখানে ইউনূস তনয়ারা লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে এদেশ ওদেশ ঘুরে বেড়ান,ব্যাংকক,সিঙ্গাপুর,ইউরোপ,আমেরিকায় শপিংয়ে যায়।যে ড.ইউনুস বহি:বিশ্বে প্রচার প্রচারণার জন্য, নিজেকে গরিবের বন্ধু হিসেবে মিডিয়াতে উপস্থাপন করে চলেছেন গ্রামীণ ফতুয়া শরীরে জড়িয়ে। উনার কন্যার কেন বিদেশী কুরুচিপূর্ণ পোশাকের প্রতি এত ঝোঁক? তার মানে কি গ্রামীণ চেক বন্দনা শুধুই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ?গ্রামীনব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ,গ্রামীণ ফোনের উচ্চ লাভয়াংশ,গ্রামীণ চেকের উচ্চমূল্য এইগুলোর তাত্ত্বিক রহস্য কী? জানতে চাই ড.ইউনূস আসলে অর্থনীতিবিদ নাকি ব্যবসায়ী ?

@ সুলতান মির্জা