১৯৭১ সালের ৫ই মার্চ বিভিন্ন জেলায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উঠানো হয়!

সুলতান মির্জা
Published : 4 March 2012, 10:53 PM
Updated : 4 March 2012, 10:53 PM

৫ই মার্চ চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩জন নিহত হয়, ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ ব্যক্তির মৃত্য হয়। খুলনায় ২জন রাজশাহীতে ১জন নিহত হয়। টঙ্গীতে আগের দিনের ঘটনার পেক্ষাপটে সারাদেশে শ্রমিকদের ডাকা হরতাল চলছিল। ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জুম্মার নামাযের পর মসজিদে মসজিদে দোয়া করা হয় শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে।

ঢাকায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ বাইতুল মোকারম এর দক্ষিণ গেট থেকে মিছিল বের করেছিল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্ররা ও বিক্ষোভ মিছিল করে। ঢাকার লেখক ও শিল্পীবৃন্দ জনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতাবোধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ডাঃ আহামদ শরীফের নেতৃত্বে।

এই দিন পুরানা পল্টনে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং এর জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়। বিকেলে পাকিস্তান থেকে অবসরপ্রাপ্ত এয়ারভাইস মার্শাল আজগর খান ঢাকায় আসেন এবং রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেন ধানমণ্ডির বাসভবনে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু নিজের ব্যপারে আশংকা প্রকাশ করে বলেন তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

এদিন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ এই বিবৃতিতে বলেন, নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ছাড়া আর কিছুই। তিনি পাকিস্তানী সরকারকে অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার আহব্বান জানান।