ডেসটিনি অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছে সরকারের ব্যর্থতার কারণে !

সুলতান মির্জা
Published : 9 April 2012, 03:47 AM
Updated : 9 April 2012, 03:47 AM

মনে হয় সরকার বিপদে পড়তে যাচ্ছে, ডেসটিনি খেইপ্পা গেল মনে হইলো……..তাছাড়া আর কত নিরব থাকবে ডেসটিনি।কই সরকার ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলা করবে কিন্তু তা হয়নি ডেসটিনি সরকারের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করল। জাককাশ, আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত যেই না একটা সিদ্ধান্তের কথা জানাইলেন। তার পরের দিন অর্থ্যাত ৮/৪/২০১২ ইং তারিখে ডেসটিনির চেয়ারম্যান ও এম ডি ২ টা মামলা করল, খুব বেশি মজা পাইছি, যা আমি সাধারনত কোনও ঈদের দিন ও পাই নাই। ডেসটিনি মনে অর্থমন্ত্রীর নাক বরাবর একটা বড় ধরনের ঘুষি মারলো গতকাল।

বিডি নিউজ থেকে জানতে পারলাম, প্রথমটা হলো:
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন হয়েছে।
রিট টি দায়ের করেন পক্ষে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল।

এতে বিবাদী করা হয়েছে অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে।

আর দ্বিতীয়টা হলো:
পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেছে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনি।
বাদী ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল।

বিবাদী হলেন যারা,নয়াদিগন্তের সম্পাদক মো. আলমগীর মহিউদ্দিন, প্রকাশক শামসুল হুদা, দিগন্ত প্রিন্টার্স, প্রতিবেদক সামসুজ্জামান নিপু, যুগান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশক সালমা ইসলাম, নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলম, যমুনা প্রিন্টার্স, প্রতিবেদক গোলাম মাওলা, প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম, ট্রান্সকম লিমিটেড, যায়যায়দিনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রোকন উদ্দিন।

এখন ডেসটিনি বন্ধ হবে আর কী ? বাংলাদেশ ব্যাংক বন্ধ হওয়ার মত উপক্রম।
কই চিন্তা ভাবনা করছিলাম বৈশাখী টেলিভিশন, ডেসটিনি পত্রিকা বিক্রি করলে কিছু শেয়ার টেয়ার কিনুম কম দামে। আর তা হলো না এখন প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, যায় যায় দিন, যুগান্তর পত্রিকার মালিকদের তাদের পত্রিকা বিক্রি করে ডেসটিনির হারিয়ে যাওয়া মান সম্মান এর সমপরিমাণ ৫০০০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে ডেসটিনির মালিকদের। আমি আর কোনও শেয়ারের মালিক হতে পারলাম না।

থাক ঐসব চিন্তা ভুল করেও আর করুম না।
শফিক রেহমান সাহেব রা "নেরী কুত্তীর" বই এর মোড়ক খুলে শেখ হাসিনারে ভারত আমেরিকা যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু আজব কাহিনী হইল ডেসটিনিরে ব্যবসা আর না করার পরামর্শ দেয় না।
আমি বেশ চিন্তিত মনে হয়, ২০০১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে ডেসটিনি শুধু চাপা মাইরা "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন" টাইপের বচন দিয়া ২৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হইয়া গেল কেমনে ? শুধু তাই না ব্যাংকে ও পড়ে আছে কয়েক হাজার কোটি। খুব জানতে ইচ্ছা করছে পাবলিকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কী ডেসটিনির মালিকরা সেই টাকা দিয়া কী ইয়াবা হেরোইন এর ব্যবসা করতো নাকি ? না হলে কী করে এত কম সময়ে এত সম্পত্তির মালিক হইয়া গেছে?

বোকা জনগণ ডেসটিনির কথা গুলো লবণ ছাড়া ডক ডক কইরা খাইছে, আর স্বপ্ন দেখছে বছর ঘুরলে দ্বিগুন, হায় হায় কয় কী ডেসটিনির মত আর কেডা ? আর জনগণ কত যে বড় মাপের বোকা তা এই সোনার বাংলাদেশে জন্ম না হইলে বুঝা বড় দ্বায় ছিল। জনগণের কোনও আক্কেল নাই, আই টি সি এল, যুবক থেকে কোনও শিক্ষা নিতে পারে নাই। তো ডেসটিনির কী দোষ ? আমি বলি কী জনগণের শিক্ষা হওয়ার দরকার ছিল।

আমরা যারা উঠতি বুদ্ধিজীবী এই খানে ব্লগে আইসা চিল্লাচিল্লি করে সময় পার করছি তাদের কী কোনও দিন আক্কেল হবে না ? আরে ভাই টাকা দেওয়ার সময় তো আর বিডি ব্লগে আইসা বলে নাই ভাই, আমি ডেসটিনি তে টাকা দিতেছি একটু খেয়াল রাইখেন যেন আমাগো টাহা মাইর না যায়।

আমি এর ফাকে আপনাগো এক টা বচন মাইরা দেই, ধরেন আপনি কোনও বিয়ের ঘটকালি করলেন। মানে কাউকে বিয়ে করালেন বা দিয়ে দিলেন। এখন কথা হলো। যদি বিয়ের পর যাকে বিয়ে দিলেন বা করালেন সে যদি কোনও অবস্থাতে সুখী না হতে পারে তাহলে সারা জীবন দোষী থাকবেন আপনি আপনার নামে বিচার হবে কেন যাইন্না সুইন্না এমন একটা কাজ করলেন এখন বাকি জীবন দ্বায় আপনার, এখন বুঝুন ঠেলা। আর যদি সে সুখী হয় তাহলে ভুল করেও আপনার কর্মের নাম নিবে না, যে আপনার কারণে সে সুখী হইছে। তখন বলবে সব আল্লাহর ইচ্ছা।

এখন পাঠক আমার কথায় মনে মাইন্ড নিয়ে থাকলে আমি সরি, কিন্তু বাস্তবতা তা এমনি হয়েছে, ডেসটিনি কে যখন কোনও জনগণ টাকা দ্রুত বড়লোক হওয়ার চিন্তায় তখন কাউকে বলবে দূরে থাক, চিন্তা করেছিল আমি যখন জেনেছি আর কাউকে জানামু না। গোপনে যা আছে তাই দেই দ্বিগুন পামু আমারে ঠেকায় কে।

যা হোক যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,এখন আর বসে থাকা চলবে না সরকার কে পরামর্শ দিয়ে বলতে চাই। ডেসটিনি সকল ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করেছে। খুব দ্রুত ডেসটিনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এটা এখন আপনাদের প্রধান দায়িত্ব। কোনও কালক্ষেপণ নয়। মনে রাখবেন আপনারা মেইন গার্ডিয়ান, জনগণ ভুল করতেই পারে তাই বলে আপনারা নিরব থাকবেন কেন। আবার বলছি ডেসটিনির কার্যক্রম বন্ধ করুন।

@সুলতান মির্জা