সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!

সুলতান মির্জা
Published : 24 May 2012, 04:35 AM
Updated : 24 May 2012, 04:35 AM

সড়ক দুর্ঘটনা গুলো মানেই খুব মারাতত্বক, যদি ও একটি দুর্ঘটনা মানে সারা জীবনের কান্না। তারপর ও প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ, নিরুপায় হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। যাদের রুটি-রুজি করার মত কেউ থাকছে না। দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে তারপর ও কতৃপক্ষ কার্যত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেখে খুব হতাশ হচ্ছি। এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো বা কোনও কোনও সময় মানুষ তার কর্মস্থলে বের হওয়ার আগে বাড়ি থেকে শেষ বিদায় নিয়ে বের হতে হবে। অথচ এই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে শুধু মাত্র চালকের লাইসেন্স এ কঠোর হলেই হবে না। আরও অনেক অনিয়ম রয়েছে যার কারণে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

যখন পরিবহন সেক্টরে একটি তাজা মানুষের জীবনের মূল্য ধরা হয় মাত্র ১৫০০০ হাজার টাকা। কোনও দুর্ঘটনার পর কিছু দিন ড্রাইভারদের সাবধানতা তার পর আগের নিয়মে সব কিছু চলতে থাকে। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা,একটু বলে নেই জীবন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে আমার রয়েছে সেই সব অভিজ্ঞতা যা অফিসের বস ডাক থেকে ওই মিয়া পর্যন্ত। যাই হোক ব্যবসায়িক দিক দিয়ে আমি এই সেক্টরে মাঝে মাঝে দৌড় ঝাঁপ পারি। শুনে একটু অবাক হতে পারেন, পরিবহনে আমরা যারা মালিক হয়েছি লাখ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে, অথচ আমাদের আগে আমাদের গাড়ির ইনকাম খায় কামলা চামলা রা। যাই হোক, এইবার আসুন আলোচনা করি,

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক ও মন্ত্রী দের দ্বায়ী করলে হবে না। একটা চালক এর পয়দা কাল থেকে দুঘটনা পর্যন্ত অনেক সময় আমরা মালিকরা জানি না অনেক কিছুই। শুধু জানি আমাদের গাড়িটি চলছে রাস্তা দিয়ে ও অমুক জায়গাতে মানুষ মেরেছে এখন কী হবে টাইপের ভাষা। তারপর মালিকের দৌড়ঝাপ, কোন থানায় গাড়িটি রয়েছে, কত টাকা লাগবে ব্যাস এইটুকুই।

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সেক্টর গুলো যেগুলো নিয়ে কাজ করলে ৯০ % সুফল আসবে বলে আমি মনে করি বাকি ১০ % হলো দুর্ঘটনা মানেই দুর্ঘটনা যা রাস্তায় চলতে গেলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে। এই জন্য আমাদের সচেতনতা ও সরকারের পদক্ষেপ সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারে।

নিন্মে সেসব বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আসা করব সরকার এই সব বিষয় গুলো নিরসন করনে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।

শ্রমিক ফেডারেশন:
মূলত শ্রমিক ফেডারেশন হলো সড়ক দুর্ঘটনার মূল হোতা। উদাহরণ হিসেবে বলি, মনে করুন মহাখালী বাস টার্মিনাল। আমি একটি বাস চালাব আমার পছন্দের কোনও রোডে, এখন কথা হলো তাদের কাছে আমার পরিচয় শুধু মাত্র একজন মালিক হিসেবে কিন্তু আমার গাড়ির কর্তিত্ত্ব থাকবে তাদের তাদের লোকাল শ্রমিক সংগঠনের হাতে। প্রথমেই শর্ত হিসেবে থাকবে তাদের লোকাল সংগঠন হতে কার্ড ধারী চালক ও শ্রমিক থাকবে একজন, ও আমার নিজের পছন্দের থাকবে একজন। এখন আমি আমার চালক টিকে পরখ করতে পারি যে আমি কোনও খারাপ চালক দিয়ে আমার গাড়ি চালাব না। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনের দেওয়া চালক টিকে পরখ করার কোনও ক্ষমতা নেই আমার হাতে। আমি জানি না কেমন চালক দিয়ে আমার এত দামী গাড়ি রাস্তায় চলবে। তো দেখা গেল চালক টি গাড়ি চালাতে লাগলো, কিন্তু এই চালকটিকে আমার ভাল লাগলো না। এখন আমি যদি বলি না আমি এই চালক কে দিয়ে আমার গাড়ি চালাব না। তাহলে শেষ আমার গাড়ি আর চলল না।

বাংলাদেশ সড়ক ফেডারেশন শ্রমিক ইউনিয়ন, লোকাল শ্রমিক সংগঠন একটা বিষয়। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার জনক হলো এই সংগঠন এর কার্যকলাপ। এদের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে শ্রমিক সংগঠন গুলো শক্তি শালী হয়। এবং দুই নাম্বার আর এক নাম্বার লাইসেন্স বুঝে বলতে এরা চালক একটা হলেই হলো। এরা নতুন চালকদের নতুন সুযোগ করে দিয়ে থাকে আমাদের মত সাধারণ মালিকদের গাড়িতে। কিন্তু এই সব শ্রমিক নেতাদের গাড়িতে ওই সব চালকরা কোনও দিন চালকের আসনে গিয়ে বসার মত যোগ্যতা ও রাখে না। শুধু তাই না, এই শ্রমিক সংগঠন যারা করে তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতাসীন হয়ে থাকে এই খানে আওয়ামীলীগ বিএনপি বলে কোনও কথা নেই ।

উল্লেখ্য শ্রমিক ফেডারেশনের অনেক নেতা গাড়ির মালিক, তাদের গাড়িতে যেই সব চালক চান্স পায় না সেই সব চালক হলো আমাদের গাড়ির চালক।বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা, এনায়েতুর রহমান, বর্তমানে ঢাকা-বগুড়া (একতা পরিবহন), ঢাকা-সিলেট (এনা পরিবহন), ঢাকা-ময়মনসিংহ (এনা পরিবহন) মতিঝিল-মিরপুর (এনা পরিবহন) এই গাড়ি গুলোতে কোনও অদক্ষ কোনও চালক নেই। এরা হলো শ্রমিক নেতা, পিছিয়ে নেই বিএনপি ও বিশ্বাস না ও করতে পারেন, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস এর মালিকাধীন ঢাকা পরিবহনের যেকোনো একটি রোড আমি লিজ নিয়েছি, টাকার অংক নাইবা বললাম তার পর ও বেশ বড় একটা এমাউণ্ড আমার দিতে হচ্ছে। এখন মোট কথা হলো, বর্তমান সড়ক ফেডারেশন এর কার্যকরী কমিটিতে রয়েছে, আওয়ামীলীগ,বিএনপি,বাসদ,এর প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা যাদের হাতে এই শ্রমিক সংগঠনটি যত দিন তারা বেচে থাকবে ততদিন থাকবে। আর অনিয়ম করে যাবে সারা বছর। হাসিনা-খালেদা রা এদের কোনও কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। তাই বলতে চাই এই শ্রমিক চক্রটি যদি ইচ্ছা করে তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে অনায়াসে। এই শ্রমিক ফেডারেশন তাদের উত্তেলিত চাঁদার টাকার ভাগ পাঠিয়ে দেয় সরকারের প্রভাশালী মহলে যে কারণে এরা খুব শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট হিসেবে রয়েছে। কিন্তু এরা থাকে দ্বায়ভার মুক্ত, এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে তা হবে না। বললে আর কোনও কথা নেই। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে প্রধান মন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। তাছাড়া উপায় নেই।

লোকাল শ্রমিক সংগঠন এর প্রভাব:
শ্রমিক ফেডারেশন এর আওতাধীন সারা দেশে সকল উপজেলা থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত যে শ্রমিক সংগঠন বিধ্যমান থাকে তাদেরকেই লোকাল সংগঠন বলা হয়। এই লোকাল সংগঠন হলো সর্বনাসের আসল স্তর এই সব লোকাল নেতারা সকল চালক, শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করে। এরা চালক দের কাছ থেকে ১০/১২ হাজার টাকা নিয়ে চান্স দিয়ে থাকে। ওই সব চালকদের যারা চিহ্ন চীনে শুধু মাত্র চালক হয়ে থাকে। যার কারণে দাড়ি-গোপ উঠেনি এমন কেউ চালক হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব শালী শ্রমিকের কোনও টাকা লাগে না। সে গাড়ি চালাতে পারে কিনা সেটা খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় না। তার ইচ্ছা হলো সে গাড়ি চালাবে ব্যস হয়ে গেল গাড়ি যোগাবে ভুতে। এই শ্রমিক সংগঠন গুলো কোনও ভাবেই দ্বায় এড়াতে পারেনা কোনও দুর্ঘটনার। এদের কে মনিটরিং করার দ্বায়িত্ত্ব গ্রহণ করতে হবে। সরকারের উচিত প্রয়োজন হলে এদের ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করে দেওয়ার। এই শ্রমিক সংগঠন গুলোর নৈতিক কোনও চরিত্র নেই এরা সর্বনিন্ম ৫ টাকা ও চাদা নিয়ে থাকে। তারদের সকল কর্মকান্ডের বৈধতা দিয়ে থাকে শ্রমিক ফেডারেশন এর । এই শ্রমিক সংগঠন গুলো সকল স্থানীয় থানা-পুলিশ কে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে থাকে। আর এই জন্য যেকোনো অযোগ্য লোক কে চালক বলে সিকৃতি তাদের কাছে তেমন কোনও বিষয় না।

যোগাযোগ মন্ত্রী দ্বায় এড়াতে পারে না
রাস্তার কোনও সমস্যা যেমন, ভাঙ্গা-চোরা রাস্তা, অপরিকল্পিত টার্ন, সাংকেতিক চিহ্ন, রোড ডিভাইডার,স্পীড ব্রেকার এর চিহ্ন করণ না করা, ট্রাফিক সিস্টেম এর দক্ষ মনিটরিং, এই সব কারণে অনেক সময় মারাত্তক দুর্ঘটনা ঘটে যায় আর সেজন্য অবশ্যই যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দ্বায়ী। আর সেই জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এর দায় এড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। আর তাই যোগাযোগ মন্ত্রী কে রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের দিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর। খেয়াল রাখতে হবে বি আর টির কর্মকাণ্ড। দখ্য চালকের লাইসেন্স এর দিকে। বি আর টির অনিয়ম দূর করতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। দুর্নীতি বাজ ম্যাজিস্টেট, ইনেসপেকটর, এর কর্মকাণ্ড।

বয়স ভিত্তিক দক্ষ চালকের লাইসেন্স হবে, এই ধরনের বিষয় নিয়ে, আঞ্চলিক বি আর টি গুলোতে সত্ অফিসার নিয়োগ ও লোকবল বাড়িয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কে কাজ করার উপর জোর দিতে হবে না হলে সারা জীবনেও একটা সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বৈকি বাড়বে ছাড়া আমি মনে করি না। দেখুন আমরা যে লাইসেন্স নিয়ে কথা বলছি, এটার জন্য পড়া-লেখা সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদিত প্রাথীর বয়স সীমা যদি সর্বনিম্ম ২৫ এর কথা না করে তাহলে যত কাজই করুক না কেন যোগাযোগ মন্ত্রী আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সড়ক দুঘঠনা কমবে না।


পুলিশ ও এর কর্মকর্তা (মানে ট্রাফিক থেকে বড় অফিসার):

একজন চালকের গাড়ি চালানো সঠিক হচ্ছে না বা গাড়ির ফিটনেস ভাল না। ট্রাফিক পুলিশ বা ট্রাফিক সার্জনের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর ও ট্রাফিক পুলিশ বা সার্জন সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবে না। চালক কী এক নাম্বার লাইসেন্স এর অধিকারী কিনা সেটা নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা থাকে না কোনও ট্রাফিকের। দেখা গেল, কোনও একটি গাড়ি ট্রাফিক সিঙ্গেল অমান্য করল, তখন ট্রাফিকের প্রথম সেক্টর হলো, গাড়ির কাগজ, ইন্শ্যুরেন্স, রোড পারমিট, চালকের লাইসেন্স ঠিক রয়েছে কী না। এই ক্ষেত্রে দেখা গেল সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু চালকের লাইসেন্স হলো ৩০০ টাকা দামের অর্থ্যাত দুই নাম্বার। দেখুন ট্রাফিক কতটা দায়ী এই চালক কে বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে। অথচ আইনে রয়েছে সাথে সাথে ওই চালক কে আটক করার, কিন্তু টা না করে ট্রাফিক এর চুপ থাকবে ৫০ টাকা দিলে আর সার্জন চুপ থাকবে মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে। আবার কোনও সময় দেখা গেল কোনও গাড়ির ফিটনেস রয়েছে ৩০ জনের সিট ব্যবহার করার কিন্তু গাড়ি টি তে রয়েছে ৪১ জনের সিট, তাতে কী হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ কে মান্থলি(মাসিক চাঁদা) দিলেই সব বৈধ হয়ে যায়। চাঁদার পরিমাণ, ১০০০ টাকা। যা নিদ্রিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় পর্যন্ত যায়। এই সব বিষয় গুলো একজন অদখ্য চালক তৈরির জন্য কী সঠিক কারণ হতে পারে না ? স্বরাষ্ট মন্ত্রী কে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চালকের লাইসেন্স যিনি বা যাহার অনুমতিতে হয় অর্থাত্‍ সরকারী কর্মকর্তা
চালকের লাইসেন্স নিয়ে রয়েছে দুর্নীতির বিরাট ফাক ফোকর, যেমন- শুনে বিশ্বাস করতে ও কষ্ট হতে পারে আপনাদের কিন্তু এটাই সত্যি, অনেক প্রাচীন প্রথা এটা স্টাফ থাকা অবস্থায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করে ফেলে সকল শ্রমিক। যাতে করে কোনও রকমে চালক হতে পারলে খুব দ্রুত স্থায়ী ভাবে গাড়ি চালাতে কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই সব লাইসেন্স গুলো প্রায়ই ডুপ্লিকেট হয়ে থাকে। যদিও এক নাম্বার লাইসেন্স পেতে তেমন কোনও সমস্যা হয় না কিন্তু টাকার পরিমাণ একটু বেশি লাগে। এই ক্ষেত্রে মধ্যভোগী দালালরাই ভরসা। যাদের ৮০০০ হাজার থেকে ১৫০০০ হাজার টাকা দিলে কোনও ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই আরজিনাল লাইসেন্স দিয়ে দেয় ।

মাঝ পথে আরেকটা তথ্য দিয়ে রাখি মীরপুর বি আর টি থেকে লাইসেন্স পেতে যত কষ্ট, তত সহজ হলো যেকোনো যেকোনো আঞ্চলিক অফিস থেকে লাইসেন্স পাওয়া। আপনারা ইচ্ছা করলে এই কথাটার সত্যতা পেতে পারেন, যেকোনো চালক কে প্রশ্ন করবেন আপনার লাইসেন্স টি কোন বি আর টি থেকে ইস্যু করা ? দেখবেন উত্তর দিবে আউট অফ ঢাকার। আপনি জানেন কী, আঞ্চলিক অফিসে সরকারী কর্মকর্তা থাকে কত জন ? উত্তর হলো ৩ জন। বাকি সবাই হলো দালাল। এখন চিন্তা করুন লাইসেন্সের অবস্থাটা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে। একজন মন্ত্রীর পক্ষে কতদিন গিয়ে এই গুলো পাহারা দেওয়া সম্ভবপর বলে মনে করেন ? তারপর ও মন্ত্রী সাহেব যেদিন যাবেন সেদিন সব কর্মকর্তারা হয়ে যান কাকরাইল মসজিদের ইমাম । সেদিন আর কোনও দুর্নীতি তারা করেন না। এই হলো সরকারী কর্মকর্তাদের অনিয়ম। যার দরুন অযোগ্য চালক প্রতিদিন পয়দা হচ্ছে। আর বাড়ছে সড়ক দুর্গঠনা। অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ। ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।

চালকের স্থানীয় প্রভাব
চালকের স্থানীয় প্রভাবের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মনে করুন, কোনও একটি চালক তার গাড়িটি চালাচ্ছে, যখন সে তার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে সে রাস্তাটি হলো তার কোনও না কোনও আত্তয়ীও স্বজনদের বা নিজের আওতাধীন ক্ষমতা খাটিয়ে চলে যাওয়ার মত পরিবেশ তার হাতে রয়েছে সেক্ষেত্রে দেখবেন তার গাড়িটি অটোমেটিক বেপরোয়া হয়ে যাবে তখন তার গাড়িটি দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারে।

চালকের বয়স
আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি আপনারা কোনও ধরনের দুর্ঘটনার পর চালকের বয়স নিয়ে কোনও কথা বলেন না। যা খুব জরুরী। চালক যখন তার গাড়িটি চালাবে সেক্ষেত্রে তার বয়সটি অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। একটু খেয়াল করে দেখবেন বেশির ভাগ দুর্ঘটনা গুলো কম বয়সী কোনও চালক গুটাচ্ছে। এখন কথা হলো লাইসেন্সের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা টা নয় বয়সটা বিবেচনা করা খুব জরুরী। তাহলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।

চালকের অন্যমনস্কতা ও চালকের মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো
চালকের অন্যমনস্কতার জন্য আমাদের দেশের অনেক দুর্ঘটনা গটে থাকে। যেমন- চালক তার গাড়িটি চালাচ্ছে সে সময় তার পাশে বসে থাকা কোনও ব্যক্তির সাথে কথা বলা, পাশের সিটে বসে থাকা কোনও সুন্দরী সিটে কে তার গাড়ি চালানোর স্টাইলটি ভাব দিয়ে বুঝানো, চলতি পথে মোবাইল ফোনের অবাধ ব্যাবহার। এই বিষয় গুলো রোধ করা গেলে দুর্ঘটনা কমে যেতে পারে।

আজকাল অনেক চালক, গাঁজা বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে গাড়ি চালায়, যা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটা কারণ। এটাকে আমি মনে করি বয়সের দোষ। উঠতি বয়সের চালকেরা এই অপকর্মটি সাচ্ছন্দ্যে করে থাকে। আর এমন দুর্ঘটনা চালকের গাফিলতির জন্য হয়ে থাকে। এই বিষয়ে সরকারের কিছু করনীয় নেই। দরকার জন সচেতনতা ।

*পথচারীর সাময়িক ভুল বা অন্যমনস্কতা
*পথচারীর স্থানীয় প্রভাব।

উপরোক্ত বিষয় গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে পারলে সড়ক দুঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি মতামত প্রকাশ করছি । আশা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয় গুলো সমাধান কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

@সুলতান মির্জা