শুক্রবারের কাটাবন মসজিদ

সত্য প্রিয় বাঙালী
Published : 23 Feb 2013, 07:27 PM
Updated : 23 Feb 2013, 07:27 PM

কাটাবন মসজিদে(শাহাবাগের সবচেয়ে নিকটতম মসজিদগুলোর একটি) আজ জুম'আর নামায পড়তে গেলাম।মসজিদে ঢোকার সময় দেখলাম, একজন ব্যক্তি সবাইকে নামায শেষে শাহাবাগের উদ্দেশ্যে মিছিলে যাওয়ার জন্য বলল। যাই হোক, নামায পড়তে উঠলাম মসজিদের তিন তলায়। জুম'আর দু'রাকাত ফরজ শেষ করলাম।উঠে দাড়াব সুন্নত পড়ার জন্য। হঠাত বুলেটের আওয়াজ শুনতে পেলাম। একটানা ১২-১৫ টি বুলেটের আওয়াজ, রাবার বুলেট কিনা বলতে পারতেছিনা।
সবাই সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে মসজিদের জানালা দিয়ে নিছের দিকে কি হচ্ছে দেখতে লাগল। আমি সুন্নত পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। থেমে থেমে গুলি চলছেই। অমনযোগের সহিত সুন্নত শেষ করলাম কোন রকমে। পিছনে ফিরে দেখি একটা বাচ্চা ছেলে(৫-৬ বছর) কান্না করতেছে।

জানালা দিয়ে দেখতে গেলাম নিছে কি হচ্ছে। দাঙ্গা পুলিশের সদস্যরা বন্দুক তাক করে রেখেছে। একজন কে কয়েকজন পুলিশে মারতেছে। লোকজন নাক চেপে ধরে দৌড়ে মসজিদ থেকে বের হচ্ছে। নাক চেপে ধরার কারন বুঝলাম কিছুক্ষন পর। চোখ জ্বালা করতে শুরু করল।একজন বলল টিয়ার গ্যাস। এই প্রথম টিয়ার গ্যাসের স্বাদ পেলাম। মানুষজন সবাই নাক চেপে ধরেছে। আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। মনে হচ্ছে এক্ষুনি অজ্ঞান হয়ে যাব। কোন রকমে দৌড়ে মসজিদের হুজুরদের একটা রুমে ডুকলাম। ঐ রুমে দরজা জানালা অফ করে দেয়া হয়েছে, তাই টিয়ার গ্যাস আসতেছেনা। ১০ মিনিট পর রুম থেকে বাইর হলাম, তখনো মসজিদে অনেক লোকজন। তিন তলা থেকে কোন মতে নিছে নেমে আসলাম, অনেকের জুতা পড়ে আছে, চারদিকে পুলিশ। দৌড়ে চলে আসলাম বাসায়।

নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগে, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে। কিছু সোজা কথা বলি এবার। কিছু দিন আগে ব্লগার রাজীব কে হত্যা করা হয়েছে, একদল ওকে শহীদ উপাধি দিল, অন্যদিকে কিছু পত্রিকায় বের হল ওর ব্লগের কুরুচিপূর্ণ লিখা। অনেকে বলতেছে এসব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া উচিত,এরা বিভ্রান্তি চড়াচ্ছে।কিন্তু কেউ বলতেছেনা ব্লগার রাজীব তাহলে কী লিখেছে,ও যদি ভাল কিছু লিখে তাহলে সে লিখা গুলো প্রকাশ করা হোক, মানুষ জানুক যে ও ভালো। কিন্তু সরকার উলটো ওর লিখা গুলো ব্লক করে দিয়েছে। শাহাবাগের আন্দোলন কে পুঁজি করে একদল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে।
একটা কথা পরিষ্কার হওয়া দরকার শাহাবাগের আন্দোলন কে সমর্থন করা মানে নাস্তিক ব্লগারদের কার্যক্রম সমর্থন করতে হবে তা নয়।যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, খুন, গণহত্যা করেছে তাদের শাস্তি অবশ্যি মৃত্যুদন্ড। সে জামায়াতের আমির নিজামী আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর, যেই হোক। আমাদের সমাজের লোকগুলো বস্তুত রাজনৈতিক দলগুলোর অন্ধ সমর্থক।

THIS IS THE TIME TO PREVENT ALL KIND OF WORK AGAINST ISLAM AND ALSO PROTEST AGAINST WAR CRIMINAL 1971. THEN YOU WILL BE TRUE PATRIOT.