সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসা জরুরি

নাছির মাহমুদ
Published : 11 Oct 2012, 06:30 PM
Updated : 11 Oct 2012, 06:30 PM

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্হিবিশ্বে একটি সুনাম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কক্সবাজারের রামুর ঘটনা প্রবাহ আমাদের সে সুনামের মুখে কালিমা লেপন করেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিজ ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অনুরাগ এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। আমার যেমন নিজ ধর্মের প্রতি অনুরাগ আছে ঠিক তেমনি অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও তাদের নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অনুরাগ আছে এটা আমাদের বুঝতে হবে। তাই কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। আর এ গর্হিত কাজটি যদি কারও দ্বারা সংঘঠিত হয়েই যায় তবে তাকে শুধরে নেবার দায়িত্ব আমাদেরই। ছোট বেলায় একটি কবিতা পড়েছিলাম- "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে/ কামড় দিয়েছে পায়/ তাই বলে কী কুকুরের পায়ে- মানুষের কামড়ানো শোভা পায়?" আমরা যদি নিজেকে মানুষ মনে করি তবে অন্যায় কাজকে আরেকটি অন্যায় দিয়ে প্রতিহত না করে ন্যায়ের পথে চলা কী বাঞ্ছনীয় নয়?

বিশ্বনবী (স.) তাঁর জীবদ্দশায় অন্য ধর্মকে আঘাত দিয়ে বা জোরপূর্বক কাউকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন এরকম ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে যতটুকু জানি বিদায় হজ্বের ভাষণে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন- "ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দিও না।" এ যদি হয় মহানবী (স.) এর শিক্ষা তবে কেন আজ রামুতে এ ঘটনা?

আমার বিশ্বাস কোন ধর্মই অন্য ধর্মকে আঘাত করতে শিক্ষা দেয় না। তাই বাংলাদেশে রামুর মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সব ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে তাদের অনুসারীদের অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শিক্ষা দিতে পারেন। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আন্দোলনে তারা শরীক হতে পারেন অনায়াসে।