গত বছরের পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যৌন নিপীড়নের ঘটনার অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ প্রশাসন আমাদেরকে সময়ে প্রাচীরে বন্দী করে দিচ্ছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন- পহেলা বৈশাখে বিকাল ৪টার পর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবেনা।
বিশেষ এক দিনের নিরাপত্তার জন্য যদি বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমনা পার্ক এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে না দেওয়া হয় তবে তো সারা বৎসর বিকেল ৪টা পর থেকে মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে দেওয়া উচিত সারা বৎসরের নিরাপত্তার কথা ভেবে।
উনারা কি মনে করেন আমরা শুধু একদিন এর জন্য অনিরাপদ? আর সারা বৎসর নিরাপদ। আমাদের শুধু পহেলা বৈশাখেই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে আর সারা বৎসর এরকম কোন ঘটনা ঘটেনা। গত বছর যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটানা খুব বেশি রটেছে বলেই সবাই জানেন। কিন্তু আমাদের কান আর চোখের আড়ালে সারা বছর কতো অঘটন ঘটে তার খবর কে রাখে? পুলিশ প্রশাসন যে ঘটনা বেশি রটে সেই ঘটনার পেছনেই দৌড়ায় এটা আর আমাদের অজানা নয়। আর বরাবরই বড় বড় আশ্বাস এই করছি সেই করছি। কই? কিচ্ছু তো করতে পারলেন না পুরো এক বছরেও?
উনারা গত বছরের পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় যৌন নিপীড়নের ঘটনার অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ। আর পুলিশ প্রশাসনের সেই ব্যর্থতাই আজ আমাদের অনিরাপত্তার সবচেয়ে বড় কারণ। উনারা উনাদের গত ব্যর্থতাকে ঢাকতেই এবার আমাদেরকে সময়ের প্রাচীরে বন্দী করে দিচ্ছেন। যাতে আমরা শুধু দিনের বেলা নিরাপদ থাকি। অন্তত বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিরাপদ থাকি। রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তায় থাকি।
রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার জন্য না হয় সময়ের মাপকাঠি তৈরি করে দিলেন। সারা ঢাকা শহর কিভাবে আপনারা নিরাপত্তা দেবেন? কিভাবে নিরাপত্তা দেবেন সারা বাংলাদেশে?
আমি জানি খুব শিঘ্রই আপনারা ঘোষণা দেবেন যে, সমস্ত ঢাকা শহরে বিকেল ৪টার মধ্যে নববর্ষের অনুষ্ঠান (বর্ষবরণের উৎসব) সমাপ্ত করতে হবে। এর পর আবার প্রতিটি জেলায় জেলায় ঘোষণা দেবেন বিকেল ৪টার পর মধ্যে নববর্ষের অনুষ্ঠান (বর্ষবরণের উৎসব) সমাপ্ত করতে হবে।
কথা গুলি আমার মনগড়া কথা নয়। আমি আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই কথাগুলি আগাম বলছি। বিকেল ৪টার মধ্যে যদি বর্ষবরণের উৎসব সমাপ্ত হয়ে যায় তাতে উনাদের ডিউটির চাপ কমে যায়। উনাদের উপর আর তেমন কোন নিরাপত্তার চাপ পড়বেনা। না পরাটাই স্বাভাবিক। কারণ দিনের বেলা তো আর উনাদের নিরাপত্তার তেমন প্রয়োজন পরেনা। সাধারণত মানুষ দিনের বেলা নিজেদেরকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপদ মনেই করেন। কোন ক্রমেই নিজেদেরকে স্বাভাবিক অনিরাপদ বোধ করেননা। না করাটাই খুব স্বাভাবিক।
যেই সমটায় সাধারণ মানুষ খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিরাপদ সেই সময়টায় আপনাদের নিরাপত্তার তেমনটা প্রয়োজন পরেনা। একেবারে যে পরেনা তা কিন্তু আমি বলতে পারবোনা। এতো বড় মিথ্যে বলার স্পর্ধা আমার নেই। ছিলও না, হবেও না কোন দিন।
গত এক বছরে কতো জন ব্লগার খুন হলো। কই একজনের খুনিতো আপনার ধরতে পারেননি? গত রাতেও একজন ব্লগার পুরান ঢাকায় খুন হোন যা আপনার অতিত ব্যর্থতার আরো একটি সুফল । আর কতো ব্যর্থতার সুফল চান আপনার? আর কতো লাশ পেলে আর কাউকে লাশ হতে দেবেননা আপনারা ? আর কতো লাশ পেলে আপনারা আর কোন মানুষকে খুন হতে দেবেননা। যদি আপনার আর একটি মানুষ লাশ হওয়ার পর আর কোন মানুষকে লাশ হতে দেবেননা বলে ভেবে থাকেন তবে নিন আমাকে সর্বশেষ লাশ করে নিন। তারপরও নিরাপত্তা দিন প্রতিদিন, প্রতিটি মানুষের। সময়ের প্রাচীরে বন্দী করে নয়। স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা আর বাঁচার নিরাপত্তা দিন। আমি সর্বদা বিশ্বাস করি স্বাধীনতায়ই সুখ। জানি আপনারা দ্বিমত হবেন না।
জানি আজ আপনার সংবাদ মাধ্যামে এই করছি সেই করছি বলে আশ্বাস দিতে দিতে গলা শুকিয়ে ফেলবেন। আপনাদের কথা বলার সাথে থুথুর ছিটাতে ছিটাতে মাইক্রোফোন জ্যাম ধরিয়ে দেবেন। এতো গুলি বিষয় আপনাদের হাতে কোনটা ছেড়ে কোনটা নিয়ে কথা বলবেন আপনারা সম্ভবত নিজেরাই বুঝতে পারবেন না।
যেই জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। যাদের টাকায় আপনারা দামি স্কুলে বাচ্চাদের পড়ান মানুষের মতো মানুষ করার জন্য। বউয়ের জন্য দামি শাড়ি কিনে বৈশাখী উপহার নিয়ে যান। সেই জনগণের নিরাপত্তা যদি দিতে না পারেন তবে কেন সম্মানিত আসন দখল করে বসে আছেন। ছেড়ে দিননা নিজের মানবিক ও লজ্জা বোধ থেকে চেয়ারটা। চেয়ারের যোগ্যদের এই চেয়ারে বসার সুযোগ করে দিন। যাতে জনগণ উপকৃত হয়।
নির্লজ্জ বেহায়াপনা দিয়ে হয়তো সম্মানিত আসন দখল করে রাখা যায়। নির্লজ্জ আর বেহায়াপনার সুফল কিন্তু ভাল হয়না। তাই নিজেদের মান ইজ্জত রক্ষা করুন। রক্ষা করুন আমাদেরকেও।
জয়ন্তসাহা বলেছেনঃ
পুলিশ প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ওরা চিরকাল হুকুমের গোলাম হয়েই থাকবে। পহেলা বৈশাখের ঘটনায় যারা জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করা গেলেও গ্রেফতার করা যায়নি। কেন? তারা প্রশাসনের চামুন্ডাদের আত্মীয়। এ দেশে হোমরাচোমড়াদের জন্য কোনো আইন নেই।
কি লাভ বলে ভাই ? এ দেশে বেঁচে আছি, সেই তো ঢের…
নুর ইসলাম রফিক বলেছেনঃ
আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রতি উত্তরটা করতে খু বেশী দেরী করে ফেলেছি বলে। গত দুদিন আমি ব্লগে আসতে পারিনি বলে এই দেরীটা হলো।
যাই হোক আপনি বলেছেন-পুলিশ প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ওরা চিরকাল হুকুমের গোলাম হয়েই থাকবে।
আসলে উনারা যতটা নয় হুকুমের গোলাম তার চেয়ে বেশী গোলামি করেন। তার পিছনে উনাদের বিরাট বিরাট স্বার্থ আছে।
এই স্বার্থ হাচিলের উদ্দেশ্যেই উনারা অতিরিক্ত গোলামি করেন।
কি এমন স্বার্থ তা নিশ্চয়ই আপনার আমার দারনার বাহিরে নয়।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
বাহ! বাহ!! বহুত ভাল বলেছেন, ভাইয়া। পনের লক্ষ সরকারি কর্মচারীর বেতন সরকার সংগ্রহ করে তার নিজস্ব ব্যবসা বাণিজ্য থেকে। কিন্তু মাত্র দেড় লাখ পুলিশের বেতন হয় জনগণের টাকায়— আপনার এ অংশের সারমর্ম এই তো?
যে সরকারি চাকুরে পহেলা বৈশাখের দিন সরকারি ছুটির সুবাদে বউ বাচ্চা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রমনা পার্কের উদ্দেশ্যে, আর যাদের পুলিশ সহকর্মীরা দুইদিন পূর্ব থেকে মোতায়েন থাকেন তাদের নিরাপত্তার জন্য, সেই সরকারি কর্মচারীদের বেতন আপনারা দেন— এই তো? না পুলিশ ভিন্ন অন্যরা ওটা তাদের মতো করে সংগ্রহ করে নেয়?
বাহ, বাহ। দেড় লাখ পুলিশের সোয়া লাখ কনস্টেবল/হাবিলদার/সুবেদার তাদের বাচ্চাদের অত্যন্ত নামিদামি স্কুলে পড়ান। যেমন ধরুন, আমার ছেলেটা পড়ে গবর্নমেন্ট ল্যারেটরিতে। আর কন্সটেবল দেলওয়ারের মেয়েটা পড়ে রংপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুলে, হাবিলদার মহব্বতের দুটো ছেলেমেয়েই পড়ে নোয়াখালীর পুলিশ লাইন্সের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আর কনস্টেবল মুনিরের বাচ্চাটা পড়ে রাঙামাটির নানিয়ার চরের একটি কিন্ডাটগার্টেনে। এগুলো নিশ্চয়ই অত্যন্ত নামি না হলেও দামী স্কুল, তাই না? মাত্র সামান্য কয়েকজন পুলিশ অফিসারের বাচ্চাকাচ্চাদের জন্য ঢাকা শহরের সকল নামি দামী স্কুল কলেজগুলো সংরক্ষিত আছে, তাই তো? বলিহারি, আপনাদের! আপনার পর্যবেকক্ষণ, আশ্চর্য আপনাদের এক চোখা মন, পরশ্রীকাতর মানসিকতা (অবশ্য শ্রী থাকলে তো কারত হবেন)।
হ্যাঁ পুলিশের ব্যর্থতা আছে। কারণ, তাদের অর্জনগুলো আপনাদের চোখে পড়ে না। একজন অপরাধীকে পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রেফতার করলে, একটি যোগসূত্রহীন অপরাধ পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা আর অধ্যবসায় নিয়ে উদ্ঘাটন করলে আপনারা বলেন, হ্যাঁ, তাতো করবেই। এটা তাদের যে দায়িত্ব। এজন্যই তো তারা বেতন পান, ভাতা পান। আর সে বেতন ভাতা দেয় জনগণ তাদের গলদঘর্মের দ্বারা অর্জিত ট্যাক্সের পয়সা থেকে। এতে আবার ধন্যবাদের কি আছে, বাহবা পাওয়ারই কি আছে?
কিন্তু সরকারের অন্য বিভাগ যদি তাদের কাজটি করেন যেমন ধরুন ট্যাক্স অফিসার সরকারে জন্য লক্ষমাত্রার অধিক পরিমাণ রাজস্ব আদায় করল, সওজের প্রকৌশলী কয়েকশ কিমি রাস্তা পাকা করে দিল, ফায়ার সার্ভিস জ্বলন্ত বাড়ি পানি দিয়ে নিভিয়ে দিল, কিংবা অন্যকোন উর্দিধারী বাহিনী বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার করল, আপনারা বলবেন, বাহ বাহ এরা তাদের দায়িত্বের বাইরেও কি কাজই না করেছেন।তারা জনগণের বন্ধু কিংবা কঠিনতর দেশপ্রেমিক, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমাদের দুর্ভাগ্য কি জানেন? অপরাধ প্রতিরোধ কিংবা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বা রক্ষা বলতে কি বোঝায় সেটা আপনারা জানেনই না। সমাজের আর আর সেকটরে আপনারে জানা শোনার জন্য বিশেষজ্ঞ জ্ঞান লাগে। কিন্তু পুলিশিং জানতে কোন বিশেষজ্ঞ জ্ঞান লাগে না। সাধারণ জ্ঞান এর জন্য অনেক বেশি, তাই না? রাস্তার হকার থেকে শুরু করে অপারেশন থিয়েটারের সার্জন পর্যন্ত নিজের কাজটি না বুঝলেও পুলিশের কাজটি বোঝেন! তারা যাঞ্চনাহীনভাবে যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতে পুলিশকে এন্তার উপদেশ দিয়ে বসেন। পুলিশ তা বিনা বাক্যে মেনে নেয়। কারণ, আপনারা জানেন, পুলিশ তার কাজে ব্যর্থ। কারণ তারা মোটামুটি অজ্ঞ। ‘কীট যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটি ঘাসে’ পুলিশের খাতায় ‘তারও বড় ব্যর্থতার সাথে রোজ হয় পরিচয়!’ পুলিশের জন্য ‘যা হয়েছে শেষ হয়; শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয়!’ পুলিশ পৃথিবীর ব্যর্থতার মূর্ত প্রতীক!
কিন্তু নিতান্তই মূর্খ নয় যে জাতি, তারা জানে পুলিশের ব্যর্থতা কেবল শুধু পুলিশের ব্যর্থতা নয়; এ ব্যর্থতা বরং গোটা জাতির। কারণ নিরাপত্তা কিংবা অপরাধ প্রতিরোধ শুধু পুলিশের কাজ নয়। এটা প্রতিটি নাগরিকের কাজ, এমনকি এর প্রাথমিক দায়ভার নাগরিকরে একান্ত নিজের।
এ সম্পর্কে আমাদের পবিত্র সংবিধান কি বলে দেখুন-
সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিকদায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।
কিন্তু এর পরও যে দেশের সকল মানুষ আপনার মতো তাদের সকল নিরাপত্তার ভার কেবল পুলিশসহ সামান্য কয়েকজন আইন প্রয়োগকারীর উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত হতে চান, তারা তো পুলিশকে ব্যর্থ বলবেনই।
গত বছরের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মেয়েদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টাকারীদের পুলিশ গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে। টিভির পর্দায় অপরাধীদের ছবি বারংবার দেখানোর পরেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা শনাক্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছে। হ্যাঁ, এটা শতভাগ সঠিক। কিন্তু জনাব, এ ব্যর্থতা তো শুধু পুলিশের নয়। আপনি নিজেও তো এ ছবি দেখেছেন, আপনার আত্মীস্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়াপ্রতিবেশি দেখেছেন — যারা দেখেন কিংবা পড়েন তারা সবাই দেখেছেন। কিন্তু কেউই তো শনাক্ত করতে পারেন নি কিংবা তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে কোন তথ্যই দিতে পারেননি। এই যে লোকগুলোকে টিভির পর্দায় দেখা গেল, এরা না হয় দেশের দেড় লাখ পুলিশের তিন লাখ চোখকে ফাঁকি দিল। ধরে নিলাম এই তিন লাখ চোখ একটি ব্যর্থ সংগঠনের অকর্মন্য কর্মচারীদের চোখ। এদের বাইরেও যে প্রায় তিনলাখ কম ৩২ কোটি চোখ থাকল সারা দেশে এই শ্লীলতাহন্তারকরা কেউই সেই চোখগুলোর সামনে পড়ল না? নিশ্চয়ই পড়েছে। কিন্তু এই চোখওয়ালারা এতটাই কাণ্ডজ্ঞানহীন, প্রতারক কিংবা অপরাধীদের সহযোগী যে তারা দেখেও না দেখার ভান করেছেন, জেনেও সকল তথ্য পুলিশের কাছ থেকে। তাহলে এটা তাদের সাংবিধানিক ব্যর্থতা না অপরাধ ও অপরাধীদের প্রতি সহযোগিতা বলব?
নুর ইসলাম রফিক বলেছেনঃ
আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রতি উত্তরটা করতে খু বেশী দেরী করে ফেলেছি বলে। গত দুদিন আমি ব্লগে আসতে পারিনি বলে এই দেরীটা হলো।
আপনার এতো বড় মন্তব্যের উত্তর আমার ক্ষণিক সময় এবং মস্তিস্কে দেওয়া সমভব নয় বলে আমি লজ্জিত।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
এত সামান্যতেই যদি মাথা না কুলায়, তা হলে গোটা দেশ বা গোটা সমাজের অপরাধ সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামান দুঃসাহসিক ব্যাপার নয়কি?
তারপর ও আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার সীমাবদ্ধতার কথা শুরুতেই স্বীকার করেছেন। কিন্তু অধিকাংশই সেটা করে না।
নুর ইসলাম রফিক বলেছেনঃ
আপরাধ বা দোষ ক্রুটি সীমাবদ্ধতা স্বিকার করা মানুষের গুন।
তবুও মানুষ সেটা করতে পারেনা।
কারণ মানুষ গুন অর্জনের চেয়ে লজ্জাওকে বেশী ভয় পায়।
আর এই ভয়ই মানুষকে গোপনে নির্লজ্জ করে তুলে।
আমি নির্লজ্জ হতে চাইনা ভাই।