ধিক্কার মায়েদের ঐ কু-সন্তানদের

নুর ইসলাম রফিক
Published : 8 May 2016, 05:16 PM
Updated : 8 May 2016, 05:16 PM


বৃদ্ধাশ্রমের মায়েরা আজ পথ চেয়ে আছেন
তাদের কু-সন্তানরা আজ হয়তো মা দিবস উপলক্ষে তাদের দেখতে আসবে ভেবে।
হয়তো কয়েকটা কু-সন্তান ঠিকি তাদের মায়েদের দেখতে আসবে আর মায়ের সাথে একগুচ্ছ সেলফি তুলে এনে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিয়ে কুঁড়িয়ে নেবে মিথ্যে মা ভক্তির পরম শ্রদ্ধা ও প্রশংসা।

আবার অনেক কু-সন্তানরা মনেই রাখেনা যে তারা তাদের রেখে আসা বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের। যারা নিজের মাকেই মনে রাখতে পারেনা তারা মা দিবস কি ভাবে মনে রাখবে একটু ভাবুন। তবুও হয়তো এই কুসন্তানদের মায়েরা পথের পানে তাকিয়ে আছেন এই বুঝি এলো লক্ষি সোনা মানিক।

ধিক্কার মায়েদের ঐ কু-সন্তানদের যারা মা বাবাকে বুঝা মনে করে টাকার গরম দেখিয়ে রেখে আসে বৃদ্ধাশ্রমে। আর বৎসরে দু- একদিন আহ্লাদ উতলায়ে উঠে ছুটে গিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে নিজেকে সু-সন্তান হিসেবে তুলে ধরেন।

দেশের অনেক গুণী জনেরা বলেন এই কু-সন্তানদের মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রম এর জীবন থেকে মুক্তি দিতে হলে দেশের সব গুলি বৃদ্ধাশ্রম বন্ধ করে দিতে হবে। তাতেই আর এই কু-সন্তানরা মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে যেতে পারবেনা।

মা বাবা বৃদ্ধাশ্রমে বেচে থাকেন ঠিকি কিন্তু ঐ কু-সন্তানদের সাথে থাকলে হয়তো মা বাবা আপন সন্তানের ও সন্তানের বউয়ের অত্যাচারে আত্মহত্যা করবেন। না হয় আপন ছেলে ছেলের বউয়েরা মা বাবাকে খুন করে লাশ গুম করে দেবে। যে সন্তাররা ও সন্তানের বউরা মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতে দ্বিধাবোধ করেনা, সেই সন্তানরা মা বাবাকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করবে বলে আমার মনে হয়না।

বৃদ্ধাশ্রম একটি মানব সেবা মূলক প্রতিষ্টান। কিন্তু কালের পরিবর্তনে আজ বৃদ্ধাশ্রম নামক প্রতিষ্ঠানটানটি হয়ে গেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে সে, দেশের বৃদ্ধাশ্রম গুলি বাণিজ্যিক হয়ে যাওয়াটা অবাক হওয়ার বিষয় না আজ।

তবে আমাদের দেশে কয়েকটা মানব সেবা মুলক বৃদ্ধাশ্রম আছে। যা তুলনা মুলক ভাবে খুবই কম। আশা করি আমাদের সমাজের সামর্থবান ব্যক্তিগন এগিয়ে আসবেন বৃদ্ধাশ্রম নামক মানব সেবায়। এগিয়ে আসবেন মায়েদের সু-সন্তানরা। যারা নিজের মা বাবাকে মা বাবার স্থানে রেখেই দ্বায়ীত্ব নেবেন শত শত অসহায় মা বাবাদের।

মায়েদের ভালবাসা পাবার এবং দেবার জন্য কোন দিবস লাগেনা।
হাজার বর্গ মাইল দূরে থেকেও যেমন মায়েদের ভালবাসা দেওয়া যায়, ঠিক তেমন মায়েদের ভালবাসা অনুভবও করা যায়।

সকল মায়েদের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা নগণ্য এক মায়ের সন্তানের থেকে।