অনেকদিন পর ঢাকা এলাম। যদিও কয়েক বছরে কিছু জায়গায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। জীবনের যে বড় অংশটা কেটেছে তা হল ঢাকা বিশ্ববিদদ্যালয় এলাকা। ছাত্র জীবনের নানা স্মৃতি বার বার জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ভাসছিল। সেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, নিউমার্কেট, এলিফেন্ট রোড ঘুরছিলাম। মানুষ আর মানুষের মাঝে নিজের চিন্তা-ভাবনা গুলো শূন্যতা অনুভব করছিলাম।
সায়েন্স ল্যাবের সামনে ওভার ব্রিজ থাকলেও কেউ পারাপার হচেছ না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিচের অনেক মানুষের সাথে ঠেলাঠেলি করে রাস্তা পার হচ্ছে। আমি ধীর পায়ে ওভার ব্রিজের উপরে উঠলাম। আহা! কি সুন্দর ঢাকা! মানুষ আর যানবাহনের অদ্ভুত শহর! হেঁটে হেঁটে অনেকটা পথ ঘুরলাম।
রাস্তার দুই পাশে রাখা ঢাকার মেয়রদের কাছ থেকে আসা নতুন অতিথি ডাস্টবিনদের দেখা পেলাম। তাদের দিকে তাকিয়ে আমি নিজেই লজ্জা পেলাম। এতোগুলো ডাস্টবিন কিন্তু কেউ সেখানে ময়লা ফেলছে না। আশেপাশে ফেলছে। ডাস্টবিনগুলো আমাকে দেখে হেসে দিল। আমি একটি আধুনিক ডাস্টবিনের ছবি তুললাম।
আমরা বাংলাদেশিরা কাগজে কলমে কিংবা মুখের কথায় অনেক বড় বড় কথা বলি। জীবনের বাস্তবতায় আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন হতে অনেক সময় লাগবে। আরো কয়েকশ বিন দিলেও ঢাকা শহর পরিস্কার হবে না। আমাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মন মানসিকতা থাকতে হবে। জনগণের দায়িত্ব আর সচেতনতাই পারে চারপাশের পরিবেশটাকে সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করতে।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
ভাই, আমরা তো ময়লা পেটের মধ্যে রেখে দিতে অভ্যস্ত। তাই ঐ ডাস্টবিনের খবরও রাখি না।
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত নুরুন নাহার লিলিয়ান দিদি,সেদিন আমি ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহ কাজী শহীদ শওকত দাদার বাড়িতে যাওয়ার পথে এই বিন গুলো দেখলাম৷তখন ভাবছিলাম যে, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্লাইওভার গুলো দিয়েছে মানুষের সুবিদার জন্য,সেই ফ্লাইওভার গুলো মানুষ ব্যবহার করেনা৷আর এই বিনতো শুধু বর্তমান ডাকবাক্সের মত দাঁড়িয়ে থাকবে,কেউ ব্যবহার করে কিনা সন্দেহ৷এই হলাম আমারা বাংগালী৷ধন্যবাদ দিদি ভালো থাকবেন৷
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেনঃ
শ্রদ্ধেয় নিতাই দাদা এবং রাজজাক ভাই।।। কি বলবো কালকে চিটাগাং ফিরে এলাম কতো রকমের
কিছু যে মাথায় নিয়ে। আমাদের প্রতিটি জায়গায় অনিয়ম ট্রেন,বাস বেবিট্যাক্সি , রাস্তাঘা,, আর মানুষ। নিজের চোখে দেখে এলাম এতো গুলে বিন দাড়িয়ে আছে আবর্জনাহীন আর সবাই আগের মতোই এদিক সেদিকে ময়লা ফেলছে।
হোসাইন রাকিব বলেছেনঃ
সমগ্র বাংলাদেশই এই অপচয়ের সাক্ষী।এই সকল উন্নয়ন সামগ্রীর অবচয়জনিত সময় খুব কম। কিছুদিন পর এগুলো অবচয়িত বলে স্ক্র্যাপ ভেলুতে বিক্রি হবে। দায়িত্ব পালন ও পকেট পূজা দুটোই চমতকারভাবে সুসম্পন্ন হবে। মাঝখান দিয়ে বোকা পাবলিক যতটুকু লাভ করা যায়, তাও নিশ্চিত করতে পারেনা। এরাই নেতা নির্বাচন করে, এদের মামা চাচা ছেলে মেয়ে ভাই বোনেরাই নেতা, মন্ত্রী, মেয়র , আমলা, শিক্ষক হয় এবং হবে। পুরো জাতির আর কতটুকুই বা আশা আছে? ধন্যবাদ আপনার সুন্দর লেখার জন্য।
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেনঃ
কথাগুলো সত্যি। আপনাকে ধন্যবাদ।
শফিক মিতুল বলেছেনঃ
আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে শুধু ‘ডাস্টবিন’ কেনো, কঠোর আইন করলেও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন হবে না।
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেনঃ
আমরা নিজেরা যতক্ষন না নিজেদের মন মানসিকতা উন্নত করতে পারবো ততোদিন দেশের উন্নয়ন হবে না।
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেনঃ
আমরা নিজেরা যতক্ষন না নিজেদের মন মানসিকতা উন্নত করতে পারবো ততোদিন দেশের উন্নয়ন হবে না। ‘