সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও আদালত অবমাননা

ওলি
Published : 6 March 2016, 12:24 PM
Updated : 6 March 2016, 12:24 PM

আপডেট: বিডিনিউজে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছাপা হয়েছে যার শিরোনাম হচ্ছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখেও বিএনপির সুর: খাদ্যমন্ত্রী |  প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি মন্ত্রী কামরুল তোলার পর  অ্যাটর্নি জেনারেল  বিচার নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। নিউজটা শেষ হয়েছে মন্ত্রী আবেগের প্রকাশ দিয়ে:-"এখনও প্রত্যাশা করি রায়টা ঠিক হোক। মীর কাসেম আলীকে ছেড়ে দিলে কলিজাটা ফেটে যাবে" ।

আদালত অবমাননার ভয়ে দৈনিক প্রথম আলো একটি গোলটেবিল আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ ছাপেনি।সংবাদপত্রটির প্রথম পাতায় সংবাদটির শুরূ হয় এভাবে, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিল বিষয়ে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত '৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ উল্লেখের পর লেখা হয়েছে ওই গোলটেবিল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বক্তারা আরও যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আদালত অবমাননাকর বিবেচনায় প্রকাশ করা হলো না
খাদ্যমন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে পৃথক বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেম আলীর আপীলের পূনঃশুনানির দাবি করেছেন। এটর্নী জেনারেলকে পূনঃশুনানিতে অংশ না নেওয়ার ও তিনি আহবান জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতিকে তার মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিচারাধীন বিষয় তথা সাব জুডিস বিষয়ে কথা বলা আদালত অবমাননা হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। কিন্তুু, খাদ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে ভীত নন বলে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজে বেরিয়েছে। নিউ এজ খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এভাবে ছেপেছে:-
'The fear of contempt proceedings would not deter me from telling the truth'
যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে মার্চের ৮ তারিখে আপীলের রায় হওয়ার দিন আদালত ধার্য করেছে। এ অবস্থায় নতুন করে শুনানির বিষয়ে কেবল আদালতই স্বিদ্ধান্ত নিতে পারে।