একটা কথা না লিখে পারলাম না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টা একাডেমিক ভবন আছে তার থেকে বেশি আছে শিক্ষক, শিক্ষিকা, অফিসার আর কর্মচারীদের থাকার জন্য কোয়াটার (বাসভবন) ! তারপর আবার তার চাষবাস করে খাবার জন্য আলাদা জমি থাকে কোয়াটারের সাথে! অবাক লাগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন ডিপার্টমেন্টে সেই ১৯৭০ সালে যে ক'টা সিট ছিল, এখন অব্দি তাই আছে। অথচ ছাত্র-ছাত্রী বেড়েছে বহুগুন। ভর্তির সময় ফর্ম বিক্রয় করে কামানো টাকার পরিমানও হলফ করে বলতে পারি বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে বেশি। এদের সীমানা এত বড় যে যা বিশ্বের কয়েকটা ছোট দেশের চাইতেও বড়! কিন্তু একাডেমিক ভবন নাই বললেই চলে ! অন্যদিকে, রাজশাহী কলেজে ছোট হলেও যে কয়টা একাডেমিক ভবন আছে সেই তুলনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন সত্যিই অপ্রতুল ! সিট বাড়ানো হয় না নানা রকম সংকটের কথা বলে। অথচ তারা প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার বস্তা বস্তা টাকা ঠিকই নিজেদের পকেটে পুরে নিচ্ছে! কিন্তু আইনে তো আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যা আয় হবে তার প্রতিটা টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে, কারন এটা একটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান !
আমাদের তরুনতরুনীরা আসনের অভাবে পড়তে পারবে না আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জনগনের টাকা নিয়ে আমোদপ্রমোদ করবে তা তো হতে দেওয়া যায় না। কী বলেন আপনারা? যদিও উচিত কথায় কারো কারো ঝাল লাগতে পারে। তাদের ঝালটাকে আরো বাড়িয়ে দেবার জন্যই লিখলাম। সত্যি কথা বলতে দোষ কথায়?