ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, তারপর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ নানা আন্দোলনে ছাত্রসমাজ মূল ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু একটা সময়ের পর কিছু কিছু গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করতে শুরু করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে কী? উপাচার্য-বিরোধী আন্দোলন যারা করছেন তারা বলছেন, উপাচার্য বা তার পক্ষের শিক্ষকরা স্বাধীনতাবিরোধী জামাত ও শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। একইভাবে উপাচার্যের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারাও আন্দোলনকারীদের মৌলবাদীদের সমর্থক বা পৃষ্ঠপোষক বলে সমালোচনা করছেন। ভারি অদ্ভুত । যারা আন্দোলন করছেন আর যারা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, দুটো পক্ষের অভিযোগ অভিন্ন হয় কী করে? আজ বিশ্ববিদ্যালয়টি গ্রীষ্ণকালীন ছুটি হয়েছে। ক্লাস পরীক্ষা হলের কার্যক্রম বন্ধ হলেও অনেক শিক্ষার্থী এখনো অনশন করছেন। কী হবে এসব শিক্ষার্থীর ? এরা কি আন্দোলন করতে করতেই….নিস্তেজ হয়ে যাবেন?