উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠে,রাজনৈতিক দল এবং দেশের কথা লিখতে লিখতে কোনো ব্যক্তিগত ঘটনা লিখার জন্য আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। কিন্তু মায়া হল অবশেষে। যেখানেই দেখি সোহেল তাজ এর নিন্দা, মানে পারছি না তাকে আমেরিকা থেকে এনে কবর দিয়ে দেই ,একেকজন মহা দেশপ্রেমিক রা যেভাবে তার সমালোচনা শুরু করেছেন তাতে করে ওই লোকটির আত্মহত্যা করার উপায় হচ্ছে।
এটা ঠিক যে বাবার মত শক্ত হতে পারলেন না তিনি । কিন্তু বাবার মতন অভিমানী রয়ে গেলেন । সেই মেজাজ , সেই চাল-ঢাল রয়েই গেল বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ এর।
জি আমি সেই তাজউদ্দিন আহমেদ এর কথা বলছি যার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব প্রথম সরকার ঘটিত হয় । তারই প্রতিদান স্বরূপ তাকে সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করা হয় ।
তিনি কী করেছেন আমার প্রশ্ন? পদত্যাগ?
হুমম অনেকেরই পছন্দ হবে না কারণ পদত্যাগ বাংলাদেশে বেশি হয় না কারণ গদি ছাড়তে এই দেশের মানুষরা প্রস্তুত নয়।
কম বেশি সবারই জানা যে কী কারণে সে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল । যেইভাবে অপমান করে তাকে বিদায় দিয়েছিল এই সরকার তা আর নতুন করে বর্ণনা করতে চাই না । এমন অপমানের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর চেয়ে ভাল কিছু বদ্ধ আশা করতে পারেন না ।
অনেকে বলেন তাজউদ্দিন সাহেবের মত সোহেল তাজ ধৈর্য নেই , প্রজ্ঞা নেই , দলের প্রতি কমিটমেন্ট নেই , আমি শুধু এতটুকুই বলব বঙ্গবন্ধুর সামনে যদি কেও তাজউদ্দিন সাহেবকে এরকম অপমান করতো তিনি তাকে শুধু দল নয় তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হতো , এখন সেটা তার ঘরের ছেলেই হক না কেন ।
আর তার মেয়ে শেখ হাসিনা কী করলেন আত্মীয়তার বন্ধনে কাবু হয়ে সেই অপমান চেয়ে চেয়ে দেখলেন এবং ছেলেটকে যেতে দিলেন ।
যেখানে দুই নেত্রীর ছেলেদের দুর্নীতিতে দিসেহারা দেশ সেখানে পরিষ্কার রাজনীতি করেও তাকে অপমান না করে থাকতে পারছি না । একোন নীতি ভাই আমাদের ? আমি রাজনীতির এই পরিবারতন্ত্র অংশটি ঘৃণা করি কারণ সবারই জানা এভাবে তারেক এবং জয়রা সুযোগ গ্রহণ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে । তবে কোনো নেতার ছেলে যদি সোহেল তাজ এর মত হয় তাহলে আমি স্বাগতম জানাব তাকে .
আরেকটা কথা অনেকেই বলছেন তিনি নাকি তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে বেইমানি করেছেন । ভাই না হেসে পারলাম না । যারা সাধারণ মন্ত্রী ,এম পি ক্ষমতায় থাকেন পাচ বছরে তারা কী করেন তা আমরা সবাই জানি ।এই সময় ধরে গরুর ঘাস কাটলেও দেশের অর্থনৈতিক মঙ্গল আসতো ।
আবার অনেকে বলেন তিনি কাপুরুষের মত চলে গেছেন । তাদেরকে বলব একটু বোঝার জন্য ।
তিনি যেতেন না যদি তিনি আমাদের রাজনীতিবিদদের মত নির্লজ্জ হতেন । কখনোই তার আসন ছেড়ে দিতেন না যদি অর্থ পিপাসু হতেন । তার আত্মসম্মানবোধ আছে বলেই তিনি চলে গেছেন
যাওয়ার আগে বলব তার বাবাকে হত্যা করেছি যা আমাদের জাতীয় অভিশাপ ,এবং তার ছেলেকে অপমান করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছি ।
আমরা জাতি হিসেবে সারাজীবন ঋণী এই পরিবারের কাছে এবং সাথে সাথে ক্ষমাপ্রার্থীও বটে
পরিশেষে একটু বলব কাপাসিয়া সম্পর্কে । আমি কাপাসিয়া সম্পর্কে বেশি কিছু জানতাম না এবং এলাকাটিও বেশি একটা উন্নত নয় তুলনামূলক ভাবে গাজীপুর বা এর আসে পাশে এলাকার মতন ।
কিন্তু আজকের পর থেকে এই এলাকা এবং মানুষের জন্য আমার সম্মান অনেক বেশি থাকবে কেননা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সৎ রাজনৈতিক পরিবার জন্মগ্রহণ করেছে এই মাটিতে ।