প্রকৃত নাস্তিক জামাত-শিবির নিজেরাই

পাপ্রদজ
Published : 23 Feb 2013, 05:00 PM
Updated : 23 Feb 2013, 05:00 PM

ব্লগার রাজীব হায়দার মারা যাবার পর থেকে জামাত-শিবির সাধারণ মানুষের মাঝে একটা রব তুলছিলো যে, ব্লগার রাজীব একজন নাস্তিক ছিলেন। অন্যান্য সকল ব্লগারও নাকি নাস্তিকই। শাহবাগের আন্দোলনরত পাবলিক নাকি নাস্তিক। দেশটা নাকি নাস্তিকে ভরে গেছে।

একটা অংশের মানুষ এটা বিশ্বাস করতে লাগলো। বাংলাদেশের মানুষ আর যাই হোক, নিজ ধর্মকে অবমাননা কিছুতেই সহ্য করে না। আর সেটারই সুযোগ নিয়ে জামাত-শিবির তান্ডবলীলা চালালো সারা দেশব্যাপী। যখনই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে ঘোষণা এলো এবার আন্দোলন প্রতি শুক্রবার বিকেল তিনটার পর থেকে হবে, ২৪ ঘন্টা নয়, তখনই রাতের মধ্যে মাস্টার প্ল্যান রচনা করলো শিবিরের দল।

শুক্রবার জাতীয় পতাকা পুড়ালো, ভাষা শহীদদের স্মরণে গঠিত শহীদ মিনার ভাঙলো, এমনকি এবার বায়তুল মোকাররমে ঢুকে গালিচাতেও আগুন দিলো ছাগুগুলা। ককটেল বিস্ফোরণ করলো। কাঁটাবনে এ্যাম্বুলেন্সে করে এসে গোলাগুলি, বোমা ফাটাফাটি করলো। একুশে হল, এশিয়াটিক সোসাইটিতেও হামলা করলো। সাংবাদিকদেরও রেহাই দিলো না।

এদের জন্য যদি কোনো গালিও দেয়া হয়, তাতে গালিরও অপমান হয়। নর্দমার ঘোলা পানি যে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তার চেয়ে দুর্গন্ধময় এসব কুলাঙ্গারগুলো। বাসি, পচা খাবার কিংবা বস্তির নালা, খাল-বিল থেকে যে ময়লার গন্ধ তৈরি হয়, এর চেয়ে নিকৃষ্ট এরা।

আমার বাবা একটা জিনিস সবসময় বলেন। যে আসলে একটা মতাদর্শে বিশ্বাসী, সে আসলে অন্যকেও সেটাই মনে করে। সেটা ভালো হোক বা খারাপই হোক। যেমন, কোনো স্বামী যদি স্ত্রীর উপর সন্দেহ করেন পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাহলে মনে করতে হবে ওই স্বামীই এতে লিপ্ত। উদাহরণটি দেয়ার কারণ হলো, আজ যে জামাত-শিবির দেশের আপামর জনসাধারণকে (যারা তাদের পক্ষে নেই) নাস্তিক বলে আখ্যা দিচ্ছে, আসলে সেটা তারাই। নাহয় কোন ধর্মের মানুষ নিজ ধর্মীয় প্রতিষ্টানে আগুন লাগায়? ভাঙচুর করে? কোরআনে একটা কথা আছে, ﴾سَوَآءٌ عَلَيۡهِمۡ أَسۡتَغۡفَرۡتَ لَهُمۡ أَمۡ لَمۡ تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ لَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٦﴿ [المنافقون: ٦] অর্থ, তুমি তাদের জন্য ক্ষমা করো অথবা না করো, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। অবশ্যই আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হেদায়েত দেন না। এসব বাণী কি ভুলে গেছেন জামাতের আমীর, আলেমগণ? এক্ষেত্রে হুমায়ূন আজাদ স্যারের একটা কথা খুব মনে পড়ছে – "মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক"।

আমি আগেরদিনের একটা লেখায় সাবধানতাস্বরূপ বলেছিলাম শুক্রবার জামাত-শিবির কিছু একটা নাশকতামূলক করতে পারে, আর ঠিকই সেটা ঘটলো। যদিও ফেইসবুকে বসে প্রজন্ম চত্বরের খবরাদির মাধ্যমেই বিষয়টা জানতে পারি। কিন্তু এতটা আঁচ করতে পারিনি যে ছাগুগুলো শহীদ মিনার বা জাতীয় পতাকার উপরেও হামলা করবে। এখন যদি কিছু কিছু মানুষের সতর্কতা এড়িয়ে যাই, তাহলে দেখা যাবে সেটাও ঘটবে। কেউ কেউ বলছেন, কালকের হরতালে নাকি জামালপুর আর কুষ্টিয়ায় কোরআন শরীফ পুড়িয়ে জামাত-শিবির দোষ চাপাবে তাদের ভাষায় তথাকথিত নাস্তিক ব্লগারদের উপর। আর আল-জাজিরা (জামাতের আন্তর্জাতিক মিডিয়া পার্টনার) নাকি বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করবে। তাহলে বুঝুন অবস্থা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বরাহের বাচ্চাগুলো?

শুক্রবারের এই তান্ডলীলা সম্পর্কে তথাকথিত বরেণ্য সাংবাদিক, সম্পাদক (বিএনপি, জামায়াতের ভাষায়) মাহমুদুর রহমান তার 'আমার দেশ' পত্রিকার সহকর্মীদের ইমেইলে লিখেছিলেন –

Dear friend,
we will be success to crush the Shahbagh movement soon by the Grace of Almighty Allah. I request you to stay at home during tomorrow's JUMA PRAYER (22/02/2013). Our activists are ready to blast bombs during aforesaid Prayer time at many mosque throughout the country including Dhaka and Shahbagh.
Pray for me."

এটি যদি সত্যি হয়, তাহলে এক্ষণি ওয়ারেন্ট এনে বেটারে গ্রেফতার করুক সরকার। যে ব্যক্তি কিনা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করার প্রসঙ্গ তোলে তাকে হয় ফাঁসী নাহয় পাকিস্তানে প্রেরণ করা উচিত।

আরেকটি বিষয় দেখা উচিত সাধারণ মানুষের। সেটা হলো, আগামীকালকের হরতালে বিএনপি যখন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, তার অর্থ কি এই দাঁড়ায় না যে তারাও শহীদ মিনার ভাঙা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো, মসজিদে হাঙ্গামার সাথে লিপ্ত? তারাও জামাত-শিবিরের মতোই দেশদ্রোহী? জনগণ আশা করি সেটা ভুলবে না নির্বাচনের সময়।

এই আন্দোলনের ফসল হয়ত নিচের কোনো একটা হবে –

১ . আমরা জিতে যেতে পারি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি এইবারও পরাজিত হবে। আমি বলতেছি না দেশের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে। বাংলাদেশ তখনও গরীব থাকবে। দুর্নীতি থাকবে। মন্ত্রীসভায় আবুলের মতো দেশপ্রেমিক আর মুহিতের মতো মাল থাকবে। ৭২ এ জাসদের বাঞ্চদরা দেশের সাথে যে চূড়ান্ত বেঈমানি করছে, সেরকম একটা গ্রুপও উঠে মাথাচারা দিতে পারে। অবশেষে এই মিথ্যে জয় দিয়ে আমরা কী করবো ( ৭২ এর "এই মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কী করবো"; একই মদ, শুধু বোতলটা নতুন ) নিয়ে অনেকে হা হুতাশও করতে পারে। মোল্লা তখনও থাকবে। ৪২ বছরের জঞ্জাল ৪২ দিনে যাবে না। চোরাগুপ্তা হামলা হবে। শীতকালে রাতের বেলা ধর্মের নামে হাউকাউ অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যেই চেতনায় লোকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলো সেটা জীবিত থাকবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার যে মাস্টারপ্ল্যান জামাত করছে সেইটা আরো দু'শ বছর পিছায়ে যাবে। ব্যাপার না, এইবার পুন্দাইতে পারলে দু'শ বছর পরেও পারবো। ছাগলদের একটা ব্যাপার ভালো, পেটে একাডেমিক বিদ্যা থাক না থাক, সব ছাগলই এক। খেয়াল করে দেখবেন ৪২ বছর আগের ম্যাৎকার আর এখনকার ম্যাৎকারের মধ্যে কোন বেসিক ডিফারেন্স নাই। জামাত প্রধান বিরোধী দল হবে, তারা মাঝেমাঝে মাথাচারা দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। কিন্তু এই জয় পাবার পর আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করতে পারবো, সরকারও আমাদের সাহায্য করবে। আপনি বাংলায় কথা বলতে পারবেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন, বাংলা গান গাইতে পারবেন, কপাল ভালো থাকলে নাস্তিকও হতে পারবেন।

২ . সরকার পিছু হটতে পারে। জনগনের কাছে আওয়ামীলীগ চিরদিনের মতো বেঈমান আর কাপুরুষের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। মোল্লারা মাথা উচু করে হাটবে, আমরা মাথা নিচু করে হাটবো। ধর্ম পাঠ্যবই এর পেট মোটা হবে, সমাজ বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ সেকশনটা তুলে নেয়া হবে। স্বাধীন ইসলামী বাংলাদেশের রুপকার গোলাম আজমের জন্মদিনে শিশুদিবস পালিত হবে। বেপর্দা মেয়েদের রেপটেপ করলে কোন কেসটেস হবে না। দেশ সহী মুসলিম কান্ট্রিতে পরিণত হবে, কারন অমুসলিমদের হয় মুসলমানে পরিণত করা হবে, অথবা দেশত্যাগে বাধ্য করা হবে অথবা খুন করা হবে। জামাত রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আর মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি প্রধান বিরোধী দল হয়ে থাকবে। চুরি করলে হাত কেটে দেয়া, ধর্ষণে ৪ জন সাক্ষী যোগাড় করে আনাসহ সহী মুসলিম আইন সংসদে পাস হবে। যেদিন দেশে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করা হবে, যেদিন পতাকায় চানতারা যোগ করা হবে, জাতীয় সংগীত বলে কিছু থাকবে না এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠিত হবে সেদিন আমরা হরতাল টরতাল ডাকবো। এবং বলা বাহুল্য হরতাল নির্মমভাবে প্রত্যাখ্যাত হবে। আমরা আস্তে আস্তে আবার পূর্বপাকিস্থান হয়ে যাবো। কিন্তু যেহেতু শেখ মুজিব নাই, তাজউদ্দীন নাই, ওসমানী নাই; সুতরাং সেখান থেকে আর পরিত্রান পাবো না।

In either case, BNP is doomed. Forever.

তাই, এতোদিন যারা চুপ ছিলেন, এতোদিন যারা মেনে নিয়েছিলেন যে শাহবাগে নাস্তিকরা সমাবেশ করছে, এই আন্দোলন ইসলামকে বাংলাদেশ থেকে হটানোর পাঁয়তারা হচ্ছে, তারা আজ আর চুপ থাকতে পারেন না। কারণ আজ ওরা আপনার দেশের পতাকার উপর হামলা করেছে। আজ ওরা যেই ভাষায় আপনি, আপনার সন্তান কথা বলছে, সেই ভাষা যারা এনে দিয়েছিলো সেই ভাষা শহীদদের স্মরণীতে আঘাত করেছে। আর দেশের প্রতি যদি এতটুকুও মমত্ববোধ না থাকে তাহলে নিজ ধর্মের কথা চিন্তা করুন। ৯০ শতাংশ মুসলিমদের দেশ বাংলাদেশে ওরা আজ কতটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ হলে আগুন জ্বালায়, ভাঙচুর, বোমা-ককটেল বিস্ফোরণ করে? সামনে হয়ত কোরআন শরীফ পুড়িয়ে সেটার দায়ও দেবে শাহবাগের ব্লগারদের উপর। এতো কিছুর পরেও কি আপনি চুপ করে থাকতে পারেন? আপনার দেশ, আপনার দেশের মা, আপনার ধর্মের প্রতি আপনার কি কোনো দায়িত্ব নেই? কোনো উত্তরদায়ীত্ব নেই কি আপনার?

নইলে কিন্তু ইংরেজদের divide and rule policy-ই আবার ঘটবে। এ নিয়ে একটা গল্প দিয়ে শেষ করলাম –

এটি আমাদের বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মাদ্রাসা, আল জামি'য়া আল ইসলামিয়া, পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত মহাপরিচালক, আমাদের অনেকেরই উস্তাদ, আল্লামা মুফতী আবুল হালিম বোখারী সাহেব এক বয়ানে আমাদেরকে বলেছিলেন।

একজন কৃষক তার জমিনে আখ চাষ করত। পাশে এক রাস্তা। একদিন দুপুরে পাশে দিয়ে ৩ জন মানুষ যাচ্ছেন। একজন মাওলানা, একজন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত আর একজন সাধারণ বাংলাদেশী মানুষ।
তাদের মধ্যে একজন বলল, এক কাজ করি, পাশে তো কোন দোকানপাট নাই, খাবারের কোন ব্যবস্থাও নেই। আর এই ক্ষেতের মালিককেও দেখা যাচ্ছে না। চলেন, আমরা ৩ জন ৩টা আখ হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। এ সময় হঠাৎ কৃষক এসে হাজির।

দেখল এরা ৩ জন, আর সে একা। সে একা তাদের সাথে পেরে উঠবে না। তখন তার মাথায় খেলল, ইংরেজদের সেই কুখ্যাত divide and rule policy. অর্থাৎ প্রথমে মানুষকে বিভক্ত কর এবং অতঃপর তুমি শাসন কর।

কৃষকটি এসে প্রথমে বাংলাদেশীটাকে ধরল। বলল, উনি মাওলানা সাহেব। উনি আমার হুজুর। সারাদিন কোরআন হাদীস পড়েন। আমার তো উচিত ছিল উনার কাছে গিয়েই আখ দিয়ে আসা। আমি দিতে পারি নাই তাই উনি নিজে এসে আখ নিয়েছেন। উনি আসাতে তো আমার ফসলে বরকতও হয়ছে।

আর উনি হলেন ব্রাক্ষণ পণ্ডিত। উনি হিন্দুদের গুরু। উনি উনার ধর্ম পালন করেন, পুজা করেন, ভাল কাজ করেন। উনিও মেহেরবানী করে আখ নিয়েছেন, ভালই করেছেন।

কিন্তু তুই বাংলাদেশী কেন আখ নিলি ? তুই তো কোন ভাল কাজ করছ না, সারাদিন আউল ফাউল কাজ নিয়ে পড়ে থাকস। তোর তো কোন অধিকার নেই আমার ক্ষেতের আখ খাওয়ার। এই বলে সে তাকে মারা শুরু করল এবং কুপোকাৎ করল। এদিকে মাওলানা সাহেব আর ব্রাক্ষণ পণ্ডিত চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই ভেবে যে তাদেরকে অন্তত সে কিছু করবে না।

এরপর কৃষক ধরল ব্রাক্ষণ পণ্ডিতকে এবং বলল, উনি মাওলানা সাহেব, আমাদের ইসলাম ধর্মের গুরু, আমার হুজুর । তুই তো আমার ধর্মের কেউ না। তুই কোন সাহসে আমার আখ খেতে আসলি ? এতে ব্রাক্ষণ পণ্ডিত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকেও কৃষক কুপোকাত করে ফেলল। মাওলানা সাহেব এবারও কিছু কইলেন না, ভাবলেন তিনি নিশ্চিত পার পেয়ে যাচ্ছেন।

২ জন শেষ। এবার মাওলানা একা। কৃষক বলল, সাধারণ বাংলাদেশী মাসয়ালা জানে না। সে জন্যই আখ নিছে। ব্রাক্ষণ পণ্ডিতও ইসলামের মাসয়ালা জানে না, এজন্যও সেও আখ নিছে। তুমি তো আলেম, তুমি তো মাসয়ালা জান, কোরআন হাদীস পড়ছ, তুমি কেন আরেকজনের ক্ষেতে এসে আখ খেতে আসছ ! এই বলে সে তাকেও কুপোকাত করল।

মূলত ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে এই divide and rule policy টাই প্রয়োগ করেছিল। সর্বপ্রথম মানুষদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দিল এবং একে অপরকে তাদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিল। আর তারা সিংহাসনের গদিতে বসে বসে নিশ্চিন্তে দেশ শাসন করতে লাগল।

আজ দেশের পরিস্থিতি দেখে আমার আবুল হালিম বোখারী হুজুরের সেই বয়ানের কথা মনে পড়ে গেল। কত মানুষ যে কত ফাঁদে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে, দিক বিদিক জ্ঞানশূণ্য হচ্ছে, ঈমান হারা হচ্ছে, তার কোন হিসাব নেই। আর কিছু সুবিধালোভী মানুষ তার সিংহাসনের আরামের গদিতে এসি রুমে বসে এর সুফল ভোগ করছেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন, আমাদের ঈমানী শক্তিকে আরও সতেজ করুন, ঈমানী বল দান করুন এবং সত্যের বিজয় ঘটান। আমিন।