'রক্ত দিন জীবন বাঁচান' এই স্লোগানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে গত বছর ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিলো সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বিন্দু। দক্ষিণ খুলনার কয়রা উপজেলার ইতিহ্যবাহী চান্নির চক এল সি কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছিলো এ অঞ্চলের একমাত্র সেচ্ছাসেবী রক্তদাতা এই সংগঠনটি।
ছবি: পিন্টু বাছাড়
ছবি: পিন্টু বাছাড়
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে গঠিত হলেও পরবর্তীতে আশেপাশের এলাকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অনেক শিক্ষার্থীরাও এই সংগঠনের সঙ্গে প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে জড়িত হয়েছেন। এছাড়াও তরুণদের উদ্যোগে গঠিত এই মহান সংগঠনের সঙ্গে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও যুক্ত আছেন।
হাতিয়ার ডাংগা শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম মাঠে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে।
সমীরন মণ্ডলকে আহ্বায়ক, জগবন্ধু মণ্ডল, পলাশ বাছাড়, পিন্টু বাছাড়, সুমন মণ্ডল এবং শোভন লাল বৈরাগীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
ছবি: পিন্টু বাছাড়
ছবি: শুভ্রদেব সরকার
সূূূচনার পর থেকে এই সংগঠনের সদস্যরা নিয়মতিভাবে সেচ্ছায় রক্তদান করে যাচ্ছেন। যখনি কোনো জরুরি রক্তের প্রয়োজন পড়ছে তখনি বিন্দুর সদস্যরা কালক্ষেপণ না করে রক্ত দেওয়ার জন্য ছুটে যাচ্ছেন। এভাবে গত এক বছরে বিন্দুর সদস্যরা রক্তদান করে অনেক মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচিয়েছেন।
রক্তদান করার পাশাপাশি এই সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক সচেতনামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে।
মরনোত্তর চক্ষুদান দিবসে সংগঠনটি র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিন্দুর সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
সংগঠনের প্রধান উদ্যোক্তা মেডিকেল শিক্ষার্থী তন্ময় মণ্ডল বলেন, "সকলের সাহায্য ও সহযোদ্ধাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাক এই বিন্দু। এই বিন্দু থেকে সিন্ধুর সৃষ্টি হোক সেই প্রত্যাশা করি।"