সাহস আর সাহায্য দরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য

প্রবীর বিধান
Published : 4 March 2013, 08:54 AM
Updated : 4 March 2013, 08:54 AM

মুক্তিযুদ্ধ ও শাহবাগের চেতনা নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। পথে-ইন্টারনেটে আমরা প্রতিবাদ করছি জামায়াত-শিবির আর তাদের দোসরদের জঘন্য আচরনের বিরুদ্ধে; রাস্তায়-থানায় আইনশৃংখলা বাহিনী হামলার শিকার হচ্ছে এসব জানোয়ারদের; হিন্দু-বৌদ্ধদের বাড়ি-দোকান ও মন্দির ভেঙে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে; যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে ভেঙে আগুন দেয়া হচ্ছে; দেশটাকে অকার্যকর প্রমান করে সরকারকে এরা বাধ্য করতে চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে, জামায়াতের শীর্ষ নেতা যারা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী তাদের মুক্তি দাবী করে চলেছে এইসব রাজাকারের বাচ্চারা।

শাহবাগের সুর পৌঁছে গেছে ঢাকা ছাড়িয়ে দেশের আনাচে-কানাচে, এমনকি নানা দেশে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে বাংলাদেশীরা এই বিচার বন্ধে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে; সব রাজাকারের মৃত্যুদন্ড চাই আমরা। এদেরকে আর সহ্য করা হবেনা। এখন আমাদের শক্তি বেশী, এখনই এদের নির্মূল করতে হবে।

এই যুদ্ধে আমরা নিরস্ত্র, কারন আমরা অহিংস জীবনযাপন করি। রাষ্ট্রীয় বাহিনী তার কাজ করছে। তারা যদি ব্যর্থ হয় তবে আমরা জনগন অবশ্যই "যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা" করবো। কথাটা একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের আগে জনগনকে বলেছিলেন। আর বাংলার জনতা সেই যুদ্ধ জয় করেছিল।

কিন্তু এদের বিচার শেষ হবার আগেই তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ মুজিব নিহত হওয়ায় ছাড়া পেয়ে যায় প্রায় ১২০০০ রাজাকার, আল-বদর-আল-শামস নেতা-কর্মী। সেই মহান কাজটি করে এবুং জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার লাইসেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে একটা পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়। কেউ কেউ লন্ডন-আমেরিকা পালালেও, নাটের গুরু গোলাম আযম থেকে যাতাতার বিশাল দলবল নিয়ে আর দিনকে দিন খামচে ধরে বাংলাদেশের পতাকা, শিকড় ছড়িয়ে দেয় সবখানে যেন কেউ তাদের উৎখাত করতে না পারে।

একটা আধাখেঁচড়া বাংলাদেশে আমার জন্ম হয়। আর তাই ছোটবেলা থেকেই আমি ঘৃনা করি এসব রাজাকারদের যারা মীরজাফরের মত এদেশের মানুষ হয়েও পাকিস্তানের পতাকাতলে যাবার জন্য বাঙালী নিধনযজ্ঞ চালিয়েছিল।

পরবর্তীতে রাজনীতিতে নানা পট-পরিবর্তন হলেও জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি কোন সরকার। কিন্তু এবার আর রক্ষা নেই তোদের। এবার তোদের বিচার হবে এদেশে, ফাঁসিও হবে, কিন্তু কবর হবে পাকিস্তানের মাটিতে।

আর সেই বিচার থামাতে গিয়ে এইসব জানোয়ার যদি সরকার ও জনগনের উপর আক্রমন করে তবে তাদের সব কয়টা নেতাকে এক নিমিষে করে মেরে ফেলা উচিত। যারা দেশের প্রচলিত আইন মানবেনা, পাকিস্তানের গুনগান গাইবে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিবে, তারাই যদি সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগনকে ভয় দেখায় তাহলে এদের জন্য মায়া কিসের? এদের গুলি করে মেরে ফেলতে বাধা কোথায়?

এদের নৃশংস আক্রমনে যেসব পুলিশ ও আন্দোলনকর্মী ও সাধারন মানুষ মারা যাচ্ছেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা, স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায়। এদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ও বাসস্থান তৈরিতে সাহায্য করতে আমরা যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব করবো এবং আমাদের সহমর্মীদেরকেও জানাবো আমাদের কর্মতৎপরতা সম্পর্কে।