ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কারনে আমার মতো অনেকেই আজকাল ব্লগে বিশেষ একটা লেখেন না। ফেসবুকে হয়তো এক-আধটু লেখেন। আর খুব সাহসীরা এখনো লিখে চলেছেন বিরামহীনভাবে। মূলধারার দৈনিক বা টিভি চ্যানেলগুলো যেহেতু সবকিছু ছাপেনা বা দেখায় না, তাই দেশের একটা পূর্নরূপ দেখতে ব্লগ প্লাটফর্ম আর ফেসবুকই ভরসা।
সেই ভরসার জায়গাতেও কয়েক বছর ধরে হায়েনাদের আনাগোনা, কোথাও বা সরব উপস্থিতি — তা সে বি এনপি, জামায়াতি বা তাদের লেজুড়বৃত্তি করা জংীই হোক বা মহাপরাক্রমশালী সরকারি দলের কর্মীই হোক! ফলে দূর্বল আইনের শাসন, দুর্নীতি, ধর্মের অবমাননা, ভুল ব্যাখ্যা বা সাম্প্রদায়িক উস্কানী, নারী বিদ্বেষী কর্মকান্ড, কলুষিত রাজনীতি, মিথ্যা প্রচারণা, বিষাক্ত খাবার, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, পরিবেশের দূষণ ও ক্ষয়, বা সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে কথা বলা ও লেখার পরিমাণ ও মান কমছে বৈ বাড়ছে না।
সহিংস ক্ষমতাবান্দের দাপট আর হুমকির কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সংখ্যাগরিষ্ঠ অহিংস মানবিক মানুষেরা রাস্তায় নামতে পারছেনা। আর চলমান বাস্তবতা নিয়ে যারা বীতিশ্রদ্ধ তাদের বেশিরভাগের ধারণা এই পরিস্থিতি দ্রুত বদলাবার নয়; আন্দোলন, আলোচনা বা সমালোচনা করে এইসব ভয়ংকর গোষ্ঠীদের থামানো যাবেনা।
এরা খুনে। এদের সাথে টেক্কা দিতে পারে কেবল আইনশৃংখলা বাহিনী, যারা নিজেরাই চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত ও যুগ যুগ ধরে রাজনীতিবিদদের হাতিয়ার হিসেবে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সুখের বিষয় হলো এসব হায়েনাদের সংখ্যা খুব বেশি না। সমস্যা একটাই; এরা সহিংস, অমানবিক এবং এদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। চোরে চোরে মাসতুত ভাই কিনা!
সরল কথা হলো শুধুমাত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মাধ্যমেই এদের দাবিয়ে রাখা সম্ভব, আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব। সুতরাং কলম চলবে, দ্বিধাহীন। সহযোদ্ধারা কেউ আক্রান্ত হলে সমমনারা নিশ্চয়ই এগিয়ে আসবে তাদের সাহায্য করতে।