একুশে ফেব্রুয়ারির নারী নির্যাতনকারীদের ধরতে পুলিশ গড়িমসি করে কেন?

প্রবীর বিধান
Published : 19 Sept 2015, 03:02 PM
Updated : 19 Sept 2015, 03:02 PM

অদ্ভুত লাগে যখন দেখি ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার নারীদের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা কেন যেনো একটু অপারগতা দেখায়। আর জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্তা তো আছেই। মামলা নেয়া থেকে শুরু করে, তদন্ত, আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া…সব কিছুতেই একটা অনীহা চোখে পড়ে। আর তাদের সবচেয়ে বেশি এলার্জি আসামিদের ধরায়। তাদের কর্মকাণ্ডে মনে হয় আসামিরা তাদের আত্মার আত্মীয়! পরিস্থিতি এতই নাজুক যে এসব অভিযোগের পক্ষে অজস্র উদাহরণ দেয়া যাবে।

সামাজিকভাবে হেনস্তা হবার সম্ভাবনার পাশাপাশি থানায় হয়রানি ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারনেই অনেক নির্যাতিতাই পুলিশের সহায়তা নিতে যান না, ফলে সেসব ঘটনা চাপা পড়ে যায়। নিজের মধ্যে সেই নির্যাতনের ক্ষত নিয়েই দিন পার করেন নারীরা। অনেকেই আত্মহত্যা করে কষ্ট থেকে মুক্তি নেন। এ বছরের একুশে ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় বই মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে কমপক্ষে তিনজন নারী বিকৃত যৌন রুচির কিছু খবিশের পাল্লায় পড়েন। ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার এক আলোকচিত্রী একটি ঘটনার মুখোমুখি হলে দ্রুত কয়েকটি ছবি তুলেন। তাকে দেখে নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজন তেড়ে আসে।

পরদিন পত্রিকায় ছাপা হয় দুটি ছবি, ফেসবুকের কল্যানে দ্রুত ছড়িয়ে যায় হাজারো মানুষের কাছে।নির্যাতনকারীরা কেউ মামলা করতে থানায় যান নি। তাই পুলিশ গা করেনি। তারা নিজে থেকেও দায়িত্ব নেননি। গত কয়েক মাসে এদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হলেও আমাদের পুলিশ বাহিনী এ বিষয়ে কিছু করতে নারাজ। তাদের অনেক কাজ আছে। আমার মতো অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ছবিগুলো এখনো মাঝে মাঝে শেয়ার করে যেন সেই নির্যাতকদের চেহারা সবার মনে থাকে। যেন কখনো সেই সব পুং-লিংগ সর্বস্ব নির্যাতকদের হাতের কাছে পেলে একটা ব্যবস্থা নেয়া যায়। এই ছোট ঘটনার ই যেখানে কূলকিনারা হয়না, সেখানে পহেলা বৈশাখে ২০-২৫জন মেয়ের যৌন হয়রানি (কিছু ছেলেপেলের দুষ্টামির) বিচার চাইতে ভয় লাগে।